ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী রেজাউল করীম বলেছেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একদেশ অন্যদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে শ্রদ্ধা দেখানোই রীতি। সেখানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক খুন-হত্যা করে অপরাধীরা যাতে পাশের দেশে যাতে আশ্রয় পেতে না পারে সেই বিষয়ে জাতিসংঘকে দায়িত্ব নিতে হবে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের অপরাধীসহ শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের অবিলম্বে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে হবে যাতে করে তাদের প্রাপ্য সাজা কার্যকর করা যায়।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বাদ আছর শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
চরমোনাই পীর বলেন, রাজধানী ঢাকায় হাদির মতো একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার পরে খুনি কীভাবে ঢাকা ত্যাগ করে দেশের সীমানা পাড় হয়ে গেল তা আমাদের বুঝে আসে না। সরকারকে বলবো, অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে।
তিনি বলেন, শহীদ শরীফ ওসমান হাদির জানাজায় যেভাবে লাখো মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়েছেন তাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশকে নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ চরমোনাই পীরকে স্বাগত জানান। নামাজ শেষে উপস্থিত ছাত্র ও মুসল্লিদের নিয়ে শহীদ ওসমান হাদির জন্য দোয়া করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান, ঢাকা-৭ আসনের মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফি প্রমূখ।











