জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান বলেছেন, দীনী মাদরাসাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। তিনি যৌথ নেসাব তৈরির প্রস্তাব, বুরোক্রেসির অস্বীকৃতি, ২০১০ সালে সরকারের শর্ত মেনে নেওয়া, ২৬তম সংশোধনীর সঙ্গে আইন পাস এবং শাইখুল হিন্দের অহিংসতার দর্শনের প্রসঙ্গ তুলে মাদরাসার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার ওপর জোর দেন।
মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, “দীনী মাদরাসার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। আমরা সবসময় এক নেসাব ও শিক্ষার কথা বলেছি। উলামায়ে কেরাম যখন বললেন, আসুন, যৌথ নেসাব বানাই, তখন বুরোক্রেসি অস্বীকার করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের আশঙ্কা আমাদেরই সরকার, বুরোক্রেসি এবং শিল্পপতিদের কাছ থেকে।”
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) কারাচির লিয়ারিতে মওলভী উসমান পার্কে “তাহাফ্ফুজে মাদারিসে দীনিয়া” আয়োজিত সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “যে রক্ষকের ঢাল হয়ে আমাকে বাঁচানোর কথা ছিল, সে-ই নিজের খঞ্জর আমার গলায় চেপে ধরেছে। তোমরা মাদরাসাগুলোকে ভাগ করে দিয়েছ, অধিকারে আঘাত করেছ। যে মাদরাসা তোমাদের হাতে গেছে, তার দীনী উলূমের মর্যাদা শেষ হয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “দীনী মাদরাসার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। যদি তোমরা সত্যিই আন্তরিক হও, তবে এসো, বসে কথা বলো।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “দেশের কত মাদরাসা তোমরা নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিয়েছ, আজ সেগুলো কোথায়? সেখানে দীনী শিক্ষা কোথায়?” তিনি বলেন, “পাকিস্তানে যে প্রতিষ্ঠানই তোমাদের হাতে গেছে, তার দীনী মর্যাদা শেষ করে দেওয়া হয়েছে।”
মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, মানুষের মনে দীনী মাদরাসা সম্পর্কে আপত্তি-আশঙ্কা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “বৈশ্বিক এস্টাবলিশমেন্টের স্কলাররা শরিয়তের এমন প্রচার করছেন, যা পশ্চিমের কাছে গ্রহণযোগ্য।”
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দিকে ইঙ্গিত করে মাওলানা ফজলুর রহমান প্রশ্ন তোলেন, “তোমরা রাজনীতিতে আসো কেন? তারপর বলো, আমাদের এতে টেনে এনো না।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সব প্রতিষ্ঠান অপরিহার্য। তোমরা আমাদের কাছে সম্মানিত, কিন্তু নিজের সীমার মধ্যে থাকতে হবে।”
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল আফুর হায়দারী, মাওলানা কামারুদ্দীন, মাওলানা সাঈদ ইউসুফ, জামিয়া বানোরী টাউনের নাজিমে তালীমাত মাওলানা ইমদাদুল্লাহ, মাওলানা আবদুল কাইয়্যুম হালিজয়ী, মাওলানা রাশিদ মাহমুদ সোমরো, কারী মুহাম্মদ উসমান প্রমুখ।
সূত্র : ডেইলি জঙ্গ ও ডেইলি পাকিস্তান











