রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। আদালতে তারা রিমান্ড আবেদন করলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন ও রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানও রয়েছেন।
বিচারক তার আদেশে বলেন, যাত্রাবাড়ী থানায় মাদ্রাসা ছাত্র মো. আরিফ হত্যার ঘটনায় শাজাহান খানকে একদিন, আতিকুল ইসলাম ও তানভীর হাসান সৈকতকে দুইদিনের রিমান্ডে নেওয়া যাবে। একইভাবে ভাটারা থানায় মনির হত্যার ঘটনায় আতিকুল ইসলাম, বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলক এবং কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় দিলীপ কুমার আগারওয়ালার দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ীর আরেক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে সাবেক ওসি আবুল হাসানকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেন আদালত।
এছাড়া, একই ধারাবাহিকতায় যাত্রাবাড়ী, উত্তরা পশ্চিম, কোতোয়ালী ও ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া পৃথক মামলাগুলোর প্রেক্ষিতে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসব মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, সাবেক এএসপি তানজিল আহম্মেদ এবং ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকত।