নিউজ-১
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চায় মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্র কাতার। সম্প্রতি আফগান ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গণী বারাদারের সাথে একটি বৈঠকে কাতারের ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আল খালিফি এ কথা জানান।
বৈঠকে তিনি আফগানিস্তানের সাথে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রতি কাতারের আগ্রহের কথা জানান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে আফগানিস্তান থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালুর লক্ষ্যে তাদের দেশ আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থাগুলোর সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। পরিকল্পনা ও চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে দোহায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এক সম্মেলনে ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের আহবান জানান।
মোল্লা আব্দুল গণী বারাদার এসময় সকল দেশ ও জাতির সাথে সহযোগিতা মূলক, দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে ইমারাত সরকার ব্যাপক আগ্রহের কথা জানান। আফগান ইস্যুতে তালেবান সরকারের প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৈঠকগুলোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ইমারাত সরকারকে ছাড়া আয়োজিত এসব বৈঠক আমরা অকার্যকর ও অনর্থক বলে মনে করি।
এছাড়া কাতার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন দলটি আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাওলানা ইয়াকুব মুজাহিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আফগানিস্তানের সাথে কাতারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। আফগান জনগণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হাম্মাদ আলে সানী ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সাথে বৈঠক করেছিলেন আফগানিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গণী বারাদার।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রহস্যজনকভাবে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহীম রাইসির জানাযার ফাঁকে প্রভাবশালী বিশ্ব নেতাদের মাঝে পৃথক পৃথক সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ইবরাহীম রাইসির জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন হিজবুল্লাহ ডেপুটি চীফ নাঈম কাসেম, মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামিহ শুকরী, তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেভদেত ইয়েলমাজ, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ, আজারবাইজানের প্রধানমন্ত্রী আলি আসাদভ, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শাইয়া আস-সুদানী, তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও রাশিয়া, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, ভেনেজুয়েলা, আলজেরিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, ইথিওপিয়া, মালি, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, ইয়েমেন, কুয়েত, মালদ্বীপ, ভারত, জর্ডান, আজারবাইজান, লেবানন, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ- ২
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি বড় বাণিজ্যিক সংস্থা। সম্প্রতি তাতারিস্তানে ‘রাশিয়া ও মুসলিম বিশ্বের অর্থনীতি’ শীর্ষক ১৫তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে ইমারাতে ইসলামিয়ার আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দেশটির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মাওলানা আব্দুল কবির এবং শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী নূরুদ্দীন আজিজি।
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী নূরুদ্দীন আজিজি এই সম্মেলন আফগানিস্তানের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিলো বলে উল্লেখ করেন। রাশিয়ার কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলো আফগানিস্তানে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানান।
ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মাওলানা আব্দুল কবির বলেন, ‘রাশিয়া ও মুসলিম বিশ্বের অর্থনীতি’ শীর্ষক ১৫তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি অত্যন্ত সফলতার সাথে শেষ হয়েছে। এধরণের সম্মেলনে আমাদের অংশগ্রহণ প্রকাশ করে যে, ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার প্রতিবেশী রাষ্ট্র সহ বিশ্বের সকল দেশ ও বৃহত্তর অঞ্চলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও সম্পর্কোন্নয়নে কতটা আগ্রহী।
নিউজ-৩
আমেরিকার দখলদারিত্বের সময়কালে আফগানিস্তানে দায়েশের বিস্তৃতি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি একথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তান ঐতিহাসিক ভাবে সাম্রাজ্যবাদীদের বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত। বিশ্ব পরাশক্তির দাবীদারেরা কখনো এদেশ বিজয় করতে পারেনি এবং আফগানদের বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রে সফল হয়নি। দায়েশ সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে বাইডেন যা বলছেন তার কোনো ভিত্তি নেই। বরং আমেরিকার সময়কালেই আফগানিস্তানে আইএসআইএস নামী দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিস্তৃতি ঘটেছে। আমেরিকাকে পরাজিত করে ক্ষমতা গ্রহণের পর যাদের নির্মূল করেছে ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার।
