যেদিন নামাজের ইমাম সমাজের ইমাম হবেন; সেদিন সত্যিকারের মুক্তি মিলবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর আগারগাঁওস্থ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত ইমাম–খতীব পরিষদের আহ্বায়ক করেন মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাকী। সম্মেলনের সাত দফা দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্যসচিব মুফতী আজহারুল ইসলাম। সম্মেলন পরিচালনা করেন মুফতী শরিফুল্লাহ ও মুফতী মিনহাজ উদ্দিন।
জামায়াত আমীর বলেন, আমাদের ইমাম এবং খতিব সাহেবেরা কারও করুণার পাত্র হবেন; এটা আমরা দেখতে চাই না। খতিব-ইমামদের আসল মর্যাদা তাদের হাতে তুলে দিতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এ দেশে আইন চলবে কুরআনের জন্য, নয়তো মানবিক সমাজ কায়েম হবে না। মসজিদ কমিটি হবে খতিব এবং ইমামদের পরামর্শে। খতিব এবং ইমামগণ কারও করুণার পাত্র হতে পারে না।”
তিনি বলেন, মসজিদে নামাজের ইমাম যিনি করেন, তিনি সমাজেরও ইমাম হবেন। তখনই সত্যিকারের মুক্তি আসবে। এদেশে কুরআনের সমাজ কায়েম না হলে শান্তি ফিরে আসবে না। প্রচলিত কোনো তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। নবীজীর দেখানো পথে ফিরে যেতে হবে।
জামায়াতের আমীর বলেন, “আমরা যখন জন্মগ্রহণ করি তখন আপনারা আমাদের ইমাম, আমরা যখন মৃত্যুবরণ করি তখনও আপনারা আমাদের ইমাম। সমাজের ফয়সালা মসজিদের মিম্বার থেকে আসবে।”
সম্মেলনে আরও বক্তব্য (ভার্চুয়ালি) রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর), বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, গণধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নূর, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফিন্দি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীরের প্রতিনিধি মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী।
আরও বক্তব্য রাখেন আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা শায়খ আহমদুল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতী হারুন ইজহার, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মুফতী জসীম উদ্দিন রাহমানী, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মুফতী বশিরউল্লাহ, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম কাসেমী, মাওলানা আনোয়ারুল হক, মুফতী তাসলিম আহমদ, মুফতী লোকমান হোসাইন আমিনী ও মাওলানা মোজাম্মেল হকসহ দেশবরেণ্য উলামা–মাশায়েখ।









