ইখওয়ানুল মুসলিমীন বা মুসলিম ব্রাদারহুডকে বিদেশী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তিনি বলেন, মুসলিম ব্রাদারহুডকে বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করবে আমেরিকা। অত্যন্ত কঠোর ও শক্তিশালী উপায়ে এটি করা হবে। এজন্য চূড়ান্ত নথি তৈরি করা হচ্ছে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম জাস্ট দ্যা নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি একথা জানান।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে এসেছে যখন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট সম্প্রতি আমেরিকার স্বঘোষিত বৃহত্তম মুসলিম নাগরিক অধিকার সমর্থক গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) ও মুসলিম ব্রাদারহুডকে বিদেশী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক অপরাধী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
টেক্সাসের এই গভর্নর উত্তর টেক্সাসের নামহীন ট্রাইব্যুনালগুলোকে আইনি আদালতের ছদ্মবেশে থাকার এবং মার্কিন আইনকে লঙ্ঘন করে শরীয়াহ আইনে আদেশ জারি করারও অভিযোগ আনেন।
এর প্রেক্ষিতে আমেরিকার মুসলিম গোষ্ঠীগুলো গত বৃহস্পতিবার গভর্নর অ্যাবট এবং টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনের বিরুদ্ধে সিএআইআর-এর টেক্সাস শাখাকে লক্ষ্য করে অসাংবিধানিক এবং মানহানিকর বক্তব্য বন্ধ করার জন্য একটি ফেডারেল মামলা দায়ের করে।
গ্রুপের মামলা পরিচালক লেনা মাসরি বলেন, সিএআইআর এর আগেও তিনবার গ্রেগ অ্যাবটের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো এবং প্রতিবারই তাকে পরাজিত করে। তিনি এর আগে ইসরাইল সরকারের সমালোচকদের শাস্তি দিয়ে সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছিলেন।
সিএআইআর এর টেক্সাস শাখা বলছে, তারা ‘ইসরাইল ফার্স্ট’ নীতিকে প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার দেওয়া রাজনীতিবিদদের দ্বারা পরিচালিত অপপ্রচার ও প্রচারণায় ভীত হবে না। বরং ফিলিস্তিন ও মুসলিমদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সংগ্রাম ও কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর









