‘আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি’ সেন্সর করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে বাধ্য করতে নেয়া উদ্যোগের নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। এদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাবেক এক কমিশনারও আছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই ঘোষণা দিয়েছেন।
রুবিও বলেন, ‘পররাষ্ট্র দপ্তর পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে যারা আমেরিকান প্ল্যাটফর্মগুলোকে সেন্সর, এবং তাদের বিরুদ্ধে যায় এমন মতগুলোকে চাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে।
কূটনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট সারা বি. রজার্স এক্স পোস্টে বলেন, যাদের লক্ষ্যবস্তুতে রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ) এর সাথে জড়িত সাবেক ইউরোপীয় কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন, যার বিরুদ্ধে এক্স মালিক ইলন মাস্ককে হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এই তালিকায় সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেটের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা ইমরান আহমেদও আছেন, যিনি বাইডেন প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করে মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পরিচিত, গ্লোবাল ডিসইনফরমেশন ইনডেক্সের প্রধান ক্লেয়ার মেলফোর্ডের বিরুদ্ধে মার্কিন করদাতাদের অর্থ ব্যবহার করে আমেরিকান বক্তৃতা ও সংবাদমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ এবং কালো তালিকাভুক্তি জোরদার করার অভিযোগ রয়েছে।
জার্মান এনজিও হেটএইডের দুই নির্বাহী, আনা-লেনা ভন হোডেনবার্গ এবং জোসেফাইন ব্যালনকেও এই তালিকায় রাখা হয়েছে।
রুবিও বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে আমেরিকায় তাদের প্রবেশ, উপস্থিতি বা কার্যকলাপ দেশের জন্য সম্ভাব্য গুরুতর প্রতিকূল পরিণতি ডেকে আনবে।
এছাড়াও কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে, যার ফলে তাদের বহিষ্কার করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন রুবিও।
সূত্র : সিএনএন











