বুধবার | ১৭ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাতিল এবং ‘জঙ্গি নাটক’-এর প্রতিবাদে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের বিক্ষোভ সমাবেশ

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাতিলের দাবিতে এবং ইসলামপন্থী নাগরিকদের ‘জঙ্গি নাটক’-এ ফাঁসানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে শাপলা চত্বরে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে পরিণত হয়।

মাওলানা মীর ইদরীসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডক্টর এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, মুফতী জসিমউদ্দীন রাহমানী, আহমদ রফিক, মুফতী ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনভী, আসিফ আদনান, মুফতী শফিকুল ইসলাম, মাওলানা ইসহাক খান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, ডাক্তার মেহেদী হাসান, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পশ্চিমের তাবেদার রাষ্ট্র বানানোর একটা সচেতন প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনগণের প্রবল আপত্তির মুখেও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপন সে প্রচেষ্টারই অংশ। এছাড়া ভারত ও আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে হাসিনা রেজিমের মতো জঙ্গি নাটক মঞ্চায়নের চেষ্টা চলছে।”

তারা আরও বলেন, “শহীদের রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতার মসনদ দখল করা ইন্টেরিম জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিলো ভারতীয় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এক রক্তাক্ত প্রতিরোধ। বাংলাদেশের জনগণ আর কোনো রাষ্ট্রের তাবেদার হতে চায় না। অথচ আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি দেশকে পরিকল্পিতভাবে মার্কিন বলয়ে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।”

সমাবেশে বক্তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং তাদের বিরোধিতার পেছনে পাঁচটি কারণ তুলে ধরেন:

১. এই কার্যালয় বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই।
ইসরাইল এবং ভারত সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। কিন্তু এসব দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কোন কার্যালয় নেই।

২. যে সব দেশে এই কার্যালয় আছে তারা মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ।
এই কার্যালয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।

৩. পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী আদিবাসী সন্ত্রাসীদেরকে মানবাধিকারের নামে এ কার্যালয় সমর্থন দিবে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।

৪. এ কার্যালয় সমকামিতা প্রচার ও প্রসারে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত, যা এদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।

৫. পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আরাকান কেন্দ্রিক আমেরিকান স্বার্থকে রক্ষা করবে এ কার্যালয়।

এছাড়া বক্তারা ইসলামপন্থী নাগরিকদেরকে মিথ্যা জঙ্গি নাটকে ফাঁসানোর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
ভিন্নমত দমনে হাসিনা রেজিমের জঙ্গিকার্ডকে হাতিয়ার বানানোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “জঙ্গি নাটক ফিরে আসলে তা শুধু ইসলামপন্থীদেরকেই আক্রান্ত করবে না, বরং তা যে কোনো ভিন্নমত দমন করতে ব্যবহৃত হবে।”

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img