বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর।
মোহাম্মদ মোজাফফর বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেয়াসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন করায় বিস্ফোরক আইনে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে শহরতলীর বিরাসার মোড় থেকে জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। মিছিলটি বিরাসার চৌরাস্তায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ইটপাটকেল, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। তারপর তারা আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর অতর্কিতভাবে ককটেল ও পটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে তারা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে আঘাত করলে বেশ কয়েকজন সাধারণ জনতা ও ছাত্র আহত হন। পরে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অনেক মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে সম্পদের ক্ষতি সাধন করেন।
মামলায়র আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সুজন দত্ত, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাসুম বিল্লাহ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সহ-সভাপতি মহসিন মোল্লা, সহ-সভাপতি ওবায়দুর রহমান বাবু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আফরিন ফাতেমা জুই, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিকাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি।
মামলায় আরও আসামিরা হলেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন রানা, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলামম, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সামী আহমেদ নাবিল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মওলা ফারানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ খান, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সুমন মিয়া, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন, শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন রনি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিদওয়ান আনসারী রিমো ও জুম্মান সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী উম্মে হানি ওরফে সেতু।
এ ছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়।









