পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় মুখোমুখি সংঘর্ষে পাক সেনাবাহিনীর ৬ জন ও তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ৭ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইন্ডিয়ান টুডের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার পাক-আফগান সীমান্ত প্রদেশ পাখতুনখোয়ার কুররাম জেলায় টিটিপি যোদ্ধাদের সাথে পাক সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এতে ক্যাপ্টেন সহ ৬জন পাক সেনা নিহত হয়।
অপরদিকে পাক সেনাবাহিনীর গণসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুররাম জেলার ডোগরায় পরিচালিত অভিযানে ফিতনাতুল খাওয়ারিজের (টিটিপি) ৭ জন সদস্য নিহত হয়েছে।
পাক সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, টিটিপির সাথে সংঘর্ষে নিহত হওয়া সেনা সদস্যরা হলেন,
১. ক্যাপ্টেন নোমান সেলিম (২৪, মিয়ানওয়ালি)।
তিনি পাক সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক কর্মকর্তা ছিলেন। টিটিপির সাথে লড়াইয়ে শাহাদাত বরণের আগ পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত বীরত্বের সাথে লড়াই করে গেছেন।
২. হাবিলদার আমজাদ আলী (৩৯, সোয়াবি)।
৩. নায়েক ওয়াক্কাস আহমাদ (৩৬, রাওয়ালপিন্ডি)।
৪. সিপাহী এ’জাজ আলী (২৩, শিকারপুর)।
৫. সিপাহী মুহাম্মদ ওয়ালিদ (২৩, ঝিলম)।
৬. সিপাহী মুহাম্মদ শাহবাজ (৩২, খায়রপুর)।
আইএসপিআর আরো জানায়, কুররামে টিটিপির বাকি সদস্যদের নির্মূলে ‘অপারেশন স্যানিটাইজেশন’ চালানো হচ্ছে।
এছাড়া ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশি মদদপুষ্ট ও সমর্থিত সন্ত্রাসবাদকে দেশ থেকে নির্মূল করার লক্ষ্যে ‘আজমে ইস্তেহকাম’ অভিযানের আওতায় সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পূর্ণ উদ্যমে অব্যাহত থাকবে।
এই সংঘর্ষ পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরে। বিশেষত খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে, যেখানে ২০২২ সালের শেষ দিকে টিটিপি পাক সরকার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে জঙ্গি হামলা বেড়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্টের (CTD) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর পাখতুনখোয়া প্রদেশ জুড়ে সন্ত্রাসী হামলায় এখন পর্যন্ত ২৯৮ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী প্রদেশটিতে এখন পর্যন্ত ২,৩৬৬টি গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করেছে। এর মাধ্যমে ১,১২৪ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার ও ৩৬৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্টতার কারণে ৬,১৮১ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।









