তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আইএস-কে এর সদস্য মোহাম্মাদ গোরান গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইমারাতে ইসলামিয়ার আফগানিস্তানের মুখপাত্র মাওলানা জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, তথাকথিত ডুরান্ড লাইনের অপর পাশে আইএস সদস্যদের গ্রেপ্তার হওয়া আফগানিস্তান থেকে সরবরাহ করা গোয়েন্দা তথ্যেরই ফল।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যেসব অভিযানে আইএস-কে এর একাধিক সহযোগী গ্রেপ্তার হয়েছে, সেগুলো মূলত আফগানিস্তানের কর্তৃক ভাগাভাগি ও প্রকাশ করা গোয়েন্দা তথ্যের পরিণতি।
মাওলানা মুজাহিদ বলেন, “আমরা ডুরান্ড লাইনের অপর পাশে আইএসের গোপন আস্তানা সম্পর্কে তথ্য আবিষ্কার করেছিলাম। সেই তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং তা শেয়ার করা হয়েছে। বৈঠকগুলোতে আফগান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানিয়েছে এবং এসব আস্তানা নির্মূলের আহ্বান জানিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আইএস সদস্যদের যেসব গ্রেপ্তার হয়েছে, সেগুলো কোনো না কোনোভাবে আমাদের প্রকাশ্যে শেয়ার করা এবং সবার কাছে সরবরাহ করা গোয়েন্দা তথ্যেরই ফল।”
মুজাহিদের ভাষ্য অনুযায়ী, ইমারাতে ইসলামিয়া শুধু বৈঠকেই এসব উদ্বেগ উত্থাপন করেনি, বরং আনুষ্ঠানিকভাবেও আপত্তি জানিয়েছে এবং আইএসের এসব গোপন আস্তানা ধ্বংসের দাবি জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইএসকে কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার ঠেকাতে এসব কেন্দ্র যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করতে হবে। আইএসকে তিনি একটি “অশুভ প্রবণতা” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই সংগঠনকে লালন-পালনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
আফগান মুখপাত্র বলেন, “এই গোপন আস্তানাগুলো যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করতে হবে। আইএস ও এই অশুভ প্রবণতাকে কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না। আইএসকে লালন-পালনের অবসান ঘটাতে হবে।”
এদিকে আল-মারসাদ মিডিয়া জানিয়েছে, তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আইএস-কে এর সদস্য মোহাম্মাদ গোরান বেলুচিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।
মাধ্যমটি তাদের সূত্রের বরাতে জানায়, ইয়াহিয়া ছদ্মনামে পরিচিত গোরান তুরস্ক থেকে ইরানে যায় এবং সেখান থেকে বেলুচিস্তানে প্রবেশ করে। সেখানে সে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
এর এক দিন আগে তুর্কি গণমাধ্যম জানায়, গ্রেপ্তারের আগে মোহাম্মদ গোরান আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তুরস্ক ও ইউরোপে হামলা চালানোর অঙ্গীকার করেছিল।
সূত্র: তোলো নিউজ











