আরব অঞ্চলের সাথে পুনরায় স্থলপথে সংযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে তুরস্ক। বুধবার (২২ মার্চ) ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ শাইয়া আল-সুদানীর তুরস্কে সফরকালে এই সম্পর্কীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, বসরা থেকে তুরস্কের সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ ও স্থলপথে পরিবহন করিডর স্থাপনে তুরস্কের সরকারের সাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ শাইয়া আল-সুদানি।
এরদোগান বলেন, তুরস্ককে আবার আরব উপসাগরীয় অঞ্চলগুলোর সাথে সংযুক্ত করতে এই প্রকল্পটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী। আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। কেননা প্রকল্পটি মানবিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি তুর্কি-আরব আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যের বিকাশ ঘটাতেও সাহায্য করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, সকল ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর অংশগ্রহণই পারে ‘সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটিকে’ আমাদের সকলের অঞ্চলের ‘সিল্ক রোডে’ পরিণত করতে।
উল্লেখ্য; সড়কপথে তুর্কি-আরব সংযোগ স্থাপনে ১৯০০ সালের ১লা মার্চ মুসলিম বিশ্বের তৎকালীন খলিফা আব্দুল হামিদ খান সানী একটি রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন যা শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ১৯০৮ সনে গিয়ে সমাপ্ত হয়। পুরো মুসলিম বিশ্বকে একত্রকারী সেই দীর্ঘ রেলপথের ব্যপ্তি ছিলো দামেস্ক থেকে মদিনা পর্যন্ত, সংখ্যায় যার পরিমাপ ১ হাজার ৪ শত কিলোমিটার।
তবে আফসোসের বিষয় হলো, খলিফা আব্দুল হামিদ সানীর স্বপ্নের প্রকল্প ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক হামিদিয়া হেজাজ রেলওয়ে দুর্ধর্ষ ব্রিটিশ গোয়েন্দা লরেন্সের ষড়যন্ত্রের ফলে বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি। স্বয়ং আরবরাই ১৯১৬-১৮ সনে লরেন্স অফ আরাবিয়া খ্যাত সেই কুখ্যাত গোয়েন্দার প্ররোচনায় রেলপথের বিভিন্ন অংশে বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয়।
জানা যায়, সৌদি অংশে হামিদিয়া হেজাজ রেলপথ অচল থাকলেও দামেস্ক , ফিলিস্তিন ও জর্ডান অংশে স্থানীয়ভাবে এই রেলপথ এখনও সচল রয়েছে।
সূত্র: টিআরটি আরাবি