কিছু সংস্কৃতিকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারের জন্য মায়াকান্না করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের শিল্পী সমাজের একাংশ আবার একত্রিত হয়ে স্বৈরাচারীর জন্য মায়া কান্না কাঁদছে। আমার দুঃখ এখানেই, এরা হলো শিল্পী সমাজ, যারা সমাজের প্রতিনিধি। যারা সমাজকে সত্য ও সৌন্দর্য শেখান। এ শিল্পী সমাজ থাকবে সব সময় সত্য ও ন্যয়ের পক্ষে। আজ দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমাদের শিল্পী সমাজের মধ্যে বিভাজন হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত কালচারাল ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘কিছু সংস্কৃতিকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারের জন্য মায়াকান্না করছে। আপনারা সজাগ হোন।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা শিল্পী মানুষ, শিল্পচর্চা করেন। আপনাদের শিল্পচর্চার মাধ্যমে এ দেশের মানুষের জীবন, তাঁদের কথা বলার অধিকার তুলে ধরতে হবে।’
বিগত সরকারের সময় কিছু শিল্পীর ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনারা কিসের শিল্পী? আপনারা সম্পদ গড়ার জন্য সে দিন কাজ করেছেন। বিভিন্ন রকমভাবে অকল্পনীয় সবকিছু তুলে ধরেছেন। কিন্তু সমাজের যে সত্য কথা, সমাজের যে প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা এবং সমাজের যে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা, কোনোটাতেই আপনারা ভূমিকা রাখেননি।’
সেলিমা রহমান বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-যুবক, শ্রমিক-জনতা, নারী-পুরুষ, শিশু—সবাই রাস্তায় নেমেছিল। সেদিন শিশুদের হত্যা করা হয়েছে, ছাত্র ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। এর দায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন সফল হয়েছে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। গণঅভ্যুত্থানের ফলে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পায়ের আওয়াজ এখনো পাওয়া যায়।











