রবিবার | ২৬ অক্টোবর | ২০২৫

তুরস্ক থেকে কু’র্দি বি’চ্ছিন্নতাবাদী যে|দ্ধাদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পিকেকে

তুরস্ক থেকে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পিকেকে বা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) উত্তর ইরাকের কান্দিলে মার্কিন মদদপুষ্ট গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ার উপস্থিতিতে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়, আমরা তুরস্কের অভ্যন্তরে থাকা আমাদের বাহিনীর সকল যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করে উত্তর ইরাকে নিয়ে আসছি।আমরা আমাদের প্রত্যাহারের শর্ত বাস্তবায়ন করছি।

তুরস্ক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত মার্কিন মদদপুষ্ট কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি একটি ছবিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যায় যে, ৮জন নারী সহ তাদের ২৫ জন যোদ্ধা ইতিমধ্যে তুরস্ক ছেড়ে উত্তর ইরাকে প্রবেশ করেছেন।

প্রেসিডেন্ট এরদোগানের রাজনৈতিক দল একেপির মুখপাত্র ওমর চেলিক এই প্রসঙ্গে এক এক্স বার্তায় বলেন, পিকেকের এই ঘোষণা আমাদের সন্ত্রাসবাদ-মুক্ত তুর্কি প্রক্রিয়ার অংশ। আমাদের সরকার পিকেকের এই ঘোষণা ও সন্ত্রাসবাদ থেকে সরে আসার ধারাবাহিকতাকে একটি কৌশলগত ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে মনে করে।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত মার্কিন মদদপুষ্ট কুর্দি বিচ্ছিন্নতা গোষ্ঠী পিকেকে গত মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০ বছরের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতি টানে। যার মধ্যদিয়ে কুর্দি অধ্যুষিত তুরস্ক, ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলের দীর্ঘতম সংঘাতের অবসান ঘটে।

গোষ্ঠীটি তুরস্কের হাতে বন্দী তাদের প্রভাবশালী নেতা আবদুল্লাহ ওকালানের আহবানে সাড়া দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সশস্ত্র বিদ্রোহ ত্যাগ করে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

২০২৪ সালে আঙ্কারা যখন তাদের কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওকালানকে অপ্রত্যাশিতভাবে জলপাইয়ের ডাল উপহার দেয়, তখন থেকে তুরস্কের সরকার ও কুর্দিদের মাঝে বরফ গলতে শুরু করে। আব্দুল্লাহ ওকালানও তার ২৫ বছরের বন্দী জীবনে প্রথমবারের মতো কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বিভিন্ন অধিকারের বিনিময়ে অস্ত্র নামিয়ে ফেলার পরামর্শ দেন, যার জন্য তুরস্ক বহুকাল ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো।

উল্লেখ্য, কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ১৯৮৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪০ বছর যাবত উত্তর-পূর্ব সিরিয়া, উত্তর ইরাক ও তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত এলাকায় বৃহৎ স্বাধীন কুর্দি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সহ বিভিন্ন দাবী-দাওয়াতে সংগ্রাম চালিয়ে আসছিলো। এক পর্যায়ে তাদের সংগ্রাম সন্ত্রাসী কার্যক্রমে রূপ নেয়। আমেরিকা-ইউরোপের ইন্ধন ও সহযোগিতায় তারা তুরস্কে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে শুরু করে। অসংখ্য সাধারণ নাগরিককে হত্যা করে। যার প্রেক্ষিতে তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করা হয়। পিকেকে, ওয়াইপিজি, ওয়াইপিজে, টিএকে ও পিওয়াইডির মতো সংগঠন ও দলগুলোকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করা হয়।

সূত্র: আল জাজিরা

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img