বৃহস্পতিবার, জুন ১২, ২০২৫

মুসলিমদের অশুভ শক্তি আখ্যা দিয়ে ভারতের আরএসএস প্রধানের দিকনির্দেশনা

spot_imgspot_img

মুসলিম শক্তিকে অশুভ শক্তি আখ্যা দিয়ে তা মোকাবেলায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দিয়েছেন আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা মোহন ভাগবত।

সোমবার (২৬ মে) মুসলিম মিররের খবরে একথা জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন জাতীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর প্রধান মোহন ভাগবত ভারতকে একটি শক্তিশালী ও দৃঢ় জাতিতে রূপান্তরিত করার জন্য হিন্দু সমাজের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন।

সন্ত্রাসী সংগঠনটির বিশেষ সাপ্তাহিক পত্রিকা অর্গানাইজারে এবিষয়ে তার দিকনির্দেশনা মূলক একটি বিস্তৃত সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। যেখানে ভাগবত জোর দিয়ে বলেন, বহিরাগতদের হুমকি থেকে আত্মরক্ষা ও দেশকে ঘিরে রাখা সীমান্তের অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করা কেবল একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজ গঠন এবং ভারতকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে তুলার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে।

বিশ্বে এমন অনেক শক্তি আছে যারা প্রকৃতিগতভাবে আক্রমণাত্মক। ভারতকে সেই হুমকি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।আমাদের কাছে শক্তিশালী হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কারণ আমরা আমাদের সকল সীমান্তে অশুভ শক্তির শয়তানি প্রত্যক্ষ করছি।

তিনি অভ্যন্তরীণ শক্তির গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে বলেন, প্রকৃত শক্তি কেবল শারীরিক বল নয় বরং তা ন্যায় ও গুণের ভিত্তিতে গঠিত হওয়া উচিত। আবার কেবল সৎ হওয়াও টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়; নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য গুণের সঙ্গে শক্তিরও প্রয়োজন।

এছাড়াও তিনি সতর্ক করে বলেন, কেবল নির্মম বলপ্রয়োগ (brute power) সমাজে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু শক্তির সঙ্গে যদি ন্যায় যুক্ত হয় তবে তা ন্যায়নিষ্ঠ ও সুরক্ষিত সমাজ গঠনে সহায়ক হয়। কেবল গুণের জন্য কোনো গুণবান ব্যক্তিও নিরাপদ থাকতে পারে না। তাই গুণের সঙ্গে শক্তিও থাকা দরকার।

পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির প্রধান বলেন, হিন্দুরা যদি নিজেরাই ঐক্য ও শক্তি প্রদর্শন করতে পারে তাহলে বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পাবে। হিন্দু সমাজের মর্যাদা ও গৌরব সরাসরি ভারতের শক্তি ও অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত।

এজন্য তিনি হিন্দু সমাজের নতুন ধারণা উপস্থাপন করেন, যা যারা নিজেদের হিন্দু বলে ভাবেন না এবং যাদের পূর্ব পুরুষ হিন্দু ছিলেন তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করবে। এর মাধ্যমে হিন্দু সমাজ বিশ্বজুড়ে আরো শক্তিশালী, আত্মবিশ্বাসী ও স্থিতি অর্জন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া বর্তমানে হিন্দু সমাজকে শক্তিশালী করার যে প্রচেষ্টা চলমান সেই সম্পর্কে তিনি বলেন, এর অগ্রগতি ধীর হলেও লক্ষ্যে অবিচল।

এর সাম্প্রতিক উদাহরণ তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, বিশেষত বাংলাদেশে হিন্দুদের সাহস দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানকার স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় নিপীড়নের মুখে পালিয়ে না গিয়ে এখন অধিকার দাবি করতে শুরু করেছে। ধীরে হলেও নিশ্চিতভাবে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img