শনিবার, মে ৩১, ২০২৫

আকসার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন নেতানিয়াহু যা এতদিন অস্বীকার করা হচ্ছিলো

spot_imgspot_img

পবিত্র মসজিদে আকসার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছেন গাজ্জা গণহত্যা পরিচালনাকারী ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার (২৭ মে) গালফ নিউজের খবরে একথা জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক খুঁজে ফেরা আসামী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার (২৬ মে) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে তাকে ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান মসজিদে আকসার নিচে খনন করা একটি বিশাল সুড়ঙ্গের মধ্যদিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনা মারাত্মক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গোটা অঞ্চলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, সুড়ঙ্গটি সিলওয়ান এলাকা থেকে শুরু হয়ে সরাসরি আকসা মসজিদের নিচ পর্যন্ত বিস্তৃত। ইসরাইল তাদের জায়নবাদী পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মসজিদে আকসার তলদেশে সুড়ঙ্গ খুড়ছে মর্মে করোনার সময়কাল থেকে অভিযোগ জানিয়ে আসা হলেও, তারা এতদিন তা অস্বীকার করে আসছিলো। এনিয়ে পবিত্র কুদস নগরী বা জেরুজালেমও হয়ে উঠেছিলো উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু।

গতকাল প্রকাশিত ভিডিওতে সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে দেওয়া বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “জেরুজালেম চিরকাল ইসরাইলের রাজধানী থাকবে।” এছাড়া পৃথিবীর সকল দেশকে নগরীটিকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহবান জানান। ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক থাকা দেশগুলোকে তাদের দূতাবাস সেখানে স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করেন।

ভিডিওটি ইসরাইল কর্তৃক ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখলের ৫৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশ করা হয়। যেদিন আবার অবৈধ রাষ্ট্রটির অবৈধ বাসিন্দারা ভারী সামরিক প্রহরায় ব্যপকভাবে আকসা প্রাঙ্গণে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। আকসার দায়িত্বে থাকা ওয়াকফ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, একদিনেই ২ হাজার ৯০ জনের বেশি অবৈধ ইসরাইলী সেখানে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে গণহত্যা পরিচালনাকারী অবৈধ রাষ্ট্রটির জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গেভির সহ উপস্থিত ছিলো আরো অনেকে।

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড শুধু মসজিদ প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ ছিল না বরং তা রাস্তায়ও ছড়িয়ে পড়ে। আকসার দামেস্ক গেটের সামনে শত শত অবৈধ ইসরাইলী উসকানিমূলক পতাকা মার্চ করে। ইসরাইলী পতাকা নাড়িয়ে নৃত্য বা লাফঝাঁপ করে। “আরবদের মৃত্যু হোক” এবং “গাজা ধ্বংস হোক” মর্মে ইত্যাদি উগ্র স্লোগান দিতে থাকে।।

এছাড়া তাদের হাতে যে ব্যানার ছিলো তাতে “১৯৬৭ থেকে জেরুজালেম আমাদের” এবং “২০২৫ সালে গাজ্জা আমাদের হবে” মর্মে স্লোগান লেখা থাকতেও দেখা যায়।

এই পদক্ষেপ আরব বিশ্বজুড়ে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, যদিও ইসরাইলের ব্যাপারে দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত শুধু নিন্দা বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img