যশোরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ মিজানুর রহমান খাঁনের বাসভবনে মধ্যরাতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) হামলার প্রতিবাদে সকালে নগর বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড শাখার নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী মধ্যরাতে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে হামলা ও তাণ্ডব চালিয়েছে। এ নিয়ে ৫ বার করে এই নেতাদের বাড়িতে হামলা চালানো হলো। কিন্তু দোষীদের চিহ্নিত করা বা বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসভবনের সিটি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সন্ত্রাসীরা একটি সিলভার কালারের মাইক্রোবাস, ৪ থেকে ৫ টি প্রাইভেট কার এবং ১০টির অধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়। যার মধ্যে একটি সাদা এবং একটি কালো রংয়ের প্রাইভেটকার ছিল। উঠতি বয়সি সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মুখে কাপড় বেঁধে এই হামলা শুরু করে।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বিএনপি যখনই দেশের গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ জনগণের সকল ন্যায্য দাবি এবং অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে; তখনই সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা জনতার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই ধরণের হামলা শুরু করে। ইতিপূর্বেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা একইভাবে দলের নেতা-কর্মীদের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু কোনো ঘটনারই কোনো বিচার হয়নি।
এ ব্যাপারে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবি ওসি রূপণ কুমার সরকার জানিয়েছে, হামলা ভাঙচুরের কোনো অভিযোগ তারা পাননি।
সূত্র: পার্সটুডে