জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, ‘৯০-এর গণআন্দোলন ও ‘২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় তার কবিতা ও গান এ দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে, উজ্জীবিত করেছে।’
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার প্রতি জানাই অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’
বাণীতে তিনি বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে দ্রোহ, মানবতা, প্রেম ও সাম্যবাদের চেতনায় দীপ্ত আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ থেকে ৪৯ বছর আগে তার জীবনাবসান হয়। তিনি বিংশ শতাব্দীর বাংলা ভাষার প্রধান কবি ও সংগীতজ্ঞ। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি। শৈশব থেকে কঠিন জীবন-সংগ্রাম করে বড় হয়েছেন। যে কারণে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছিল তার সহজাত। তিনি জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমকে বিদ্রোহ করার প্রেরণা যুগিয়েছেন। তার রচিত কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ। তার কবিতা, গান আজও মানুষকে শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তির সন্ধান দেয়। তার আপোষহীন সংগ্রাম তাঁকে বিদ্রোহী কবির খ্যাতি এনে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানব প্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মানুষকে ভালোবেসে তাদের কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে তার রচনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। তার সাহিত্যকর্ম আমাদের চিরকাল স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’











