ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সমালোচনা করায় ব্রিটিশ ভাষ্যকরকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই ভাষ্যকরের নাম সামি হামদি।
রোববার (২৬ অক্টোবর) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকা ওই ভাষ্যকরকে গ্রেফতার করে তার ভিসা বাতিল করে দেয়। এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন বলেছে, উগ্রবাদকে সমর্থনের দায়ে তাকে অচিরেই দেশে ফেরত পাঠানো হবে। ভিসার বাকি মেয়াদ পূর্ণ করার সুযোগ দেয়া হবে না।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলওয়েন নিশ্চিত করেছেন যে ফিলিস্তিনপন্থী ওই ভাষ্যকর এখন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের হেফাজতে রয়েছেন।
এই মুখপাত্র এক এক্সবার্তায় বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের সময় উগ্রবাদের সমর্থনকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যারাই দেশের ভেতরে থেকে কিংবা ভিজিটে এসে মার্কিন নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করবে, তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না।’ তবে ব্রিটিশ এই ভাষ্যকরকে কবে নাগাদ ফেরত পাঠানো হবে, সুনির্দিষ্ট করে তিনি তা বলেননি।
বাক-স্বাধীনতার অবমাননা
শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে মুসলিম কমিউনিটির একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সামি হামদি। ওই কমিউনিটির দায়িত্বশীলগণ বলেন, গতকাল রোববারে ফ্লোরিডার একটি কাউন্সিল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল হামদির। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনকে তাকে সান ফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করায় তিনি ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
তারা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই বিশিষ্ট ব্রিটিশ মুসলিম সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকরকে ইসরাইলি গণহত্যার বিষয়ে মুখ খোলায় মার্কিন প্রশাসন গ্রেফতার করে বাক-স্বাধীনতাকে অবমাননা করেছে।
মুসলিম কমিউনিটিটির ডেপুটি প্রধান ইদওয়ারিদ আহমাদ মেশাল বলেন, যারা হামদিকে উগ্রপন্থী বলে আখ্যায়িত করেছে, তিনি ইতোপূর্বে তাদের এই দাবিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি আরো বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করার পর থেকে এখন পর্যন্ত আইনজীবীদেরকে তার সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, গাজ্জায় ইসরাইলি আগ্রাসনের সময় নতুনভাবে দৃশ্যপটে আসেন হামদি। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে বারবার ইসরাইলি গণহত্যার বিষয়ে কথা বলেছেন; মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করেছেন; ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠনে প্রয়াস পান।
সূত্র : আল জাজিরা









