আজারবাইজানের ৩৪তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বুধবার একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় লাচিন শহরে, যে শহরটি ২০২০ সালের দ্বিতীয় কারাবাখ যুদ্ধের সময় আর্মেনিয়ার দখল থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ তুরস্ক ও পাকিস্তানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের রাজনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন আজারবাইজানের যুদ্ধকালীন দৃঢ়তা এবং যুদ্ধ-পরবর্তী ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছিল।
তিনি বলেন, “৪৪ দিনব্যাপী দ্বিতীয় কারাবাখ যুদ্ধের সময় তুরস্ক ও পাকিস্তান আমাদের সমর্থন করেছিল। তাদের এই সমর্থন আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং অতিরিক্ত শক্তি দিয়েছে। আমরা এই মহান রাজনৈতিক ও নৈতিক সহায়তার জন্য সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবো ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের প্রতি।”
প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ আরও বলেন, যুদ্ধের পরবর্তী বছরগুলোতে আজারবাইজান, তুরস্ক এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। তিনি বলেন, “তিন ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের এই ভ্রাতৃত্ব প্রতি বছর আরও শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা ভালো সময়েও একসাথে থাকি, খারাপ সময়েও।”
তিনি এই ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্বকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং সহযোগিতার অন্যতম ভিত্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানও। তিনি তার বক্তব্যে আজারবাইজানের বিজয়কে একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।
এরদোগান বলেন, “সেদিন যে স্বাধীনতার মশাল জ্বালানো হয়েছিল, তা আজ একটি আরও শক্তিশালী আজারবাইজানের পথ আলোকিত করছে।” তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চল এখন “একটি সফলতা, শান্তি ও উন্নয়নের গল্প লেখার জন্য প্রস্তুত।”
লাচিন শহর, যেটি বহু বছর আর্মেনীয় দখলে থাকার পর ২০২০ সালে পুনরুদ্ধার করা হয়, এই দিনের অনুষ্ঠানস্থল হিসেবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রতীক হয়ে ওঠে। এটি শুধু একটি পুনরুদ্ধারকৃত মাতৃভূমিই নয়, বরং আজারবাইজান, তুরস্ক ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ঐক্যের দৃশ্যমান মঞ্চ হিসেবেও বিবেচিত হয়েছে।
সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড