আমেরিকার গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা। দেশটির গণতন্ত্র দুর্বল। তাই দেশটি গণতন্ত্রকে আরও সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, তাদের দেশে গণতন্ত্র দুর্বল। তাই তারা গণতন্ত্রকে আরও সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে। আমরাও চেষ্টা করছি। এসব যদি তারা বলেন, নাথিং রং। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার জন্য আমরা স্বচ্ছ ইনস্টিটিউশন তৈরে করেছি। স্বচ্ছ ব্যালেট বাক্স তৈরি করেছি, ছবিযুক্ত ভোটার আইডি করেছি।
বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাকিদকের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে গণতন্ত্র-নির্বাচন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে সরকার উদ্বেগ রয়েছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে আমাদের ইমেজ বেড়েছে। সবাই এখন আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়, ব্যবসা বাড়াতে চায়। আমরা চাই স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হোক। যুক্তরাষ্ট্রও চায়। তাদের দেশে গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা। গত নির্বাচনে (মার্কিন নির্বাচন) তাদের দেশের অন্য দল বিশ্বাসই করেনি, আমেরিকার নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে।
গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না। কারণ, আমরাই একমাত্র দেশ যারা গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায় বিচারের জন্য মানবিকতার জন্যে ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছি। এটা অনেকে ভুলে যান, অন্য কেউ এত প্রাণ দেয় নাই।
তিনি বলেন, টাকা নিয়ে ওইদেশে যারা যায় তাদের তথ্য বিদেশি সরকার আমাদের দেয় না। সরকারি তথ্য না হলে… আমরা যে তথ্য পেয়েছি, সেগুলো বেসরকারি তথ্য। বেসরকারি তথ্যের বেসিসে আপনি খুব একটা অ্যাকশন নিতে পারবেন না।
বিদেশি সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার তথ্য চেয়েছে কী না? -জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আমরা চেয়েছি, তারা তাল বাহানা করে। তারা একটা না একটা আইন দেখায়। তবে এটার দায়িত্ব কিন্তু দুদকের। তারা এগুলো দেখবে। তারা বড় সংস্থা, তাদের টাকা পয়সা আছে।