ভারতের উত্তরপ্রদেশের মিরাট শহরে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের প্রশাসন।
এ নিয়ম ভঙ্গ করলে মুসলিমদের পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, শুধুমাত্র মসজিদেই ঈদের নামাজ পড়তে পারবে মুসলমানরা। যারা উন্মুক্ত মাঠে নামাজ পড়বে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর মিরাটে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের নামাজ পড়ায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা সিপিসি-এর তালিকাভুক্ত করতে সুপারিশ করেছে আমেরিকার সরকারি সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ।)
সিপিসি’র সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যেসব দেশে সরকার বিশেষ করে গুরুতর ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে সম্পৃক্ত হয় বা লঙ্ঘনের ব্যাপারে সহনশীল হয় সেসব দেশ কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়।
ইউএসসিআইআরএফ‘র প্রতিবেদনে ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষত মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের জীবন ও সম্পদের ওপর আক্রমণের বেশ কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি দেশটির কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষকরে মুসলিমদের ওপর একের পর একের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা। আর এসব কর্মকাণ্ডে প্রকাশ্যেই পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে বিজেপি। মুসলিমদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ যেন ভারতের নিত্য দিনের ঘটনা। মুসলিম স্থাপত্য আর অবকাঠামোর ওপর বিজেপি সরকারের বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর মুসলিম নিপীড়নের সকল রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ প্রশংসনীয়।