মঙ্গলবার, এপ্রিল ১, ২০২৫

সিরিয়ার ফতোয়া বোর্ড গঠন ও গ্র্যান্ড মুফতীর পদ পুনর্বহাল করলেন প্রেসিডেন্ট জুলানী

সিরিয়ার সুপ্রিম ফতোয়া কাউন্সিল গঠন ও গ্র্যান্ড মুফতী পদ পুনর্বহাল করলেন দেশটির বিপ্লবোত্তর প্রেসিডেন্ট আহমাদ শারা আল-জুলানী।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার খবরে একথা জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, সুপ্রিম ফতোয়া কাউন্সিল গঠন ও দেশের প্রধান মুফতী নির্ধারণে প্রেসিডেন্ট আল-জুলানী আহবানে গতকাল বিশিষ্ট মুফতী ও স্কলারদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ১৪ জন বিশিষ্ট মুফতীদের নিয়ে সিরিয়ার সুপ্রিম ফতোয়া কাউন্সিল গঠন করা হয়। বিজ্ঞ ফকিহ শায়েখ উসামা আর-রিফায়ীকে দেশের গ্র্যান্ড মুফতী নির্বাচিত করা হয়। যে পদ ২০২১ সালে বিলুপ্ত করে দিয়েছিলো খুনী বাশারের সরকার।

বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আহমদ শর’আ গ্র্যান্ড মুফতী পদ পুনর্বহাল ও সুপ্রিম ফতোয়া কাউন্সিল গঠনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সিরিয়াকে আমরা এর উলামা, জ্ঞানীগুণী, সকল শ্রেণীর কর্মী ও সন্তানদের সাথে নিয়ে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছি। বিশেষত, পূর্বে সীমালঙ্ঘনের জন্য ফতোয়ার আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে ফতোয়ার দায়িত্ব, আমানতদারিতা ও গুরুত্ব কারো কাছে অজানা থাকার কথা নয়।

তিনি বলেন, পতিত সরকার সিরিয়ার প্রতিটি ক্ষেত্রকে যেভাবে ধ্বংস করেছে তা পুনর্বহাল ও পুনরুদ্ধার আমাদের উপর আবশ্যক ছিলো। তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো আরব প্রজাতন্ত্র সিরিয়ার গ্র্যান্ড মুফতীর পদ ফিরিয়ে আনা। উপযুক্ত ব্যক্তিকে এই পদে নিযুক্ত করা। আলহামদুলিল্লাহ আজ এমন ব্যক্তি এই পদে নিযুক্ত হয়েছেন যিনি শামের উলামাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ। তিনি আর কেউ নন, বিশিষ্ট শায়েখ উসামা বিন আব্দুল কারিম আর-রেফায়ী হাফিজাহুল্লাহ।

একইভাবে সুপ্রিম ফতোয়া কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে ফতোয়াকে সম্মিলিত দায়িত্বে ফিরিয়ে আনাও প্রয়োজন। যেনো কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চিন্তা, গবেষণা ও পর্যালোচনার পরই শুধুমাত্র ফতোয়া জারি হয়। কেননা, ফতোয়া হলো মহান জিম্মাদারি এবং আল্লাহর পক্ষে সাক্ষর। এছাড়াও ফতোয়া কাউন্সিল বাস্তবতার নিরিখে সমসাময়িক ও মৌলিক দ্বীনি আলোচনায় মধ্যপন্থা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবে, যা বিভক্তির দিকে পরিচালিত করে এমন মতবিরোধ নিরসনে ভূমিকা রাখবে। দ্বন্দ্ব ও অনিষ্টতার দরজা বন্ধ করে দিবে।

spot_imgspot_img

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img