গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত তুরস্ক থেকে নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন অন্তত দুই লাখ সিরিয়ান। এমনটিই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ইস্তাম্বুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন বিষয়ক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এরদোগান বলেন, বর্তমানে তুরস্কে ৪০ লাখের উপরে শরণার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ২৭ লাখ সিরিয়ান অস্থায়ী সুরক্ষা আইনের অধীনে রয়েছে। এছাড়াও ১৯ লাখ শরনার্থী বসবাসের অনুমতি পত্র নিয়ে তুরস্কে বসবাস করছে। পাশাপাশি এক লাখ ৭৬ হাজার শরনার্থী আন্তর্জাতিক সুরক্ষা আইনের অধীনে তুরস্কে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে।
এরদোগান আরও বলেন, পশ্চিমা শক্তিগুলোর কারণেই শরনার্থী তৈরি হয়। অথচ যখন শরণার্থী গ্রহণের সময় আসে, তখন তাদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না।
এসময় তুরস্কের সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা কামাল কিলিচদারওগ্লুর সমালোচনা করেন এরদোগান। তিনি বলেন, কিলিচদারওগ্লুর নির্বাচিত হলে সিরিয়ার অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তুরস্কের বিরোধী দলের দাবি, তুরস্কে বিশাল সংখ্যক শরণার্থী রয়েছে। এমন দাবি অস্বীকার করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এসব ব্যক্তিদের মানবতার শত্রু বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
সূত্র: হুরিয়াত ডেইলি নিউজ