বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিসদ সদস্য জননেতা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম দীর্ঘ ১৪ বছর কারা প্রকোস্টে দিন যাপন করেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলের শিকার প্রিয় নেতা আজ মুক্ত আকাশে নিচে। তিনি আজ স্বাধীন। তার এ মুক্তি মজলুমের বিজয়, জালিমের পরাজয়। এটিএম আজহার ভাইকে আমরা আমাদের মাঝে ফিরে পেয়েছি। অথচ আরও অনেক নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা রায়ের মাধ্যমে জুডিশিয়াল কিলিং করে হত্যা করেছে। আজ তাদের শাহাদাতের মর্যাদা কামনা করে দোয়া করছি। তাদের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করে দ্বীনকে বিজয় করা আমাদের দৃঢ় অঙ্গিকার। নেতৃবৃন্দের হত্যার সাথে যারাই সংশ্লিষ্ট তাদের বিচার এ জমিনেই হওয়া উচিত। যেন আর কোন ফ্যাসিস্ট এভাবে নাটক সাজিয়ে কাউকে হত্যা করতে না পারে।
বুধবার (২৮ মে) বিকা্লে দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে এটিএম আজহারুল ইসলামের বেকসুর মুক্তি পাওয়ায় শোকরানা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকারিয়া, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, এডভোকেট আবু নাছের, সাংগঠনিক সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাছান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা আবুল আফীফ, মাওলানা কামাল উদ্দীন, নুরুল হক, অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাঈল হক্কানী, মাওলানা আরেফে জামী, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা ও আরিফুর রশীদ সহ প্রমুখ উপজেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ছাত্রজনতার বিপ্লবের ফলে ন্যায় বিচার করা সম্ভব হয়েছে। অতীতের বিচারক ফ্যাসিস্ট সরকারের নতজানু হয়ে একের পর এক জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার প্রতিপালক আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে সমর্পন করলাম। তিনি এর যথোপযুক্ত বিচার করবেন। তিনি কুরআনে ঘোষণা করেছেন, “সত্য সমাগত, মিথ্যার অপসৃত, মিথ্যার পতন অবশ্যাম্ভাবী।” আগামীতে জাতিকে আর কোন মিথ্যা ও অন্যায় বিচারের মুখোমুখি যেন হতে না হয় সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।