শুক্রবার, মে ৩০, ২০২৫

আফগান অভিবাসীদের দেশ ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ইরান ও পাকিস্তান

spot_imgspot_img

আফগান অভিবাসীদের দেশ ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ইরান ও পাকিস্তান।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) তলো নিউজের খবরে একথা জানানো হয়।

খবরে বলা হয়, ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় চলতি বছরের ৬ জুলাইয়ের মধ্যে আফগান অভিবাসীদের দেশ ত্যাগ করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। পাকিস্তান নির্ধারণ করেছে ৩০ জুন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জাতীয় অভিবাসন সংস্থার প্রধান নাদের ইয়ার-আহমাদি এবিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, সকল অবৈধ অভিবাসীকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে। কেননা দেশে অবৈধ আফগান অভিবাসীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪.১ মিলিয়ন বা ৪১ লক্ষে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০ মার্চ পরবর্তী সময়ে আফগান অভিবাসীদের আদমশুমারির নথি বাতিল হওয়া এই সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ বলে জানান। বলেন, যাদের আদমশুমারির নথি গত বছরের ২০ মার্চ পর্যন্ত বৈধ ছিল সেই ২০ লক্ষ আফগান অভিবাসীও এখন অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

তবে নির্ধারিত ছয়টি আফগান গোষ্ঠী অস্থায়ী কার্ড নিয়ে ইরানে থাকতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বাকিদের ৬ জুলাইয়ের মধ্যে অবশ্যই চলে যেতে হবে।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেসব আফগান অভিবাসীর ACC কার্ড রয়েছে তাদের জন্য দেশ ছাড়ার সর্বশেষ সময়সীমা ৩০ জুন। এর মধ্যেই তাদের বেরিয়ে যেতে হবে।

ইরানে অবস্থানরত এক আফগান অভিবাসী এনায়েত আলো-কোজাই তলো নিউজকে বলেন: “যাদের কাছে আদমশুমারির কাগজপত্র রয়েছে, তাদের ইরানি সরকার সারাতান (আফগান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী) পর্যন্ত সময় দিয়েছে দেশ ছাড়ার জন্য। তাদের অনেকেই বহু বছর ধরে ইরানে বসবাস করছেন এবং সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে যুক্ত। এই সময়সীমা তাদের জন্য খুবই কম।”

হাশেম, যিনি সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানসহ ইরান থেকে বিতাড়িত হয়েছেন, ইমারাতে ইসলামিয়া সরকারকে উদ্দেশ্যে অনুরোধ জানিয়ে বলেন: “আমি কিছুদিন ইরানে ছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের বের করে দিয়েছে। আমি সরকারকে অনুরোধ করছি, যেনো আমাদের জন্য আশ্রয় এবং কিছু খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।”

অভিবাসী অধিকার কর্মীরা জোর দিয়ে বলেন, এধরণের পদক্ষেপ একতরফাভাবে নয় বরং আফগান ইমারাত সরকারের সাথে সমন্বয় করে গ্রহণ করা উচিত, যেনো অভিবাসীদের ধাপে ধাপে ও মর্যাদার সাথে ফেরত পাঠানো যায়।

অভিবাসী অধিকারকর্মী মোহাম্মদ জামাল মুসলিম বলেন: “যারা পাকিস্তান, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোতে বসবাস করছে, তারা মূলত স্বাগতিক দেশের স্বার্থের ভিত্তিতেই গৃহীত হয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও ইরান কর্তৃক জুলাই পর্যন্ত যে স্বল্পমেয়াদি সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে, তা কারোরই স্বার্থে নয়।”

আফগানের ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার আফগান শরণার্থী ও অভিবাসীদের জোরপূর্বক বিতাড়নকারী দেশগুলোকে বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে যে, তারা যেনো এসব আফগানদের জোরপূর্বক বিতারিত না করে। সহায় সম্পদ নিয়ে সুষ্ঠুভাবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দিতে পর্যাপ্ত সময় দেয়। আফগান সরকারের সাথে সমন্বয় করে ধাপে ধাপে শরণার্থী ও অভিবাসীদের ফেরত পাঠায়।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img