তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াইয়ের জন্য পাঁচটি দেশ মিলে সিরিয়ায় একটি যৌথ কমান্ড সেন্টার গঠন করেছে।
এই ঘোষণা দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার (৩০ মে)।
তুরস্ক বলেছে, সিরিয়া ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-কে সিরিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনীতে একীভূত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর তারা জোর দিচ্ছে।
এই কমান্ড সেন্টার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত ৯ মার্চ, জর্ডানে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে। এতে অংশ নেন তুরস্ক, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন ও স্বাগতিক জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
সূত্র জানায়, পরে সিরিয়া তুরস্ক, সিরিয়া ও জর্ডানের সমন্বয়ে গঠিত “সমন্বয় ইউনিট”-কে ডামাস্কাসে কাজ শুরু করতে আমন্ত্রণ জানায়। এই ইউনিট ১৯ মে থেকে সেখানে কাজ শুরু করে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা সিরিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার যেকোনো ইতিবাচক উদ্যোগকে সমর্থন করে। সেইসঙ্গে তারা চায়, এই প্রক্রিয়া হোক স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং যাতে সব পক্ষের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগ বিবেচনায় নেওয়া হয়।
তারা স্পষ্ট করে বলেছে, সিরিয়ায় একমাত্র বৈধ সামরিক কাঠামো হবে সিরীয় সেনাবাহিনী, এবং এসডিএফ-কে সেই বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তুরস্কের মধ্যাঞ্চলীয় এসকি শহিরের একটি বিমানঘাঁটিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আরও বলেন,
“সিরীয় সরকারের সহযোগিতায় এমন কোনো বিকেন্দ্রীকরণ বা বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অনুমতি দেওয়া হবে না।”
এই প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেন, “এসডিএফ এখনো সিরীয় সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়নে টালবাহানা করছে। তাদের এই আচরণ থেকে সরে আসা উচিত।”
আজারবাইজান সফর শেষে বুধবার দেশে ফেরার পথে বিমানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমরা আগেই এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি, এসডিএফ বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে, এটা চলতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “সিরিয়ার ভূখণ্ডের অখণ্ডতা, রাষ্ট্র কাঠামোর একতা এবং জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। তুরস্ক গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।”
প্রসঙ্গত, গত মার্চে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আশ-শারাআ এবং যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত এসডিএফ প্রধান মাজলুম আবদি এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির আওতায় এসডিএফ-কে সিরীয় সেনাবাহিনীতে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র: আল জাজিরা (আরবি)