সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার বিরুদ্ধে চলমান সংকটের সমাধানে কোনো ধরনের লেনদেন ভিত্তিক সমঝোতা গ্রহণ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের সাবেক নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী দলীয় প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, দলটির জন্য রাজনৈতিক পরিসর তৈরিতে তাকে আলোচনায় আগ্রহী করার চেষ্টা করেন তিনি।
সপ্তাহের শুরুতে, ইমরান খানের বোন আলিমা খান তার ভাইয়ের মুক্তির লক্ষ্যে একটি লেনদেন ভিত্তিক প্রস্তাব দেন। তিনি অভিযোগ করেন, “অদৃশ্য শক্তি” বিচারকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে।
তিনি বলেন, “আমি অদৃশ্য শক্তিগুলোকে বলতে চাই, আমি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।”
তবে বৃহস্পতিবার, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে নয়ই মে মামলার শুনানি শেষে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ দলের নেতা আলী জাফর বলেন, বন্দি দলপ্রধান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি কোনো ধরনের লেনদেন ভিত্তিক সমঝোতায় যাবেন না।
আলী জাফর বলেন, “খান সাহেব বলেছেন, তিনি কেবল দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আলোচনা করতে রাজি আছেন, কিন্তু নিজের জন্য কোনো ছাড় বা সুবিধা চান না।”
আলী জাফরের ভাষ্যমতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি আমি নিজের স্বার্থে কিছু চাইতাম, তাহলে তা অনেক আগেই পেয়ে যেতাম।”
তিনি আরও জানান, ইমরান খান কেবল দেশের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি আছেন, নিজের জন্য নয়।
সেদিনই ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের সাবেক নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আলোচনার সময় তার মনে হয়েছে, ইমরান খান সঠিক এবং সম্পূর্ণ তথ্য পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, “অনেকে যারা খান সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তারা মূলত কাউকে কোনো পদে বসানোর বা কাউকে অপসারণের প্রচেষ্টা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমি তাকে বলেছি, আমাদের এখন একটি সুপরিকল্পিত কৌশল গ্রহণ করা উচিত।”
ফাওয়াদ চৌধুরী আরও বলেন, “আমি তাকে জানিয়েছি, বর্তমানে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ একসঙ্গে সরকার, প্রতিষ্ঠান এবং বিরোধী দলের বিরুদ্ধেও লড়াই করছে।”
তিনি বলেন, “আমি তাকে বলেছি, দলের নেতৃত্বে যারা রয়েছেন, তাদের অধিকাংশই নতুন, এবং কয়েক বছর আগে দলে যোগ দিয়েছেন। তারা পরিস্থিতির প্রকৃত রূপ সম্পর্কে জানেন না।”
সাবেক তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ইমরান খানকে বলেছি, কেবল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপ হওয়া উচিত।”
তিনি বলেন, “আমি পরামর্শ দিয়েছি, প্রথমে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি রাজনৈতিক জোট গঠন করা উচিত। এরপর সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে হবে। আমি বলেছি, আমাদের একযোগে সরকার ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কেবল এই পথেই পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ দলের জন্য রাজনৈতিক পরিসর তৈরি হতে পারে।”
সূত্র: ডন
