তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে এখন তুরস্ক আর অন্যদের দরজায় দাঁড়িয়ে নয়; বরং বিশ্বের বহু দেশ আজ তুরস্কের দরজায় কড়া নাড়ছে।
বুধবার (২৯ মে) ইস্তাম্বুল বিজয়ের ৫৭২তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
এরদোগান বলেন, “বহু বছর ধরে আমরা যাদের দরজায় অপেক্ষা করেছি, আজ তারাই আমাদের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের আকাশচালিত ড্রোন, সশস্ত্র ড্রোন, পানির নিচে চলা চালকবিহীন যানসহ আরও অনেক আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আজকের যুদ্ধনীতি আমূল বদলে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে আজকের যুদ্ধনীতি আমূল বদলে যাচ্ছে।”
প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানান, “এইমাত্র আমরা ‘ওসমান গাজী’ নামের একটি জাহাজকে কৃষ্ণসাগরে পাঠিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, এই জাহাজ সমুদ্রের নিচে অনুসন্ধান চালিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করবে। আর সেই গ্যাস আমাদের জনগণের জীবনযাত্রা আরও স্বস্তিকর করে তুলবে।”
তিনি বলেন, “ফাতেহ সুলতান মুহাম্মাদ তার সময়ে ‘শাহি’ নামে এক নতুন কামান তৈরি করেছিলেন, যা সে সময় যুদ্ধের কৌশলকেই পাল্টে দিয়েছিল। আজ আমরা সেই উদ্ভাবনী মনোভাবের উত্তরসূরি হয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের চিত্র পাল্টে দিচ্ছি। ফাতিহ এই কামান তৈরির প্রতিটি ধাপ নিজ হাতে তদারকি করেছিলেন, আমরাও তেমনভাবেই প্রযুক্তি উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত রয়েছি।”
এরদোগান বলেন, “আমাদের তরুণ প্রকৌশলীরা ফাতিহ থেকে পাওয়া আত্মিক চেতনার আলোতে প্রতিদিন নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করছে। তারা হাত বদলে এই চেতনার মশাল বয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।”
তিনি বলেন, “টেকনোফেস্ট প্রজন্মই তুরস্ককে বরফের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল এক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছি না, বরং আমরা যুদ্ধের নতুন কৌশলও তৈরি করছি। ঠিক যেমন ফাতিহদের যুগে নতুন ধারণাগুলো বাস্তবায়ন হয়েছিল, আজও আমরা সেই নেতৃত্বে আছি। আমরা যে যুদ্ধধারণা গড়ে তুলছি, তা ভবিষ্যতের জন্য একটি পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।”
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
