সোমবার | ৩০ জুন | ২০২৫

দাড়ি কাটার শর্ত দেওয়ায় বিশেষায়িত পড়াশোনা ছেড়ে দিলেন কাশ্মীরী ডাক্তার

spot_imgspot_img

ক্লিন শেভের বাধ্যবাধকতা থাকায় তামিলনাড়ুর নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে মেডিকেলের উপর বিশেষায়িত পড়াশোনার চান্স পেয়েও ছেড়ে দিলেন এক কাশ্মীরী ডাক্তার।

রবিবার (২৯ জুন) কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একজন মুসলিম ডাক্তার তামিলনাড়ু রাজ্যের নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে ‘সুপার-স্পেশালিটি মেডিকেলের’ মতো উচ্চতর ও বিশেষায়িত পড়াশোনার চান্স পেয়েও নিজ আসনটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তাকে বলা হয়েছিলো যে, হাসপাতালটিতে পড়াশোনার জন্য তাকে অবশ্যই অবশ্যই দাড়ি কামাতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মুসলিম ডাক্তার জানান, তিনি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাতুরের কোভাই মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড হসপিটালে (কেএমসিএইচ) নেফ্রোলজিতে একটি আসন পেয়েছিলেন, যেখানে ন্যাশনাল বোর্ড অফ এক্সামিনেশনস ইন মেডিকেল সায়েন্সেস (এনবিইএমএস) পরিচালিত এনইইটি সুপার স্পেশালিটি (এসএস) কাউন্সেলিংয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চান্স পরবর্তী ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য ইনস্টিটিউটে যাওয়ার সময় তাকে একটি নীতিমালায় স্বাক্ষর করতে বলা হয়, যেখানে লেখা ছিলো যে, পুরুষদের জন্য দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ। এর বিপরীত কিছু হলে ভর্তিতে বাধা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাকে জানানো হয়েছিলো যে, কেএমসিএইচ একটি কঠোর পোশাকবিধি অনুসরণ করে, যার মধ্যে দাড়ি না রাখার নীতি অন্তর্ভুক্ত। আমি এবিষয়ে তাদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেছি। এমনকি দাড়ি ঢেকে রাখতে মাস্ক পড়ে থাকবো বলেও প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা বলেছে যে, চেয়ারম্যান স্যার এই নিয়ম তৈরি করেছেন। তাই এতে কোনো প্রকার শিথিলতা দেখানো হবে না। এটি শিথিলযোগ্য নয়।

এছাড়াও তিনি ‘ক্যারিয়ার ৩৬০’ মিডিয়াকে বলেন, যারা দাড়িকে তার ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখেন তাদের জন্য এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলেছে যে, নিয়মটিতে টু শব্দেরও সুযোগ নেই। এটি হাসপাতালের কর্পোরেট মানদণ্ডের অধীনে তৈরি করা হয়েছে। এই নীতি তৈরির পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা শিক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়।

এই কাশ্মীরী ডাক্তার জানান, তিনি দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরের সৌরা ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস থেকে এমবিবিএস, এমডি এবং সিনিয়র রেসিডেন্সি সম্পন্ন করেছেন। এই পর্যায়ে এসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন দাবীতে তিনি হতবাক হয়েছেন এবং হাসপাতালে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img