মঙ্গলবার | ৩০ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য ঢাবি শিক্ষার্থীকে বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে সহপাঠীরা

ইসলামবিদ্বেষী ও নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আসিম হোসেনকে (রোল: SS-135-072) তার ব্যাচ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে সহপাঠীরা।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অর্থনীতি বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, আসিম হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নোটস সেকশনে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নারী সমাজকে অবমাননা করে ঘৃণ্য মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। যা কেবল নারী ও ইসলাম ধর্মের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন নয়, বরং পুরো বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

সহপাঠীরা অভিযোগ করেন, আসিম দীর্ঘদিন ধরে নারী সহপাঠীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে আসছিলেন। পাশাপাশি একাধিকবার ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত করেছেন। তার এই ধারাবাহিক আচরণ অসদাচরণের সীমা অতিক্রম করে হয়রানি ও বুলিং-এ পরিণত হয়েছে, যা ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য অনিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সহপাঠীরা একাধিকবার তাকে সতর্ক করার পরও তিনি একই আচরণ চালিয়ে যান। এমনকি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও তার মনোভাবের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। ফলে তাকে স্থায়ীভাবে বর্জন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।

অর্থনীতি বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বর্জনের তিনটি শর্ত ঘোষণা করেন:

১. সামাজিক ও একাডেমিক বর্জন, কোনো শিক্ষার্থী তার সঙ্গে আর কোনো সামাজিক সম্পর্ক রাখবে না এবং তাকে কোনো একাডেমিক সহায়তাও দেওয়া হবে না।

২. দায়মুক্তি, তার ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা কোনো দায় বা জবাবদিহিতা বহন করবে না।

৩. সমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ, তাকে সকল গ্রুপচ্যাট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভাগীয় যোগাযোগমাধ্যম থেকে স্থায়ীভাবে বাদ দেওয়া হবে।

বিবৃতির শেষাংশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এই প্রস্তাব চূড়ান্ত, কার্যকর ও স্থায়ী। অর্থনীতি বিভাগের ১৮তম ব্যাচের একক অবস্থান হলো, নারীবিদ্বেষ, হয়রানি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করার কোনো স্থান নেই।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img