গণহত্যা চালিয়ে সুদানের গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের পর আল ফাশিরের বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ইসরাইল-আমিরাত সমর্থিত বাহিনী আরএসএফের প্রধান হামদান দাগলো।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আল ফাশির দখলে নেওয়া আরএসএফের উপর গণহত্যার অভিযোগ উঠায় শহরটির বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীটির প্রধান হামদান দাগলো।
৩ দিনের অবরোধ ও তীব্র লড়াই শেষে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর দেশটির সরকারি টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে তিনি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন।
বার্তায় তিনি বলেন, জনগণের ওপর নেমে আসা এই বিপর্যয়ের জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা এই যুদ্ধে বাধ্য হয়েছি। এটি আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সুদানের ঐক্যের স্বার্থে আল ফাশিরের মুক্তি প্রয়োজন, হোক তা শান্তিপূর্ণভাবে কিংবা যুদ্ধের মাধ্যমে।
আরএসএফ প্রধান দাগালো তার বাহিনীকে শান্তির বার্তাবাহক হিসেবে বর্ণনা করেন এবং যোদ্ধাদের বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি না করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, আটক কোনো সৈন্যকে হত্যা করা যাবে না, তা নিষিদ্ধ করা হলো। আর বেসামরিকদের সঙ্গে তোমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
এছাড়া প্রায় ১৫০০ বেসামরিক হত্যার ও বাসিন্দাদের নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে এর তদন্তের জন্য একটি দায়বদ্ধতা কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা আইনের পক্ষে আছি এবং যারা ভুল করেছে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনবো। তবে এর প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, আল ফাশির ছিলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পাওয়া সুদানের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ বুরহানের নেতৃত্বাধীন সরকারি বাহিনীর শেষ ঘাঁটি। এর পতনের মধ্যদিয়ে সরকারি বাহিনী কার্যত রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসে।









