গত তিন সপ্তাহে তুরস্ক থাকা ৩০ হাজার শরনার্থী নিজ দেশ সিরিয়াতে ফিরেছেন। এ নিয়ে মোট ৫০ হাজার সিরিয়ান নিজ দেশে ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর দেশটির নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানিয়েছে, দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে তারা ক্লান্ত। এখন তাদের ইচ্ছা- দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এই ঘোষণার পর থেকে এক এক করে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের শরণার্থী হিসেবে থাকা সিরিয়ার নাগরিকরা।
এদিকে, তুরস্ক থেকে ফিরে আসা শরণার্থীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন।
২০১১ সালে সিরিয়াতে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের পর থেকে প্রায় ৪০ লাখ সিরিয়ান নাগরিককে আশ্রয় প্রদান করে তুরস্ক। বিভিন্ন সময়ে এসব সিরিয়ার নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য এরদোগানের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল বিরোধী দলগুলো। তবে সেসব চাপ সামলে শরণার্থী সিরিয়ানদের বুকে টেনে নিয়েছিলেন এরদোগান।
উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে এক সময়ে পরিচিত ছিল সিরিয়া। কিন্তু দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের ফলে সিরিয়া এখন রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে এই ভঙ্গুর অবস্থায়ও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এরদোগান। সিরিয়া পুনর্গঠনে সর্বাধিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
সূত্র: দি নিউ আরব