প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা মেটাতে মিশরের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে লেবানন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা মেটাতে লেবানন আজ মিশরের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। জ্বালানি তেল নির্ভরতা কমিয়ে আনার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
লেবাননের পক্ষে জ্বালানিমন্ত্রী জো সাদ্দি এবং মিসরের পক্ষে পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী করিম বাদাউই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এনএনএ জানায়, উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সাদ্দি বলেন, লেবানন তার প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎস বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করছে। এই লক্ষ্যে উপসাগরীয় দেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সমঝোতা অনুযায়ী ভবিষ্যতে যখন মিশরের গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে, তখন লেবানন সেখান থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে পারবে।
চুক্তিগত ও মূল্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো সামনের সপ্তাহগুলোতে চূড়ান্ত করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মিশরের সঙ্গে সহযোগিতার প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে সাদ্দি বলেন, এর ফলে ভবিষ্যতে উত্তর লেবাননের দিয়ারে আম্মার বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে, যা হবে প্রাথমিক ধাপ।
তিনি আরও বলেন, এজন্য গ্যাস পাইপলাইনের সংস্কার, সিরিয়ার সঙ্গে সমন্বয় এবং মিশর ও জর্ডানের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন হবে।
তিনি এই সমঝোতা স্মারককে লেবাননে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস সরবরাহ পুনরুদ্ধারের একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে, ফলে অধিকাংশ পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ব্যয়বহুল বেসরকারি জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হয়। বহু বছর ধরে পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র, দুর্বল সঞ্চালন ব্যবস্থা ও দীর্ঘদিনের বিনিয়োগ ঘাটতির কারণে দেশটি স্থায়ী বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে, যা লেবাননের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটের অন্যতম বড় লক্ষণ হয়ে উঠেছে।











