আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজ্জা উপত্যকাকে খালি করার সময় এসেছে এবং তিনি জর্দান ও মিসরের নেতাদের গাজ্জার ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করতে বলেছিলেন, হয়তো সাময়িক বা স্থায়ীভাবে।
এ প্রস্তাব নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকত আলী খান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ট্রাম্পের গাজ্জার জনগণকে স্থানান্তরের প্রস্তাবটি অত্যন্ত চিন্তার এবং অন্যায়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায় এ প্রস্তাবকে গভীর উদ্বেগ এবং অন্যায় বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ফিলিস্তিনের ভূমি ফিলিস্তিন জনগণেরই, এবং একমাত্র কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত বিকল্প হল দুই-রাষ্ট্র সমাধান, যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে রয়েছে।
শাফকত আলী খান বলেন, পাকিস্তান ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় না এবং তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। দেশটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে আওয়াজ তুলেছে। ইসলামাবাদ “আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিনির অধিকারকে সমর্থন করে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যটি তখনই আসে, যখন ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি কার্যকর হয়, যা ১৫ মাসেরও বেশি সময়ের যুদ্ধ থামানোর একটি প্রচেষ্টা ছিল।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, মিসর এবং জর্দান এই প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে, আর আরব লীগ ফিলিস্তিন জনগণকে তাদের ভূমি থেকে উৎখাত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে।