সাধারণত খবর হয়ে থাকে বিভিন্ন জনের বক্তব্যের ওপর নির্ভর করে। তাই খবরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ‘নাম’। খবরের জন্য বিভিন্ন জনের নামের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হয়। অনেক সময় মিডিয়া নামের পরিবর্তনটা নিয়ে আসে। ইনসাফও বেশ কয়েকজন জাতীয় নেতৃবৃন্দের নামে পরিবর্তন এনেছিল। আজ দেশের মানুষ সেই নামেই চেনে তাদের।
আদর্শিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নামের বিষয় অনেক বেশী নজর দেয়। তারা তাদের মত করে নামগুলোকে উপস্থাপন করে। প্রয়োজনে বিশেষণ যুক্ত করে আবার অনেক সময় প্রসিদ্ধ অনেক বিশেষণ তারা ছেঁটে ফেলে।
ইনসাফেরও নামের বিষয় নীতিমালা আছে। অর্থাৎ আমরা কাকে কোন নামে পরিচিত করাবো, বা কার সাথে কোন বিশেষণ যুক্ত করব, তা নির্দৃষ্ট আছে। এখানে কিছু নাম ও নামের সাথে বিশেষণগুলো দিয়ে দেয়া হলো। সাথে নামের সংক্ষিপ্ত রূপও দেয়া হয়েছে। সংক্ষিপ্ত রূপ কখন ও কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা আগে জানানো হয়েছে।
ইনসাফে নির্দৃষ্ট এই চারজনের নামের শুরুতে ‘আল্লামা’ লেখা হয়-
আল্লামা শাহ আহমদ শফী – আল্লামা শফী
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী – আল্লামা বাবুনগরী
আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী – আল্লামা কাসেমী
আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী – আল্লামা আতাউল্লাহ
(এছাড়াও মাওলানা আশরাফ আলী বিজয়পুরী ও মাওলানা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জীর নামের সাথে কখনো কখনো আল্লামা লিখা হয়ে থাকে)
মাওলানা আবদুল মুমিন শায়েখে ইমামবাড়ী – শায়েখে ইমামবাড়ী
মুফতী ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী – মুফতী ইজহার
মাওলানা মুহিব্ববুল্লাহ বাবুনগরী (আল্লামা বাবুনগরী বা মাওলানা বাবুনগরী লেখা নিষেধ)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান – বঙ্গবন্ধু/শেখ মুজিব (জাতির পিতা লেখা হয়না ইনসাফে)
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান – শহীদ জিয়া
বেগম খালেদা জিয়া – খালেদা জিয়া/বেগম জিয়া (দেশনেত্রী/দেশ-মাতা লেখা যাবে না, বা শুধু খালেদাও লেখা নিষেধ)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা – প্রধানমন্ত্রী/শেখ হাসিনা (শুধু হাসিনা লেখা নিষেধ। এছাড়াও জননেত্রী বা দেশরত্ন, এসবও লেখা যাবে না)
রজব তাইয়্যেব এরদোগান – এরদোগান
আমিনা এরদোগান
হুসাইন মুহাম্মাদ এরশাদ – এরশাদ
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর – ফখরুল/মির্জা ফখরুল
ওবায়দুল কাদের (এটার সংক্ষিপ্ত করা নিষেধ)
এখানে অল্প কিছু নাম দেয়া হয়েছে। সবনাম যুক্ত করা সম্ভব হয়নি। আপনাদের যদি অন্য কারো নামের বিষয় জানার থাকে, তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন
____________________________________________
নিউজের মধ্যে অন্তত একবার হলেও স্থান বা ব্যক্তির পুরো নামটা উল্লেখ করতে হয়। যেমন ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ এটা পূর্ণ নাম। এর সংক্ষিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও আ’লীগ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল – সংক্ষিপ্ত বিএনপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় – সংক্ষিপ্ত : ঢাবি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় – সংক্ষিপ্ত : চবি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন – সংক্ষিপ্ত : চসিক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ – সংক্ষিপ্ত : রাজউক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সংক্ষিপ্ত : সিডিএ ইত্যাদি।
বেগম খালেদা জিয়া – সংক্ষিপ্ত : খালেদা জিয়া/বেগম জিয়া, মাহবুব-উল আলম : হানিফ – সংক্ষিপ্ত হানিফ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর – সংক্ষিপ্ত : মির্জা ফখরুল/ফখরুল, আল্লামা শাহ আহমদ শফী – সংক্ষিপ্ত : আল্লামা শফী, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী – সংক্ষিপ্ত : আল্লামা বাবুনগরী ইত্যাদি।
নিউজের প্রথম প্যারায় নামের পূর্ণ রূপটা লিখতে হবে। এর পরের প্যারাগুলোতে সংক্ষিপ্ত রূপটা লিখতে হবে। শিরোনামের মধ্যে সংক্ষিপ্ত রূপটা ব্যবহার হবে সবসময়।
তবে, কিছু নাম আছে_ যেগুলোর সংক্ষিপ্ত রূপ করা যায়না। যেমন- ওবায়দুল কাদের, আহমদ আবদুল কাদের ইত্যাদি।
নিউজের মধ্যে নাম লেখার নিয়ম










