রাষ্ট্র বিরোধী আখ্যা দিয়ে হারেৎজ পত্রিকা বয়কট ঘোষণা করলো গাজ্জায় গণহত্যা চালিয়ে যাওয়া ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম অবৈধ রাষ্ট্রটির সরকার হারেৎজ পত্রিকার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বয়কট ঘোষণা করেছে। সরকারের অভিযোগ, যুদ্ধকালীন সময়ে পত্রিকাটি শত্রুদের সমর্থন করছে।
ইসরাইলী সামরিক রেডিও গালেই জাহাল জানিয়েছে, সরকার হারেৎজ-এর সঙ্গে বিজ্ঞাপন ও সম্পাদকীয় উভয় ক্ষেত্রেই সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলো বিজ্ঞাপন সংস্থা এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পত্রিকাটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
একটি ইসরায়েলি রেডিও চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের নভেম্বরে জারি করা এক সরকারি আদেশের ভিত্তিতে। ওই আদেশে এও বলা হয়েছিলো যে, ইসরাইলী সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের মিডিয়া দপ্তরগুলোকে সরকারি অ্যাকাউন্টের সাথে হারেৎজ-এর সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখতে হবে।
অবৈধ রাষ্ট্রটির অপর এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, গাজ্জায় যুদ্ধ চলাকালে হারেৎজ এমন সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে যা বিশ্বে ইসরাইল রাষ্ট্রের বৈধতা ও আত্মরক্ষার অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যে পত্রিকার প্রকাশক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানায় এবং যুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুদের সমর্থন করে, তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক সরকার মেনে নেবে না। একারণেই পত্রিকাটির সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে কোনো সরকারি বিবৃতি তাদের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে না।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এই সিদ্ধান্তটি এসেছে এমন এক সময়ে, যখন প্রায় এক মাস আগে ইসরাইলী পার্লামেন্ট নেসেট মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপকারী একটি বিলের প্রথম ভাগের অনুমোদন দেয়।
ইয়েদিওত আহারোনোথ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, মিডিয়া ব্যবস্থার সংস্কার শীর্ষক ওই বিলটি যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি উত্থাপন করেন এবং তা নেসেটের প্রাথমিক ভোটে পাস হয়।
এই আইনের মাধ্যমে রাব্বিনিক্যাল আদালতের (ইহুদিদের ধর্মীয় আদালত) ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারাভ-মিয়ারার কর্তৃত্বকে খর্ব করে। তিনি এই বিলের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, এতে ইসরাইলে স্বাধীন গণমাধ্যমের ভাবমূর্তি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি সতর্ক করে এও বলেছিলেন যে, এতে গণমাধ্যমের কার্যক্রমে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রভাব এবং হস্তক্ষেপের গুরুতর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।











