Home Blog Page 1651

বই হচ্ছে জীবনের পাল তোলা নৌকা: ওবায়দুল কাদের

0

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বইকে বলি জীবনের পাল তোলা নৌকা। যতই পড়িবে ততই শিখিবে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় চিত্রনায়িকা জাহারা মিতুর ‘প্রেমিকার নাম কবিতা’ বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

সবাইকে বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। পড়াশোনা ছাড়া কেউ বড় হতে পারবে না। বড় হতে হলে বই পড়তে হবে এবং আরও পড়তে হবে। শেখার কোনো শেষ নেই, পড়ার কোনো বিকল্প নেই।

বইমেলা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বইমেলায় এবার আমার খুব ভালো লেগেছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। আগের চেয়ে ধুলো-বালি অনেক কম।

ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বার বার হত্যা করেছে আ. লীগ: মোশাররফ

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বার বার হত্যা করেছে। স্বাধীনতা অর্জন করেছি কিসের জন্য বা কী তার চেতনা ছিল? গণতন্ত্র। আজকে যখন ৫১ বছর পরে আলোচনা করতে দাঁড়াই, তখন সবাই বলি দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, কেউ বলবে না গণতন্ত্র আছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বেশ কিছু দিন আগে আমেরিকায় একটি গণতান্ত্রিক কনভেনশন হয়েছিলে, এখন আরেকটি গণতান্ত্রিক সম্মেলন হচ্ছে। দুইবারই বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পায়নি। কেননা তারা পরিষ্কার বলেছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। যারা শাসন করছে তারা হাইব্রিড শোষক। এজন্য কিন্তু আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা এদেশে প্রাণ দেননি, ভাষা শহীদরা প্রাণ দেননি। প্রাণ দিয়েছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, ভাষা আন্দোলনের চেতনা বলেন আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলেন, এদেশে গণতন্ত্রকে বারবার হত্যা করা হয়েছে। প্রথম হত্যা করা হয়েছে আজকে যারা ক্ষমতায় আছে এই আওয়ামী লীগ যখন স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় ছিল। তখন তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে। আজকে আবার এই আওয়ামী লীগ ১৪ বছর গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে মানুষের ভোটের অধিকার নেই। শুধু সংসদ নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট আগেই নির্ধারিত হয়ে যায়। আজকে আওয়ামী লীগের সময়ে গণতন্ত্রকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি: রাষ্ট্রপতি

0

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ভাষা আন্দোলন ছিলো আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্ত্বা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলন। ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে আসে বাঙালির চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ‘মহান শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, নিজ ভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি বহুভাষিক শিক্ষার মাধ্যমে টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ইতিবাচক অবদান রাখবে।

আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশের চেতনা আজ অনুপ্রেরণার অবিরাম উৎস। তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির যথাযথ চর্চা ও সংরক্ষণে আমাদের আরো যত্নবান হতে হবে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে বাংলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগণ ও জাতিগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। স্মৃতিবিজড়িত এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মাতৃভাষা বাংলার অধিকার আদায়ে জীবন উৎসর্গকারী ভাষা শহীদ রফিক, সালাম, বরকত, জববার, শফিউরসহ নাম না জানা শহীদদের।

আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ শাসিত ভারত ভেঙে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের জন্ম হয়। হাজার কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে অবস্থিত পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের ভাষা ও সংস্কৃতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করা হলে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে।

মহান একুশের চেতনাকে ধারণ করে পৃথিবীর নানা ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধ জাগ্রত হবে, গড়ে ওঠবে একটি বৈষম্যহীন বর্ণিল বিশ্ব- সেই প্রত্যাশায় করেন রাষ্ট্রপতি।

বিএনপি গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা: তথ্যমন্ত্রী

0

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র চর্চার পথে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে আরো গভীরে প্রোথিত করার ক্ষেত্রে বিএনপি হচ্ছে একটি প্রতিবন্ধকতা।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা গণতন্ত্রকে হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত এবং সেই অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সমস্ত প্রচেষ্টা তারা চালিয়েছে। তারা আসলে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায় বলেই সেটিকে ঢাকার জন্য নানা ধরনের বক্তব্য রাখে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পৃথিবীর সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার পদত্যাগ করে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির মুখে বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরবে না, এটা ১৪ বছর থেকে শুনছি। সেটি করতে গিয়ে দেখা গেল বিএনপিই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, জনগণের কাছে বিএনপির পতন হয়ে গেছে।

বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম: প্রধানমন্ত্রী

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি জাতির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বহুভাষায় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা।’

প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে বাংলাসহ বিশ্বের সব ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকেই এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে।

মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব-এর আদর্শকে ধারণ করে, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’- যা স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে অর্জিত হবে। সেই সঙ্গে আমরা বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়ন করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ বাঙালির গৌরবময় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস যুগে যুগে আমাদের জাতীয় জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বার বার কারাবরণ করেছেন। ১৯৪৭ সালের ২৭ নভেম্বর করাচিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকায় এ খবর পৌঁছামাত্রই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাজা নাজিমুদ্দিনের বাসভবনের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে। এর কিছুদিন পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র শেখ মুজিব তার সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঢাকায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে এক সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করে খাজা নাজিমুদ্দিন আইন পরিষদে ঘোষণা দেয়, পূর্ব বাংলার জনগণকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু নাজিমুদ্দিনের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিস ও অন্যান্য দলের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১১ মার্চের ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে শেখ মুজিবসহ অনেক ভাষাসৈনিক সচিবালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন এবং ১৫ মার্চ মুক্তি পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আমতলার সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জিন্নাহ ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে উর্দুর পক্ষে বক্তব্য রাখে এবং ২৪ মার্চ কার্জন হলে আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা দিলে ছাত্ররা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে।

ভাষা আন্দোলনকে জাতীয় আন্দোলনে রূপদান করতে শেখ মুজিব দেশব্যাপী সফরসূচি তৈরি করে ব্যাপক প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন এবং সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি মুক্তি পান। ১৯ এপ্রিল আবার গ্রেপ্তার হয়ে জুলাই মাসে মুক্তি পান। এরপর তিনি ১৯৪৯ সালের ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। শেখ মুজিব ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ থেকেও ভাষাসৈনিক ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন এবং আন্দোলনকে বেগবান করতে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ তিনজন দূত মারফত এই মর্মে খবর পাঠান যে ২১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী হরতাল ডাকতে হবে। শেখ মুজিব আমরণ অনশন ঘোষণা করলে ১৬ ফেব্রুয়ারি কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলে স্থানান্তরিত করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব-বাংলা ব্যবস্থাপক পরিষদের বাজেট অধিবেশনের জন্য নির্ধারিত ছিল। শেখ মুজিবের পরামর্শ ও নির্দেশ অনুযায়ী, ওইদিন সারাদেশে সাধারণ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে এবং সেখানে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে কতগুলো তাজা প্রাণ নিমেষেই ঝরে পড়ে, অনেকে আহত হন, অনেকে গ্রেপ্তার হন। ২২ ফেব্রুয়ারি হরতাল পালিত হয়।

তিনি বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভা গঠন করে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়, প্রথম ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে এবং শহীদ মিনার তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করে। দুর্ভাগ্য, ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর সামরিক শাসন জারির ফলে সেই আকাঙ্ক্ষাগুলো আর পূরণ হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা সব দাপ্তরিক কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ দেন। তিনি সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করেন। বাংলায় জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা দিয়ে আমাদের মাতৃভাষাকে বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে কানাডা প্রবাসী রফিক এবং ছালাম নামে দু’জন বাংলাদেশি কয়েকজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্য মিলে ‘মাতৃভাষা সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন করে। ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সংরক্ষণ ও তাদের মর্যাদা রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করেছি। ২০১৭ সাল থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বইসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করছি।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সৈনিক হবে নতুন প্রজন্ম: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

0

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সৈনিক হবে নতুন প্রজন্ম, তাই তাদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রহমান মিলনায়তনে ঝুমঝুমি প্রকাশন আয়োজিত ‌‘ডিজিটাল সময়ের বর্ণমালা এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। বইটি লিখেছেন মোস্তফা জব্বার নিজেই।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির চ‌্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পারলে আগামীর বিশ্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা যাবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রভাব দেশের প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে প্রসারিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতার ধারাবাহিকতায় আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা শুরু করেছি।

তিনি বলেন, দেড় বছর গবেষণার পর কম্পিউটারের ইংরেজি কি-বোর্ডের ২৬টি বোতামে ৪৫৪টি (বিভিন্ন যুক্তাক্তরসহ) বাংলা হরফ লেখার পদ্ধতি উদ্ভাবন সম্ভব হয়। দেশে উপযুক্ত প্রোগ্রামার না পেয়ে দিল্লিতে দেবেন্দ্র জুসি নামের একজন প্রোগ্রামারের মাধ‌্যমে বিজয় বাংলা সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা হরফের সুবাদে প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এক সময় কলকাতা থেকে শীশার হরফ এনে প্রকাশনা শিল্প চালাতে হতো। আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি কলকাতায় বিজয় বাংলা সফটওয়্যার রপ্তানি হচ্ছে।

ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতি

0

চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে শূন্য দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে। যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৯০ শতাংশ।

এদিকে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে কৃত্রিম মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি বাদ দেয়ার পর নগদ অর্থের সংকটে পড়ে দেশটি। এতে মার্কিন ডলারের বিপরীতে এক চতুর্থাংশেরও বেশি মূল্য হারায় পাকিস্তানি রূপি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বেলআউট থেকে তহবিল সংগ্রহ করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় আর্থিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করায় জ্বালানির দাম এক পঞ্চমাংশেরও বেশি বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে প্রথম সাত মাসে দেশটির ঘাটতি বেড়েছে ৬৭ শতাংশ। এতে করে গত বছরে একই সময়ে যেখানে চলতি হিসাবে ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মজুত ছিল, তা বর্তমানে কমে হয়েছে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়িন মার্কিন ডলার।

খালেদা জিয়া নির্বাচনের যোগ্য নন : ওবায়দুল কাদের

0

নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি (খালেদা জিয়া) দণ্ডিত, এই অবস্থানটা তার নির্বাচন করার পক্ষে নয়। নির্বাচনের যোগ্য নন তিনি। বিএনপির নেতা হিসেবে তিনি যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে তাকে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বইয়ের স্টল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সংঘাত চায় না, শান্তি চায়। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সংঘাতের দিকে যেতে চায়। ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন করতে না পারে সেজন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সতর্ক ও প্রস্তুত আছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি নেই। বিক্ষোভ সমাবেশ করতে লোক লাগে, সংঘাত করতে দু’চারজন হলেই চলে। বিএনপির সে স্বভাব ও শিক্ষা আছে।

বিদেশি চাপ সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই দূতাবাস ও হাইকমিশনে নালিশ করতে যায়। এজন্য বিএনপিকে মানুষ নালিশ পার্টি বলে। চাপে আওয়ামী লীগ সরকার নয়, বিএনপিই আছে। ডোনাল্ড লু (মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী), মার্কিনিদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ বৈঠক না হওয়ায় বিএনপির এখন হতাশা। আমরা চাপে নেই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী চলছি।

একুশের চেতনার ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

0

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, একুশের চেতনার ফসল আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। একুশ আমাদের অহংকার। একুশ আমাদের প্রেরণার অজস্র উৎস। অমর একুশ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, গৌরবগাঁথা ও প্রাণভোমরা।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি ।

ফরিদুল হক খান বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দান, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু, সংসদের দৈনন্দিন কার্যাবলি বাংলায় চালু প্রসঙ্গে আইন সভায় গর্জে ওঠেন ও মহানায়কের ভূমিকা পালন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা মনিটরিং করছে কমিশন : আইনমন্ত্রী

0

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ণ করে তার অধীনে একটি শক্তিশালী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই কমিশন দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেই কমিশন ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা নাকাতানি জেনের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিশেষ উপদেষ্টা নাকাতানি জেন ৯ সদস্যের জাপানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এসময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার পরিস্থিতি, গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা, হলি আর্টিজান মামলার অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পায়।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচার করেছে। একাত্তরের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করছে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের নাগরিকদের খাদ্য ও গৃহসংস্থানের অধিকার পূরণে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুগান্তকারী বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গৃহহীন সব মানুষকে বিনামূল্যে গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত। তিনি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় তার কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় থেকে সুচিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার শ্রম আইন সংশোধনসহ কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে গার্মেন্টস খাতের কর্মপরিবেশ আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। সরকার শ্রম আইনকে সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইনে পরিণত করার চেষ্টা করছে; আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী আইনটিকে আরও শ্রমবান্ধব করার কাজ চলছে।