Home Blog

রাজধানীতে নিষিদ্ধ সংগঠন আ’লীগের সাবেক এমপিসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

0

আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট ও ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির দায়ে রাজধানী থেকে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিসহ ছাত্রলীগ ও তাদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১০ মে) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার আওয়ামীলীগ মনোনীত সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম ওরফে শামীমা শাহরিয়ার (৪৫), দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান মতি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআর আই) পরিচালক ও শেখ হাসিনার সহকারী প্রেসসচিব আশরাফ সিদ্দিকী ওরফে বিটু (৪৪), কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নেছার আহমেদ ওরফে নেছার উদ্দিন হাওলাদার (৩৫), দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম (৪০), নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন সরকার (৫৫) ও দক্ষিণ বাড্ডা বাজার ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম বিপ্লব (৫৩)।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১টায় ধানমন্ডি এলাকা থেকে শামীমা আক্তার, আশরাফ সিদ্দিকী ওরফে বিটু, দারুসসালাম এলাকা থেকে দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে ইমরান মতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাভারের কুমকুমারি বাজার এলাকা থেকে ৫টা ৫ মিনিটে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া লালবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাত পৌনে ১২টায় মোশারফ হোসেন সরকারকে, বাড্ডা থানার ১৮ নং সেক্টর থেকে মহিদুল ইসলাম বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

সূত্র: ইউএনবি

ঢাকাসহ ৮ অঞ্চলে বৃষ্টির আভাস

0

আজ রাত ১টার মধ্যে ঢাকাসহ দেশের আট অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়ো বৃষ্টির হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (১১ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ রাত ১টার মধ্যে রংপুর, ঢাকা, ফরিদপুর, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আ’লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

0

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। একই সঙ্গে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে দলটি।

রোববার (১১ মে) এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ এ কথা জানান।

তারা বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সময়োচিত, বাস্তবধর্মী এবং দেশ ও জাতির স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছি। এই সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার অতীতের অবিচার ও নিপীড়নের বিচারিক পথ সুগম করলো।

নেতারা বলেন, গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের ওপর যে সীমাহীন নির্যাতন, হত্যা, গুম, গ্রেফতার ও দমন-পীড়ন চালিয়েছে, তা ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস, বিরোধীমত দমন এবং ইসলামপন্থিদের ওপর অমানবিক হামলা, নির্যাতন-নিপীড়নসহ এমন অপরাধের বিচারকাজ নির্বিঘ্ন ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে হলে এই নিষেধাজ্ঞা অপরিহার্য ছিল।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনে করে, জাতিকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ উপহার দিতে হলে অতীতের সব অপরাধের বিচার হওয়া আবশ্যক। আর এই বিচারের পথে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি বড় অগ্রগতি।

তারা বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দ্রুত ফ্যাসিট হাসিনা, তার লেসপেন্সারদের এবং দল আওয়ামী লীগের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করুন। শাস্তি কার্যকর করুন।

তারা আরও বলেন, অন্তবর্তী সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে রাজপথে থেকে যারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আন্দোলনরত সেই ছাত্র-জনতা, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের অভিনন্দন জানায়। আশা করছি, দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে এবং জাতীয় জীবনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ন্যায়বিচার ফিরে আসবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বাঙ্কার নির্মাণ করেছে বিএসএফ

0

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চরধরমপুর সীমান্তের ওপারে দুটি বাঙ্কার নির্মাণ করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরধরমপুর বিওপির নায়েবে সুবেদার আশরাফুল ইসলাম।

এরআগে, শুক্রবার (৯ মে) আন্তর্জাতিক সীমান্তের মেইন পিলার ২০১/১৩-এস থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এবং মেইন পিলার ২০১/১৭-আর থেকে আনুমানিক ২০০ গজ ভিতরে বালুর বস্তা দিয়ে এই বাঙ্কারগুলো নির্মাণ করে বিএসএফের সদস্যরা।

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে তাদের চেকপোস্টের পাশে বালুর বস্তা দিয়ে বাঙ্কার নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে। তবে বর্তমানে সীমান্তের অবস্থা শান্তিপূর্ণ।

এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও জানান কর্নেল গোলাম কিবরিয়া

আ’লীগকে নিষিদ্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টাকে বারবার চিঠি দিয়েছি: মির্জা ফখরুল

0

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসকে বারবার চিঠি দিয়েছে বলে দাবি করেছন বিএনপি এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তার হাতে দেওয়া পত্রে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছিলাম।

রোববার (১১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

ফখরুল বলেন, ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎকালেও তার হাতে দেওয়া পত্রে আমরা পতিত ফ্যাসিবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল তাদের বিচার দ্রুত শেষ করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার দাবি জানিয়েছি।

তিন বলেন, আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশে ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বার বার উত্থাপন করেছি। উল্লেখযোগ্য যে, আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আনন্দিত যে বিলম্বে হলেও গতরাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অপশাসন চালনাকারী, ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক বলে মনে করি। তবে, আমাদের দাবি মেনে আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মনে রাখবে বলে আমরা আশা করি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিও ক্রমাগত উপেক্ষিত হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

আ’লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনকল্যাণে ব্যয় করা উচিত: নুর

0

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে জনগণের যে সম্পদ লুটপাট করেছে, তা বাজেয়াপ্ত করে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত।

রোববার (১১ মে) দুপুরে পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, পতিত সরকারের সময়ে বিরোধী দলসমূহ একটি সমাবেশ করেছিল। এরপর থেকে প্রায় ৩০ হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অথচ গত ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের মাত্র ৩২ জন নেতাকর্মীও গ্রেফতার হয়নি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হলে তা এক সময় দেশের জন্য বড় সংকট হয়ে দাঁড়াবে। আওয়ামী লীগ এখন আর শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি সীমান্তের ওপার থেকেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শক্তি হিসেবে কাজ করছে। গত নয় মাসে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে।

তিনি আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদ, জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন দল সম্প্রতি শাহবাগ, পল্টন, প্রেস ক্লাব এলাকায় আন্দোলন করেছে। আমরাও যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি দিতে চেয়েছিলাম। তবে সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয় যে, প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি নিয়ে কনসার্ন আছেন। তরুণদের কথা শোনার মাধ্যমে তিনি আগামীর বাংলাদেশে একটি গতিপথ তৈরি করতে চান এই বিশ্বাস থেকে আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে গোপন বৈঠক করছেন। এরপরই আমরা দেখি করিডর দেওয়ার ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের ইঙ্গিত। সেই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দেশ ত্যাগ করেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পালিয়ে যাওয়ার দায় শুধু কিশোরগঞ্জের এসপির নয়, এর পেছনে ইমিগ্রেশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভূমিকা থাকতে পারে। অথচ সরকার দায় চাপিয়েছে শুধু এক জেলা পুলিশ কর্মকর্তার ঘাড়ে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার আমাদের রক্ত-ঘাম ও জেল-জুলুমের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে। কাজেই এ সরকারের বিরুদ্ধেই আবার আমাদের যদি ঘেরাও করে দাবি আদায় করতে হয়, তাহলে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করি, যেকোনো জনসম্পৃক্ত দাবি প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।

পাকিস্তানের সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সক্ষমতা দেখে হতভম্ব ভারত: ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক

0

পাকিস্তান তার সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার মাধ্যমে ভারতকে অপ্রত্যাশিতভাবে চমকে দিয়েছিল। ফলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয় ভারত। এমন মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক প্রফেসর মাইকেল ক্লার্ক।

শনিবার (১০ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে ক্লার্ক বলেন, এই মুহূর্তে সবার দৃষ্টি জে-১০ যুদ্ধবিমানের দিকে। কারণ বিশ্ববাসী এখন জানতে পেরেছে, পাকিস্তান চীনা প্রযুক্তি-নির্ভর সরঞ্জাম ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। “ভারতীয়রা হয়তো পাকিস্তানের ব্যবহৃত সরঞ্জাম দেখে অবাক হয়েছে।”

ক্লার্ক আরো বলেন, “আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, পাকিস্তানের একটি জে-১০ যুদ্ধবিমান ভারতের একটি রাফাল যুদ্ধবিমানের ভূপাতিত করেছে। নিঃসন্দেহে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান তাদের এইচকিউ-৯ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা হয়তো বেশ কার্যকর ছিল।”

তিনি বলেন, “তাই আমি মনে করি, পাকিস্তানের চীনা সরঞ্জামের সঙ্গে অর্জিত প্রযুক্তিগত দক্ষতা দেখে ভারতীয়রা অবাক হয়েছে, তবে তারা [জেনারেল আসিম] মুনিরের আক্রমণাত্মক মনোভাবে অবাক হয়নি, কারণ তারা এটি আশা করেছিল।”

ভারতের উদ্দেশ্য ছিল, পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে একটি শিক্ষা দেওয়া যে, ভারত যে কোন কিছুর জন্য প্রস্তুত। এমনকি তারা তাদের পশ্চিমাঞ্চলীয় নৌবহরের একটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান চতুর্থ দিনের হামলা ও পাল্টা হামলার পর “পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি”তে সম্মত হয়েছে।

সূত্র: জিও টিভি

পাকিস্তানের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে আমেরিকার কাছে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায় ভারত: সিএনএন

0

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আকস্মিক প্রতিরোধ দিল্লিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য করেছে। পাকিস্তানের দুর্ধর্ষ মিসাইল হামলার ভয়াবহতার কবলে পড়ে ওয়াশিংটনের কাছে যুদ্ধ বিরতির জন্য অনুরোধ করে ভারত। শনিবার রাতে পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরপর এমন বার্তা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এর যুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিক নিক রবার্টসন।

শনিবার সিএনএন’কে রবার্টসন বলেন, পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিতে ভারতীয় আক্রমণের পর পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসলামাবাদ। ভারতীয় সামরিক স্থাপনা, বিমানঘাঁটি ও অস্ত্র গুদাম লক্ষ্য করে একের পর এক মিসাইল ও রকেট নিক্ষেপ করে পাকিস্তান। এতে হতভম্ব হয়ে যায় ভারত। তারা বুঝতেই পারেনি কী ঘটেছে।

সিএনএন’র সাথে আলাপকালে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় উপস্থিত একজন কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দেন রবার্টসন।

তিনি বলেন, কূটনৈতিক আলোচনার সুযোগ দিতে চেয়েছিল পাকিস্তান। এজন্য একটি ‘সামরিক বিরতিতে’ ছিল পাক সেনাবাহিনী। তবে এর মধ্যেই আক্রমণ শুরু করে ভারত। জবাবে মিসাইল ও রকেট ব্যবহার করে তীব্র আক্রমণ চালায় ইসলামাবাদ। যার ফলে অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও, সৌদি আরব ও তুরস্কের কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতা চাইতে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি।

রবার্টস আরো বলেন, এক ধরনের আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কথাটা ছিল এমন, “এখন যুদ্ধ বিরতি না হলে আর কখনোই সম্ভব নয়।”

উল্লেখ্য, গত ৭ মে পাকিস্তানে মিসাইল হামলা চালিয়ে নারী ও শিশু সহ অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এতে করে দীর্ঘ কয়েক দশকের বৈরিতা আবারো সংঘাতে রুপ নেয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে ভারতে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে ভারতের তিনটি রাফালসহ মোট ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপতিত হয়।

সূত্র: জিও টিভি

নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কর্মকাণ্ড ঢাকায় চলবে না: ডিআইজি রেজা

0

ঢাকা এরিয়ার মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন কোনো ধরনের কার্যক্রম করতে পারবে না বলে এসপিদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক।

তিনি বলেন, যদি কেউ করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আজ রোববার (১১ মে) দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, যদি জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা কেউ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সক্ষমতা ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের রয়েছে। আমার অধীনে এসপি-ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড আপনার এলাকায় চলবে না।

ট্রম্পকে নয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় এরদোগানকে চান পুতিন

0

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে, তিনি আলোচনার জন্য পশ্চিমা শক্তিগুলোর প্রস্তাবিত কূটনৈতিক পথ এড়িয়ে গিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বেছে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

শনিবার (১০ মে) মস্কোতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিষয়ে কথা বলেন পুতিন।

তিনি বলেন, আগামী ১৫ মে ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে কোন ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই ইউক্রেনের সাথে সরাসরি শান্তি আলোচনা করতে প্রস্তুত রাশিয়া।

এ সময় তিনি আরো বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু সেটা হতে হবে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই — মূল সমস্যাগুলোর সমাধানের মাধ্যমে।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এরদোগানকে সামনে রেখে পুতিন পশ্চিমাদের প্রভাব কমিয়ে আলাদা কূটনৈতিক মঞ্চ তৈরি করতে চাইছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, পুতিনের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট করে দেয় যে তিনি পশ্চিমা নেতাদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় শক্তিগুলোর—অবস্থানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছেন। তার পরিবর্তে তিনি এমন একজন নেতার উপর ভরসা রাখছেন, যিনি ন্যাটো সদস্য হলেও রাশিয়ার সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করেছেন।

প্রসঙ্গত, এরদোগান আগে থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মাঝে মধ্যস্থতা করে শস্য রপ্তানি চুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্জনে ভূমিকা রেখেছিলেন।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন ও পশ্চিমা নেতারা ১২ মে থেকে এক মাসের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তবে পুতিন সেই আহ্বানের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করেই আলোচনার প্রস্তাব দেন।

সূত্র: রেডিও ফ্রি ইউরোপ