Home Blog Page 4545

ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে আবেগাপ্লুত শহীদ আবরারের বাবা

0

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে জবানবন্দি দেন মামলার বাদী ও নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। এখন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করছেন।

তিনি এজাহারের বক্তব্য সমর্থন করে জবানবন্দি প্রদান করে আদালতের কাছে ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। এ সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, আসামিরা আমার ছেলে আবরার ফাহাদ রাব্বীকে ছয় ঘণ্টা ধরে অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই আদালতে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন মামলার বাদী আবরারের বাবা জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারবহির্ভূত ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।

গ্রেফতার ২২ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

মামলার তিন আসামি এখনও পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।

১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

দেশজুড়ে নারী নির্যাতনের ঘটনায় উত্তাল রাজপথ

0

দেশজুড়ে নারী নির্যাতনের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভ-সমাবেশ-মিছিলে উত্তাল রাজপথ।

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে নির্যাতনসহ সারাদেশে সংঘটিত ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন সম্মিলিত ছাত্র-জনতা।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিনের বিচারহীনতায় নারী-শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এসব ঘটনায় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা লোকজন জড়িত। নোয়াখালীর ওই ঘটনা ৩২ দিন আগের। এতদিন রাষ্ট্র, এই সরকার কী করেছে? এভাবে আর চলতে পারে না। এবার রাস্তায় নেমে আসতে হবে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের আহ্বানে গণঅবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়ে শাহবাগ ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন তারা। জাতীয় জাদুঘরের সামনে ও শাহবাগ মোড় অবরোধ করে স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশে নেত্রকোনার নেত্রী মাকসুরা আক্তার বলেন, ‘রাস্তায় নেমে আসতে হবে। সরকারকে জানান দিতে হবে এভাবে আর চলতে পারে না। এই সরকারের কাছে মা-বোন সুরক্ষা পাচ্ছে না। কেন আমার মা-বোনরা একে একে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছে। ধিক্কার ধিক্কার এই সরকারকে।’

এ সময় ‘এই ধর্ষক রাষ্ট্র, এই ধর্ষক সরকার চাই না’, ‘যে সরকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ পালে সেই সরকার চাই না’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয় শাহবাগ।

বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা ধর্ষিত হয়েছি ২০১৮ সালের নির্বাচনেও। সে সময় সুবর্ণচরে নারী ধর্ষণের ঘটনার বিচার হয়নি। দীর্ঘদিনের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এই রাষ্ট্রে ধর্ষণ-শ্লীলতাহানির বিচার হয় না।’

ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা শহীদুল হক বলেন, ‘প্রতিবারই আমরা বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামি, তারপর টনক নড়ে। এবার নোয়াখালীর নারী ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ৩২ দিন আগের। এতদিন কিছুই হয়নি জড়িতদের। যখন বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে, প্রতিবাদ শুরু হলো তখন টনক নড়ল। ধর্ষক গ্রেফতার হলো। এই গ্রেফতারদের ছবি কাদের সাথে দেখা যায়, সরকারদলীয় লোকজন, স্থানীয় এমপির সাথে। আমরা মানবিক রাষ্ট্র চাই। মা-বোনের সম্ভ্রম রক্ষায় মানবিক পুলিশ চাই।’

তিনি বলেন, ‘এই ক্ষমতা বেশিদিন থাকবে না। ওয়াদা করছি, গুম-খুন-ধর্ষণের সরকারকে আমরা টেনে নামাব।’

ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের প্রোগ্রামে হামলা এর চেয়ে বড় দুঃখজনক আর হতে পারে না। আমরা ধর্ষণের প্রতিবাদ করি আর আমাদের বিভিন্ন মামলা-হামলার হুমকি দেয়। আজ নারায়ণগঞ্জে আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। যার জন্য সারা বাংলাদেশের এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে কোনো ধর্ষকের বিচরণ নেই।’

এছাড়া রাজধানীর উত্তরা ও নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে সারাদেশে নারীর শ্লীলতাহানি, নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা।

সোমবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে তারা এ মানববন্ধন পালন করেন।

কর্মসূচিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সহ-সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল কবির বলেন, সারাদেশে আজ নারীদের ওপর নির্যাতন-অত্যাচার ও ধর্ষণ বেড়ে গেছে। বিভিন্নভাবে নারীদের নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের মা-বোনেরা আজ নিজেদের ইজ্জত রক্ষা করতে ঘরবন্দি হয়ে পড়ছেন। মুক্তভাবে তারা চলাফেরা করার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলছেন। নারী নির্যাতনকারীরা অপরাধ করেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকছে। অনেককে আবার আইনের আওতায় আনা হলেও নানাভাবে তারা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দেশে নারী নির্যাতন বেড়ে চলছে।

ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না সরকার: ওবায়দুল কাদের

0

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধর্ষণের ঘটনায় সরকার দায় এড়াতে পারে না বলেই প্রতিটি ঘটনার বিচার নিশ্চিত করা হচ্ছে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

ধর্ষণের এ ইস্যু নিয়ে রাজনীতি না করে সবাইকে নারীর প্রতি সহিংসতা রুখতে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় সরকার অপরাধীদের শাস্তি দিচ্ছে। তবে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়তে হবে। এ ধরনের ইস্যু নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার ক্ষমতায়, কি করে দায় এড়াবে? প্রত্যেকটি ব্যাপারে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। দলীয় পরিচয়ের কেউ থাকলেও তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটা শুধু মুখে না, বাস্তবেও কার্যকর করা হচ্ছে।

এদিকে ধর্ষকদের বিচারের ইস্যু নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই দিনেই কি বিচার হবে?

নোয়াখালীর ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠতে পারে: আল্লামা বাবুনগরী

0

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একজন নারীকে বিবস্ত্র করে বর্বরোচিত নির্যাতন চালানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবী জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

আজ ৫ অক্টোবর সোমবার রাজধানীর বারডেম জেনারেল হসপিটাল থেকে সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব বলেন, সম্প্রতি সময়ে দেশে ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনক মাত্রায় বেড়েছে। সংবাদপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী নোয়াখালির এ ঘটনা আইয়্যামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে।

এ ঘটনার বিবরণ শুনে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মানুষ কিভাবে এতটা হিংস্র হতে পারে! বর্বরোচিত কায়দায় এভাবে কোন মা-বোন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর চুপ করে ঘরে বসে থাকা যায় না।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন, এ ঘটনায় এক মাস পার হয়ে গেলেও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লম্পটদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি তা বড়ই দুঃখজনক। অবহেলার এ দায় স্থানীয় প্রশাসন কভু এড়াতে পারেনা।

তিনি বলেন- দেশে একের পর ধর্ষণের ঘটনার পরও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছেনা। যার দরূন ধর্ষণ আজ মহামারীর আকার ধারণ করেছে।

তিনি আরো বলেন,পর্দা নারীর মৌলিক অধিকার। পর্দাতেই নারী সর্বাধিক নিরাপদ। নারীকে নিরাপদে রাখতে পারলে তখন ব্যক্তি,দেশ, জাতি ও সমাজ, সংসার সবকিছুই নিরাপদ। ধর্ষণ,নারী নির্যাতন এসব রোধে শরঈ পর্দা বাধ্যতামূলক করার বিকল্প নেই।

হুশিয়ারী উচ্চারণ করে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নোয়াখালীর বর্বোরোচিত এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করলে এর প্রতিবাদে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠতে পারে।

মাখজানুল উলুম মাদরাসায় আল্লামা শফী রহ. এর স্মরণে দোয়া মাহফিল

0

রাজধানীর খিলগাঁও-এ অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদরাসায় উদ্যোগে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর জীবন শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে জোহর পর্যন্ত এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল চলবে।

শাইখুল ইসলাম আল্লামা শফী রহ. এর অন্যতম প্রধান খলিফা আল্লামা নুরুল ইসলাম জেহাদীর সভাপতিত্বে এতে দেশ বরেণ্য আলেম-উলামাগন উপস্থিত থাকবেন।

পবিত্র ওমরাহ হজ্ব শুরু

0

আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র ওমরাহ হজ। ওমরাহ পালনে সৌদি সরকার এরই মধ্যে থেকে মক্কা এবং মদিনার পবিত্র স্থানগুলো খুলে দিয়েছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে ওমরাহ হজ পালন বন্ধ ছিল এত দিন।

প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো মুসলমান ওমরাহ পালন করে থাকেন। তবে করোনার কারণে এবার চার ধাপে ওমরাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্বের নির্দেশনা।

প্রথম ধাপে শুধু মাত্র ৬ হাজার সৌদি নাগরিক ওমরাহ হজ পালন করবেন। দ্বিতীয় ধাপে, ১৮ ই অক্টোবর থেকে ওমরাহকারীর সংখ্যা আরও বাড়িয়ে প্রায় ১৫ হাজার হাজি হজে অংশ নেবেন। তৃতীয় ধাপে, পয়লা নভেম্বর থেকে বিদেশিদের জন্য ওমরাহর সুযোগ উন্মুক্ত করা হবে। সেই সময় একেকবারে ২০ হাজার ব্যক্তি ওমরাহ করতে পারবেন।

দিনে মোট ৬০ হাজার মানুষ ওমরাহ করার সুযোগ পাবেন। চতুর্থ ধাপে, করোনা মহামারি শেষ হলে আবারো চালু হবে গ্র্যান্ড মসজিদের কার্যক্রম।

করোনায় আক্রান্ত ট্রাম্প বললেন, ‘আসল পরীক্ষা সামনে’

0

করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিগগিরই ফিরে আসবেন জানিয়ে বলেছেন, আগামী কয়েকদিন হবে আসল পরীক্ষা।

শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে এক ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।

শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ট্রাম্প তার শারীরিক অবস্থা জানাচ্ছেন।

ভিডিওবার্তায় তাকে সেবা-শুশ্রূষা করা স্বাস্থ্যকর্মীদেরকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।

ট্রাম্পের চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি আগের চেয়ে এখন কিছুটা ভালো আছেন, করোনা শনাক্তের পর তার শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি হয়েছে।

ডা. শন কনলি এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টের শারীরিক উন্নতি নিয়ে আশাবাদী। যদিও এখনও ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসেনি।

গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতাল থেকেই টুইটারে এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘যখন এখানে (হাসপাতালে) এসেছিলাম, তখন আমার শরীরটা খুব একটা ভালো ছিল না, এখন আগেরচেয়ে অনেক ভালো বোধ করছি। স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাকে সুস্থ করে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘মনে হচ্ছে খুব শিগগগিরই ফিরে আসব। যেভাবে নির্বাচনী প্রচারকাজ শুরু করেছিলাম, সেটি শেষ করাই আমার লক্ষ্য।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার সুস্থতা কামনা করে যারা শুভকামনা জানিয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

তার স্ত্রী মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও করোনায় আক্রান্ত। তবে, ট্রাম্প জানিয়েছেন মেলানিয়া ‘বেশ ভালো আছেন’।

মেলানিয়ার বয়স ৭৪ বছর বয়সী মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে কম হওয়ায় তার শারীরিক ঝুঁকি কম বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার মনে হয়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা জানতে পারব যে খুব ভালো কোনো ফল পেতে যাচ্ছি।’

এর আগে গত শুক্রবার জ্বরসহ নভেল করোনাভাইরাসের কিছু উপসর্গ’ দেখা দেওয়ার পর, ৭৪ বছর বয়সী ট্রাম্প টুইটে জানান যে তিনি ও তার স্ত্রী মেলানিয়া কোয়ারান্টিনে যাচ্ছেন।

এরপর করোনা পরীক্ষা করা হলে ট্রাম্প ও মেলানিয়া করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। টুইটবার্তায় ট্রাম্প নিজেই করোনায় আক্রান্তের কথা জানান।

ট্রাম্প টুইটে বলেন, ‘আমার ও মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনা টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে। আমরা শিগগিরই কোয়ারেন্টিনে থাকাসহ সেরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করব। আমরা একসঙ্গে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠব।’

এরই মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের পর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার কাজ চলছেই।

দীর্ঘ ৯ বছর পর চালু হলো সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট

0

দীর্ঘ ৯ বছর পর চালু হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট।

রোববার (৪ অক্টোবর) সকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন।

পরে সকাল সোয়া ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০০১ নম্বরের একটি ফ্লাইট ২৩৮ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডনের হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানের সিলেট জেলা ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ মজুমদার জানান, চলতি মাসে দুইটি ও নভেম্বর মাস থেকে থেকে প্রতি বুধবার একটি করে ফ্লাইট চলবে এ রুটে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিশ্বের অন্যতম বিমানবন্দরের রূপান্তরের কাজ চলছে। অচিরেই আমেরিকা কানাডাসহ আন্তর্জাতিক বিমান এ রুটে চলাচল করবে।

এসময় ভাড়া কমানোসহ যাত্রীদের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির আশ্বাসও দেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে এ রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর কিছুদিন পর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ঢাকা হয়ে এই ফ্লাইট চালু হলেও করোনার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।

রিফাত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নিসহ ৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

0

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসেছে।

রোববার সকালে এই ছয় আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়।

সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রিফাত হত্যা মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। প্রাপ্তবয়স্ক বাকি চার আসামি পেয়েছে বেকসুর খালাস।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

উল্লেখ্য, রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ২ জুলাই মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হয়।

বেফাকের সভাপতি পদে আগ্রহী নন জানানোর পড়েও ভোট পেলেন আল্লামা বাবুনগরী!

0

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-বেফাক এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত হয়েছেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

আজ এক বৈঠকে তাকে মনোনীত করে বেফাকের মজলিসে আমেলা বা কার্জকরি পরিষদ। মৌখিকভাবে মনোনীত করার রেওয়াজ থাকলেও এবার ব্যালটের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে।

১২৬ সদস্যার মধ্যে ৬৬ সদস্য মাওলানা মাহমুদুল হাসানের পক্ষে মতামত দেন। অন্যদিকে ৫০ সদস্য মতামত দেন আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমীর পক্ষে। এই দুজনকেই যেকোনো একজন বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিলো আগে থেকেই। যদিও তাদের কেউই ঘোষিত পদপ্রার্থী ছিলেন না।

এদিকে আলোচনার বাহিরে থাকলেও ৩ সদস্য বেফাকের সভাপতি পদে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর পক্ষে মতামত দেন। যেহেতু আল্লামা বাবুনগরী এই পদে পদপ্রার্থী বা আগ্রহী ছিলেন না, তারপরেও কে বা কোন উদ্দেশ্যে ৩ জন তার পক্ষে মতামত দিলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল।

বেফাকের অন্যতম সহসভাপতি মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া ইনসাফকে বলেন, ”আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ, ইন্তিকাল করায় আজকের বেফাকের আমেলা আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত করেছে। এখানে সকল আমেলা সদস্য লিখিতভাবে তাদের মতামত দিয়েছেন। কেউ পদপ্রার্থী হননি বা কাউকে প্রার্থী করাও হয়নি। সহ-সভাপতিদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা বিবেচবনায় আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী এবং জ্যেষ্ঠ আলেম হিসেবে আল্লামা মাহমুদুল হাসানকে সভাপতির পদে মতামত দেন আমেলার সদস্যগণ। এখানে আল্লামা বাবুনগরীর বিষয়টি অহেতুক আলোচনায় আনা হচ্ছে। এটা দূরভিসন্ধিমূলক। কেউ হয়ত তার পক্ষেও মতামত দিয়ে থাকতে পারেন। এ নিয়ে হৈচৈ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।”

বেফাকের আমেলার একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আল্লামা বাবুনগরী সভাপতি বা অন্য কোনও পদ গ্রহণে আগ্রহী ছিলেন না। এমনকি সিনিয়র সহসভাপতির পদে তাঁর নাম প্রস্তাব করা হলে, তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।

বেফাকের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস নদভী ইনসাফকে বলেন, ”আল্লামা বাবুনগরী বেফাক বা হাইয়াতুল উলিয়ার পদ গ্রহণে আগ্রহী ছিলেন না। এটা তিনি বৈঠকের শুরুর দিকটায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। তারপরেও একাধিক সদস্য ভালোবেসে তাঁর পক্ষে মতামত দিয়েছেন। এটা আল্লামা বাবুনগরীর প্রতি মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। না হয় পদ গ্রহণ না করার ঘোষণা দেওয়ার পরেও একাধিক সদস্য তাঁর পক্ষে মতামত দিতেন না।”