গত সপ্তাহে মিশরীয় নৌবাহিনীর গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনী ২ জেলের মা মিশরে আটক থাকা তার ৩য় ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মিশরীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
নাওয়াল আল জাজ্জো নামে ওই ফিলিস্তিনী নারী যিনি উম্মে নাদেল নামেও পরিচিত সাংবাদিকদের জানান, তার দুই ছেলে হাসান ও মাহমুদ মিশরীয় নৌবাহিনীর গুলিতে মারা গেছে এবং তৃতীয় পুত্র ইয়াসির মিশরে আটক রয়েছে।
এসময় তিনি পুত্রদের শোকে আহাজারি করতে করতে বলেন, আমার ৩য় পুত্র ইয়াসির আমার সামনে আসার আগ পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা যে, সে বেঁচে আছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ফিলিস্তিনী জেলেদের একটি নৌকা মিশরীয় জলসীমায় প্রবেশের পরপরই ২ জেলেকে গুলি করে হত্যা করে মিশরীয় নৌবাহিনী। এতে অপর একজন আহত হয়। ওই তিন জেলে আপন ভাই।
নিহত দুই ভাইয়ের লাশ ফিলিস্তিনে পৌঁছলেও আহত হওয়া অপর ভাইকে আটকে রেখেছে মিশরের বিশ্বাসঘাতক স্বৈরশাসক আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসির সরকার। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসেও মিশরীয় নৌবাহিনী ফিলিস্তিনি জেলেদের উপর জলসীমা অতিক্রমের অভিযোগে গুলি চালিয়ে তাদের একজনকে হত্যা করেছিল। তবে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে গাজার ফিলিস্তিনি নৌবাহিনী ছয় মিশরীয় জেলেকে ঝড়ের কবল থেকে উদ্ধার করেছিল এবং পরবর্তীতে তাদেরকে নিরাপদে মিশরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলো।
আর অপরদিকে মিশরের বিশ্বাসঘাতক সিসির সরকার মাজলুম ফিলিস্তিনীদের হত্যা করেছে।
বহুল কাঙ্ক্ষিত দেশর কওমী মাদরাসারগুলোর সর্ববৃহৎ বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) এর আমেলার বৈঠক চলছে।
যাত্রাবাড়ীর কাজলায় অবস্থিত বেফাকের কেন্দ্রীয় অফিসে সকাল ১০টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। এতে অংশগ্রহণ করেছেন আমেলার সদস্যগণ।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী, আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, আল্লামা নুরুল ইসলাম জেহাদী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামীদ, আল্লামা আতাউল্লাহ ইবনে হাফিজ্জী, চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী প্রমুখ।
এবারের আমেলা বৈঠকটিকে বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. পরবর্তী নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে এই বৈঠকে।
এছাড়াও এই বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার কথা রয়েছে বিতর্কিত মহাসচিব ও ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের।
বেফাকের প্রায় ১৫ বছরের সভাপতি ছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.। তাঁর মৃত্যুতে শূন্য হয়ে যায় এই পদটি।
সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত কিশোর (১৮) ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলেও জানা গেছে। ওই কিশোরী এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছে।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, গত ২৯ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে ধর্ষণ করে ওই কিশোর।
এ ব্যাপারে সিলেট নগরের ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট বলেন, আমিও এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি সম্ভবত ২/৩ দিন আগে ঘটেছে। অভিযুক্ত কিশোর দাড়িয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকে। আর কিশোরী নগরের আরেকটি এলাকায় থাকে।
তিনি বলেন, অভিযোগকারী কিশোরীর পরিবার আর্থিকভাবে তেমন স্বচ্ছল নয়, তাই দুদিন আগে ঘটনা ঘটলেও সম্ভবত সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছিলো। আবার তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলেও একটি পক্ষ দাবি করেছে। যদিও কোনো কিছুই এখন পর্যন্ত আমি নিশ্চিত নই।
সম্রাট বলেন, অভিযুক্ত কিশোর ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে যায় বলে শুনেছি। এখন তো সবাই-ই ছাত্রলীগ।
এ ব্যাপারে কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানা, এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে প্রাণঘাতী এ ভাইরাাসে আক্রান্ত হলেন ৭৪ বছর বয়সী রিপাবলিক দলের এ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ‘অতিরিক্ত সতর্কতামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে ট্রাম্পকে ওয়াশিংটনের নিকটবর্তী ওলাল্ডার রিড সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।খবর বিবিসির।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) সকালে জ্বরে আক্রান্ত ট্রাম্প জানান, তিনি ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউজ ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা ‘ভালো’ বলে উল্লেখ করেছে। ট্রাম্পের দফতর প্রধান মাইক মিডো দাবি করেছেন, ট্রাম্প ও মেলানিয়ার শরীরে করোনাভাইরাসের ‘হালকা’ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভারত শনিবার (৩ অক্টোবর) ‘বঙ্গোসাগর’ নামে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিতীয় নৌমহড়া শুরু করছে। এই অঞ্চলে দেশ দুটির রণতরীর সমন্বিত টহলের পর উত্তর বঙ্গোপসাগরে এই মহড়া হচ্ছে।
মহড়ায় ভারত তাদের সাবমেরিনবিধ্বংসী করভেট আইএনইএস কিলতান, নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র করভেট আইএনএস খুকরি ও সমুদ্র টহল বিমান ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করবে। আর বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ফ্রিগেট বিএনএস আবু বকর ও নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র করভেট বিএনএস প্রত্যয় মোতায়েন করবে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল বলেন, এই মহড়ার লক্ষ্য হচ্ছে মহড়ার মাধ্যমে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ানো। মহড়ার মধ্যে থাকবে সার্ফেস ওয়্যারফেয়ার ড্রিল, সিম্যানশিপ ইভালুয়েশন ও হেলিকপ্টার অপারেশন।
তিনি বলেন, এরপর দুই দেশের রণতরীগুলো আন্তর্জাতিক পানিসীমার মধ্যে যৌথভাবে টহল দেবে। তিনি বলেন, এ ধরনের মহড়ার ফলে দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সমঝোতা বাড়াবে, টহলে সমন্বয় জোরদার করবে।
ভারত অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের সাথে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। বাংলাদেশ কয়েক বছর আগে চীনের কাছ থেকে প্রথমবারের মতো ডিজেল-চালিত সাবমেরিন সংগ্রহ করেছে। আর শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, শিলেশলস ও মৌরিতানিয়া, মিয়ানমার, নেপাল ও বাংলাদেশের প্রতিবেশীদের চীনা উপস্থিতি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে ভারত।
কুয়েতের প্রয়াত আমির সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
শেখ সাবাহর মৃত্যুতে শুক্রবার (২ অক্টোবর) ঢাকায় কুয়েত দূতাবাসে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন ড. মোমেন।
তিনি উল্লেখ করেন, কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ ছিলেন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ওআইসি সম্মেলনে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, শেখ সাবাহ দূরদর্শী এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য একজন উদার নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে মুসলিম বিশ্ব তাদের স্বার্থরক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ একজন বিশ্বনেতাকে হারাল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে সে দেশের এ আমিরের অবদান এ দেশের মানুষ চিরদিন স্মরণ রাখবে।
দেশর কওমী মাদরাসারগুলোর সর্ববৃহৎ বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) এর আমেলার বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ শনিবার।
যাত্রাবাড়ীর কাজলায় অবস্থিত বেফাকের কেন্দ্রীয় অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশগ্রহণ করবেন আমেলার ১৫৭ জন সদস্য।
এবারের আমেলা বৈঠকটিকে বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. পরবর্তী নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে এই বৈঠকে।
এছাড়াও এই বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার কথা রয়েছে বিতর্কিত মহাসচিব ও ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের।
বেফাকের প্রায় ১৫ বছরের সভাপতি ছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.। তাঁর মৃত্যুতে শূন্য হয়ে যায় এই পদটি।
গত ২২ সেপ্টেম্বরে বেফাক অফিসে খাস কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছান খাস কমিটির সদস্যরা। এক : শূন্য হওয়া চেয়ারম্যান পদে সভাপতি মনোনয়ন। দুই : বর্তমান মহাসচিবের পদত্যাগপত্র জমাদান ও গ্রহণ। তিন : পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর শূন্য মহাসচিব পদে নতুন মহাসচিব মনোনয়ন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বেফাকের সভাপতি যিনি হবেন, তিনিই চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন কওমী মাদরাসা সমূহের সর্বোচ্চ বোর্ড আল হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি’য়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশ-এর। একইভাবে বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি যিনি হবেন তিনিই আল হাইয়াতুল উলইয়ার কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাবেন।
ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে বিরোধপূর্ণ নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ। অন্যদিকে বাড়ছে দুই পক্ষেই হতাহতের সংখ্যাও। তবে সংঘর্ষের শুরুতেই কিছুটা সাফল্য পেয়েছে আজারবাইজান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, আর্মেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বেশ কিছু এলাকা পুনর্দখলে সক্ষম হয়েছে আজারবাইজানী বাহিনী।
যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে শুক্রবার আর্মেনীয় বাহিনীর ফেলে যাওয়া বেশ কিছু সামরিক যান এবং অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছে আজারি বাহিনী। তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানি সেনাদের তুমুল আক্রমণের মুখে পালিয়ে যাবার সময় এসব ফেলে গেছেন তারা।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের হাথরাসে গণধর্ষণের শিকার এক তরুণী মারা যাওয়ার পরে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নির্যাতিতার পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ এবং বিরোধী দলগুলো উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ধর্ষণ-তত্ত্ব খারিজ করে দেওয়ার প্রবল সমালোচনা করছে।
একদিকে যেমন পুলিশ বলছে যে ধর্ষণের প্রমাণ তারা পায়নি, অন্যদিকে হাথরাসের ওই গ্রামে সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না – যাতে পরিবারের সদস্যরা সরকারের সমালোচনা করে কিছু না বলতে পারেন। তাদের ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ এভাবেই তদন্ত ধামা দিতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
অন্যদিকে হাথরাসের গণধর্ষিতা তরুণী দিল্লির এক হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো ওই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে হাথরাসে যাওয়া থেকে আটকানোর জন্য বৃহস্পতিবার যেভাবে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, শুক্রবার একইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েনকেও ফেলে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে দিল্লিতেও।
যদিও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শুক্রবার দুপুরে ঘোষণা করেছেন যে দোষী ব্যক্তিদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যা ভবিষ্যতের উদাহরণ হয়ে থাকবে।
কিন্তু তার পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠছে যে তারা আসলে তদন্ত ধামা চাপা দিতে চাইছে।
একদিকে যেমন বলে দেওয়া হচ্ছে যে ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, আবার মধ্যরাতে নির্যাতিতার লাশ বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে দাহ করেছে পুলিশ – যাতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের সুযোগ না থাকে।
হাথরাসে এই ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন বিবিসি-র সহকর্মী দিলনাওয়াজ পাশা। তিনি বলছিলেন, “ধর্ষণের প্রমাণ না পাওয়ার কথা পুলিশ জানানোর পরে নির্যাতিতার মা এবং ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমি কথা বলি। তারা জানিয়েছেন যে পুলিশের তদন্তের ওপরে পরিবারের আর ভরসা নেই। পুলিশ যেকোনো প্রকারে তদন্ত ধামা চাপা দিতে চাইছে, এই অভিযোগও করছে নির্যাতিতার পরিবার।”
বিষয়টা এখন রাজনৈতিক মোড় নিয়ে নিয়েছে, সেজন্যই তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছিলেন দিলনাওয়াজ পাশা।
যদিও পুলিশ বলছে যে ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, কিন্তু হাসপাতালে নির্যাতিতার একটি ভিডিও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল, যেখানে তিনি দুজন ব্যক্তি দ্বারা ধর্ষিতা হওয়ার কথা বলেছিলেন।
যারা পুলিশের সমালোচনা করছেন তারা বলছেন, একদিকে যেমন লাশ দাহ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনই ময়নাতদন্ত হয়েছে ঘটনার প্রায় দু’সপ্তাহ পরে।
কিন্তু এখন যেহেতু ওই তরুণী মারা গেছেন, তাই আইন অনুযায়ী ওই বয়ানই মৃত্যুকালীন জবানবন্দী হিসাবে আদালতে গ্রাহ্য হওয়ার কথা বলে জানাচ্ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রবীন আইনজীবী ভারতী মুৎসুদ্দি।
“ডাইয়িং ডিক্লারেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। সেখানে ওই ধর্ষিতা যা বলেছেন, সেটা আদালত-গ্রাহ্য প্রমাণ। মামলাও সেভাবেই চলা উচিত। কিন্তু এই ঘটনায় দেখা যাচ্ছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আগ বাড়িয়ে ঘোষণা করে দিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বদলে দেওয়ার বহু নজির রয়েছে। এদিকে আবার দেহটি পুড়িয়ে ফেলা হল। এর ফলে ওই পরিবারটি, বা যাদের মনে সন্দেহ রয়েছে, তাদের তো আর কোনও সুযোগ থাকবে না,” মন্তব্য মুৎসুদ্দির।
তিনি আরো বলছিলেন, মৃত্যুকালীন জবানবন্দী আছে , প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান আছে – তা স্বত্ত্বেও যেভাবে পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে যে অপরাধীরা যাতে খালাস পেয়ে যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
একদিকে যেমন ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে পুলিশ বিভ্রান্তি তৈরি করছে, অন্যদিকে ওই গ্রামে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা সংবাদমাধ্যমকে বাইরে থেকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। শয়ে শয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে গ্রামটিতে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে নির্যাতিতার এক ভাই চাষের ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে বাইরে আসেন।
সেখানে হাজির সংবাদমাধ্যমগুলিকে তিনি বলেন, “ঘরের ভেতরে, বাইরে, ছাদে – সর্বত্র পুলিশ রয়েছে। পরিবারের কয়েকজনকে মারধরও করা হয়েছে বলে। আমরা যাতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করতে পারি সেজন্য ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে নির্যাতিতার পরিবারকে হাথরাসের জেলা প্রশাসক বলছেন, সংবাদমাধ্যম কদিন পরেই চলে যাবে, কিন্তু পরিবারটিকে গ্রামেই থাকতে হবে।
এই বক্তব্যকে অনেকেই মনে করছেন হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সহকর্মী দিলনাওয়াজ পাশা বলছিলেন, ওই পরিবারটি দলিত শ্রেণীর হলেও তারা স্পষ্ট বক্তা, সেজন্যই প্রশাসন তাদের চুপ করিয়ে দেওয়ার নানা চেষ্টা চালাচ্ছে।
দিলনাওয়াজ পাশার কথায়, “প্রশাসন চাইছিল যে একটা বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ, একটা বাড়ি আর পরিবারের একজনের চাকরি করে দিলে তারা চুপ করে যাবে আর যে বিক্ষোভ চলছে, সেগুলোও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু ঘটনা হল, পরিবারটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে, তারা যে তদন্ত নিয়ে খুশি নয়, সেটাও স্পষ্ট করে বলেছে।”
এটা বন্ধ করার জন্য গ্রামটিকে করোনা কন্টেমেন্ট এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে বাইরের কারোর প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সরকার। পরিবারের সব সদস্যের করোনা পরীক্ষাও করা হচ্ছে।
গ্রামের প্রতিটা বাড়ির বাইরে অন্তত দশজন করে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে বলে জানাচ্ছিলেন দিলনাওয়াজ পাশা।
হাথরাসের ঘটনা নিয়ে যখন সারা দেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে, সেইসময়েই উত্তরপ্রদেশেই আরো একটি গণধর্ষণের পরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বলরামপুরে ২১-২২ বছর বয়সী এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়, যিনি গত বুধবার মারা গেছেন। বিবিসি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী মুসলিম নেতা রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, আর্মেনিয়ান দখল থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আজারবাইজান কারাবাখ ভূখণ্ডের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) তুরস্কের কোনিয়া প্রদেশে একটি হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এরদোগান বলেন, আর্মেনিয়া আবারও আজারবাইজানীয় অঞ্চলগুলিতে আক্রমণ চালিয়েছে যদিও কারাবখের বিষয়টি যেটি ঘৃণ্য গণহত্যার মাধ্যমে তারা দখল করেছে তা এখনও মীমাংসিত হয়নি। এর মধ্য দিয়ে আর্মেনিয়া একটি অপ্রত্যাশিত পরিণতির মুখোমুখি হয়েছে। তবে আশার কথা হলো, ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ আজারবাইজান তার নিজস্ব অঞ্চল রক্ষার জন্য এবং দখলকৃত কারাবাখকে মুক্ত করতে দুর্দান্ত অভিযান শুরু করেছে।আজারবাইজানীয় সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত আর্মেনিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে এবং বহু অঞ্চল দখল থেকে মুক্ত করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সকল প্রকার প্রচেষ্টাসহ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ আজারবাইজানের পাশে আছি এবং থাকবো।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনী আজারবাইজানের একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অঞ্চল আপার কারাবাখ অবৈধভাবে দখল করে নেয়। উপরন্তু গত রবিবার আর্মেনিয়ান বাহিনী আজারবাইজান নাগরিক বসতি এবং সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে বেশকিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।