Home Blog Page 4549

কক্সবাজারে তাকওয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা গাজী ইয়াকুব সংবর্ধিত

0

মাহবুবুল মান্নান


বিপন্ন মানবতার সেবায় নিবেদিত তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাওলানা গাজী ইয়াকুবকে সংবর্ধিত করেছে তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখা।

কক্সবাজারে এক সংক্ষিপ্ত সফরে তাঁর শুভাগমন উপলক্ষ্যে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

২৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকাল ৩ টায় কক্সবাজার শহরতলীর বাসটার্মিনালস্থ দারুল কুরআন কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মানবতার কল্যাণে আত্মনিবেদন করা মু’মিনদের ঈমানী কর্তব্যবোধ ও মানবিক চৈতন্যের বহিঃপ্রকাশ। এ কর্তব্য পালনে তাকওয়া ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা পুরো দেশজুড়ে নিরলসভাবে মানবিক কর্মপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসজনিত মহাসঙ্কটে যখন নিজের সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয় স্বজনেরাও করোনায় মৃত ব্যক্তির ধারেকাছে যায়না এমতাবস্থায় তাকওয়া ফাউন্ডেশনের কর্মীরা জীবনবাজি রেখে সেই মৃত ব্যক্তিদের কাফন-দাফন সুসম্পন্ন করে চলেছে। শুধু তাই নয়; পথশিশু, অনাথ, এতিম ও বানভাসি মানুষসহ সারাদেশে নানা দূর্যোগে বিপন্ন মানুষের সেবায় এ ফাউন্ডেশন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। এমন মানবিক উদ্যোগের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

দারুল কুরআন কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, হাটহাজারীর জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলামের সাবেক কেরাত বিভাগীয় প্রধান মাওলানা কারী জহিরুল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি, লেখক ও সাহিত্যিক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর।

তাকওয়া ফাউন্ডেশন কক্সবাজার সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী, ছাত্রদল নেতা আবু তাহের মিসবাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির সম্মানে রচিত মানপত্র পাঠ করেন, দারুল কুরআন কমপ্লেক্সের শিক্ষা পরিচালক মাওলানা মুহিবুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা কারী আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জমিল উদ্দিন, তরুণ আলেম ও আইনজীবী মাওলানা হাফেজ রিদওয়ানুল কাবির, তাকওয়া ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আশরাফুল মতিন মুহাম্মদ আছেম, তাকওয়া ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী, ছাত্রলীগ নেতা এস. এম সাদ্দাম হোসেন, রামু উপজেলা শাখার মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা দিদারুল আলম, প্রমুখ।

এছাড়াও বরেণ্য আলেম-ওলামা, ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন উপজেলার দায়িত্বশীল ও স্বেচ্ছাসেবীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানে গেলেন আফগান কর্মকর্তারা

0

আফগানিস্তানের দীর্ঘ সংকট সমাধানে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের পৌঁছেছেন দেশটির মার্কিন মদদপুষ্ট আফগান সরকারের প্রতিনিধি দলের প্রধান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনি ইসলামাবাদে পৌঁছান।

আফগানিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় পুনরেত্রকীকরণ উচ্চ পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ তিন দিনের সফরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে বৈঠক করবেন।

আফগানের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘদিন ধরে শীতল সম্পর্ক বিরাজমান। মার্কিন মদদপুষ্ট কাবুল সরকার এবং তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের পুরানো অভিযোগ, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের চিরশত্রু ভারতের প্রভাব দমিয়ে রাখার জন্য তালেবানকে সহায়তা দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ।

আফগান সরকারের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। পাল্টা অভিযোগ বিরোধীদের দিয়ে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলার পরিকল্পনা করছে কাবুল।

এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামাবাদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। ডা. আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ সফর পরস্পর মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সহযোগিতা আরো শক্তিশালী করবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয় বিবৃতিতে।

আমেরিকা স্বীকার করেছে তালেবানকে সমঝোতায় ফেরাতে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করতে পাকিস্তান সহায়তা করেছে।

এমসি কলেজে গনধর্ষনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা খেলাফত যুবমজলিসের বিক্ষোভ

0

মাহবুবুল মান্নান


সিলেটের এমসি কলেজে অমানবিক গণধর্ষণের দ্রুত বিচার দাবী করেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা খেলাফত যুব মজলিস।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাদে অাছর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একটি বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবী করা হয়েছে।
উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত যুব মজলিস চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার অামিরুল ওয়াহেদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণের অাহ্বায়ক মাওলানা নুরুল আলম তালুকদার, দক্ষিণ জেলা যুব মজলিসের অর্থ সম্পাদক মাওলানা মীর সালাউদ্দীন, মজলিসে অামেলার সদস্য মাওলানা অারিফুল ইসলাম, হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা সামসুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার অামিরুল ওয়াহেদ বলেন, সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে তার সামনে তার স্ত্রীকে ৬ জন ছাত্রলীগ কর্তৃক গণধর্ষণের এই ঘটনা অাইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানাবে। এই নরপশুগুলোকে দ্রুত বিচার দাবী করছি। অন্যতায় আমরা সরকার পতনের অান্দোলনে নেমে পড়তে বাধ্য হবো।

অন্যান্যদের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা যুব মজলিসের অর্থ সম্পাদক মাওলানা মীর সালাহ উদ্দীন, মজলিসে অামেলার সদস্য মাওলানা অারিফুল ইসলাম, হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা শামসুল ইসলাম প্রমুখ।

অপরাধমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে কুরআনের অমোঘ বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে: ড. খালিদ হোসাইন

0

মাহবুবুল মান্নান

চট্টগ্রাম ওমর গনি এস ই এস কলেজের সাবেক অধ্যাপক, জামেয়া আরাবিয়া জিরি মাদরাসার মুহাদ্দিস ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেছেন, অপরাধমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে পবিত্র কুরআনের অমোঘ বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে।
নবপ্রজন্ম কুরআন থেকে দূরে থাকায় সমাজে দিন দিন অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সোমবার(২৮সেপ্টেম্বর)চট্টগ্রাম উত্তর মাদারবাড়ীতে ‘আল হেরা আইডিয়াল মাদরাসা’র হিফয বিভাগের সবকদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডক্টর খালিদ আরো বলেন,কুরআনের শিক্ষা মানুষকে ইহকাল ও পরকালে সম্মানিত করে।কুরআনের শিক্ষা যত বেশি সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে তত বেশি জাতি ও দেশ উপকৃত হবে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা কবির আহমদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আহমদুর রহমান নদভী ও মাওলানা নুরুল কবির ডলুকুলী প্রমুখ।

নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফ গ্রেফতার

0

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফকে অর্থপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহবাজ শরীফ দেশটির পার্লামেন্টের বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল–এন) প্রেসিডেন্ট।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অর্থপাচারের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানায়, অর্থপাচার মামলায় শাহবাজ শরীফ লাহোর হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। পরে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

শাহবাজ শরীফ আদালতে হাজির হলে তার দলের বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মী ও সমর্থক সেখানে জড়ো হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হলে তারা বিক্ষোভ করেন। পিএমএল–এনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

নওয়াজের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। তিনি প্রায় ১০ মাস ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তিনি। পরে আদালতের সমন পেয়েও হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়

‘আজারবাইজানে ৪ হাজার সেনা পাঠিয়েছে তুরস্ক’

0

বিচ্ছিন্ন নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে বাকুর হয়ে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য উত্তর সিরিয়ার থেকে ৪ হাজার যোদ্ধাকে আজারবাইজানে পাঠিয়েছে তুরস্ক।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইন্টারফেক্স নিউজ এজেন্সির কাছে এমনটা দাবি করেছে রাশিয়ায় নিযুক্ত আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত।

আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, নাগরনো-কারাবাখের যুদ্ধে অংশ নিয়েছে যোদ্ধারা। অঞ্চলটি আজারবাইনের। কিন্তু আর্মেনিয়ার সহায়তায় দখল করে আছে আর্মেনিয়ো আদিবাসীরা।

দীর্ঘদিন ধরে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার মধ্যকার সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী আল জাজিরার রবিন ফরস্টিয়ার-ওয়াকার বলেন, বিচ্ছিন্ন নাগরনো-কারাবাখের তথাকথিত লাইন অব কনটাক্টে সংঘাত অব্যাহত হয়েছে।

‘লড়াইয়ে গোলাবারুদ, রকেট এবং ড্রোন মোতায়েন করেছে দু’পক্ষ। জর্জিয়ার তিবিলিস থেকে জানান ওয়াকার। বলেন,
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) আমের্নিয়ার প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে আজারবাইজানের একটি ট্যাংক ধ্বংস হতে দেখেছি আমরা। সুতরাং আমরা বলতে অসংখ্য ভারী যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে দু’পক্ষের লড়াইয়ে ‘

নাগরনো কারাবাখে ছড়িয়ে পড়া লড়াইয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন মার্কিন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। দ্রুত সংঘাত বন্ধ, যুদ্ধবিরতি পুন:স্থাপন এবং আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে পুনরায় আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রশাসনকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত এবং রাশিয়ার প্রতি উভয় পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক এ ভাইস প্রেসিডেন্ট।

আর্মেনিয়ার উচিৎ অতিসত্বর আজারবাইজানের ভূমি ত্যাগ করা: এরদোগান

0

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, গতকাল (রোববার ২৭ সেপ্টেম্বর) আজারবাইজানের ভূখণ্ডে আর্মেনিয়ার হামলার আবারো নিন্দা জানাচ্ছি আমি। নাগরনো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার হামলার কারণে সেখানে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। এখনই সময় সংকট সমাধান করার। আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অতিসত্বর আজারবাইজানের ভূমি থেকে আর্মেনিয়ার সরে যাওয়া উচিৎ।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এরদোগান বলেন, আমি আবারো আর্মেনিয়ার নিন্দা করছি। যারা গতকাল (রোববার) আজারবাইজানের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃপ্রতীম আজারবাইজানের প্রতি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা অন্তর থেকে অব্যাহত রাখবে তুরস্ক।

তিনি বলেন, আজারবাইজানের ভূখণ্ড দখলের মাধ্যমে আর্মেনিয়া যে সংকটের তৈরি করেছে তা নিরসনের সময় এখনই। আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আর্মেনিয়ার উচিৎ আজারবাইজানের ভূখণ্ড ছেড়ে যাওয়া। সবধরনের নিষেধাজ্ঞা, হুমকি, সম্পূর্ণ অন্যায় এবং বেআইনি। বাস্তবসম্মত এবং সুন্দর একটি সমাধানের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি আঞ্চলিক প্রভাবশালী দেশগুলোর একটি বড় সুযোগ। রাশিয়া, আমেরিকা এবং ফ্রান্সের সমন্বয়ে তথাকথিত মিনস্ক চুক্তি গেলো ৩০ বছরে সংকটের কোনো সমাধান করতে পারেনি।

কৌশলগত দুর্বলতাকে শক্তিতে রূপান্তর করেছে বাংলাদেশ

0

কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের কূটনৈতিক শক্তির ঘাটতিটা পুরো বিশ্বের সামনে প্রকাশিত হয়ে পড়েছিলো যখন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জোয়ারের মতো বাংলাদেশে ঢুকলেও কোন পরাশক্তি সাহায্য করার জন্য মাথা ঘামায়নি। এমনকি বাংলাদেশের সাথে যে ‘স্থায়ী বন্ধুত্বের’ দাবি করে, সেই ভারতও ইয়াঙ্গুনের কাছ থেকে কূটনীতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার আশায় মিয়ানমারের পক্ষ নেয়। মিয়ানমার যখন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছিল, এই ব্লকের বড় ভাই চীনও তখন মিয়ানমারের হাত ধরে ছিল।

তবে, তিন বছর বিশ্ব রাজনীতিতে অনেক দীর্ঘ সময়, এবং বাংলাদেশ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহু ইতিবাচক মনোযোগ পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত-চীন সঙ্ঘাতের কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। কৌতুহলের ব্যাপার হলো, ‘দুর্বলতা’ মনে হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য একটা কৌশলগত পণ্য হয়ে গেছে এবং বাংলাদেশ তার নিরপেক্ষ অবস্থানটাকে নিজের সুবিধায় কাজে লাগাচ্ছে।

ভ্যাকসিন কূটনীতি

চীন বাংলাদেশের তিস্তা নদীর পানি প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছে যেখানে ভারতের জন্য মারাত্মক নেতিবাচক দিক রয়েছে, এবং এটা নিয়ে ভারতের মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনাও হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা যেভাবে ঢাকা আসেন, তাতে জরুরি পরিস্থিতিটি বোঝা গেছে, কিন্তু বাংলাদেশ তার জন্য ঠিক সেভাবে গালিচা বিছিয়ে দেয়নি। ঢাকা বরং এ রকম বার্তা দিয়েছে যে, শুধু ভারত নয়, বরং বাংলাদেশের এখন চীনের মতো অন্যান্য বড় বন্ধু রয়েছে। তবে বৈঠকের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে কেউই বাঁধ ও পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেনি। তারা বলেছে, বৈঠক হয়েছে ভ্যাকসিন নিয়ে। ঢাকার কিছু নৈরাশ্যবাদী বলয়ে এটা নিয়ে হাসাহাসি হয়েছে। তবে, বাংলাদেশকে কে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে, এটা নিয়ে মূলত যুদ্ধটা চলছে চীন আর ভারতের মধ্যে।

ইতোমধ্যে, করোনা সঙ্কট নিয়ে জনগণের উদাসীনতা বাড়ছে। জীবিকার উপর বড় একটা আঘাত এসেছে, এবং সেটা উদ্ধার করতেই বহু মানুষ এখন বেশি আগ্রহী। স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে ভুক্তভোগীদের চিকিৎসার ব্যাপারে জনগণের আত্মবিশ্বাস বাড়েনি। তবে, মৃত্যুর হার কম হওয়ার কারণে, অর্থনৈতিক বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ

এদিকে, মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নিক্কি এশিয়ান রিভিউ জানিয়েছে যে, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় মিত্র হিসেবে দেখছে। লরা স্টোনের একটি ইমেইলের উদ্ধৃতি দিয়েছে নিক্কি এশিয়ান রিভিউ। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অ্যাফেয়ার্স ডেস্কে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান ও মালদ্বীপের বিষয়টা দেখাশোনা করেন লরা স্টোন। তিনি বলেছেন: “বাংলাদেশের সাথে নিরাপত্তা সহযোগিতা গভীর করার চেষ্টা করছি আমরা, যেখানে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ রয়েছে। এখানে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি আমরা সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা বজায় রাখছি। প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদি বিক্রির ব্যাপারে বাংলাদেশকে আমরা পছন্দের দেশ হিসেবে বেছে নিয়েছি এবং এ জন্য আমরা প্রস্তুত আছি”।

এটা ভালো যে, বাংলাদেশের কথা খেয়াল করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু চীনের তুলনায় তাদের সামরিক সরঞ্জাম খুবই ক্ষুদ্র। তাছাড়া, চীন বাংলাদেশের সাথে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে। তিস্তা নদীর তহবিল নিশ্চিত করতে পারলে, বাংলাদেশ হয়তো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে অত বেশি মাথা ঘামাবে না, এদের অনেককেই হয়তো শিগগিরই বন্যা-প্রবণ দ্বীপে স্থানান্তরিত করা হবে।

কে চায় মার্কিন অস্ত্র?

বাংলাদেশের মূলত দুটো প্রতিবেশী দেশ রয়েছে – প্রধানত ভারত, এবং সামান্য কিছুটা মিয়ানমার। নিরাপত্তার বিবেচনায় বাংলাদেশ ভারতের সাথে লড়তে পারবে না, এবং অন্য দেশ মিয়ানমারের সাথেও তারা লড়বে না। সে কারণে বহির্শত্রুর মোকাবেলার বাইরেও সামরিক অস্ত্রের একটা ব্যবহারোপযোগী ক্ষেত্র থাকতে হবে। যদিও এর একটা প্রেস্টিজের দিকও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র হয়তো বাংলাদেশকে তাদের সার্বিক প্রশান্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখে, কিন্তু বাংলাদেশ সম্ভবত সেটা দেখে না। বাংলাদেশ মূলত অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বকে দেখে, নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে নয়। তারা এটাও জানে যে, কেউই আসলে বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করতে চায় না।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া অস্ত্র হয়তো ভালো হবে, কিন্তু সিনো-বাংলাদেশ সম্পর্কের যে অর্থনৈতিক ব্যাপ্তি, সেটা আরও আকর্ষণীয়। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো অস্ত্র দেবে, কিন্তু তিস্তা প্রকল্পের জন্য সম্ভবত তারা কোন অর্থ দেবে না। বাংলাদেশ চাহিদা থাক বা না থাক কিছু অস্ত্র হয়তো আসতে পারে। তাতে সেনাবাহিনী খুশি হবে। কিন্তু সেটার তাৎপর্য কৌশলগত ক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

কিছু স্কলার বলেছেন যে, সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলা সহযোগিতা একটি উদীয়মান ক্ষেত্র, কিন্তু (২০১৬ সালের) হোলি আর্টিজান হামলার পর সব জিহাদিদের মূলত মুছে ফেলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে, তবে বর্তমান সরকারের জন্য সন্ত্রাসবাদ উচ্চ অগ্রাধিকারের কোন ইস্যু নয়। এটা ইস্যু ঠিক আছে, কিন্তু বড় ইস্যু নয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্র বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে না পারার কারণেই বাংলাদেশকে তারা উচ্চ ঝুঁকির দেশ হিসেবে মনে করছে, কিন্তু বিগত কয়েক বছরে তার কিছুই প্রমাণিত হয়নি। সে কারণে, বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র হওয়ার সম্ভাবনা মনে হচ্ছে খুবই সামান্য।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় এনজিওগুলোর জন্য কাজ তৈরি হয়েছে। মাদক পাচারও সহজ হয়ে গেছে এখানে। অনেক শক্তিধর ব্যক্তি এখান থেকে রোজগার করছে।

বাংলাদেশ সেই সব দেশ হিসেবে ভালো একটা উদাহরণ যারা চুপচাপ থাকে, এবং যাদের কৌশলগত দুর্বলতাটাই তাদের জন্য কৌশলগত শক্তি হয়ে গেছে। বড় শক্তিগুলো থেকে যত বেশি দূরে থাকার যে নীতি বাংলাদেশ অনুসরণ করে, সেটা ভালো ফল দিয়েছে।

লেখক: আফসান চৌধুরী সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর

ভারতে কৃষি বিলে সই রাষ্ট্রপতির; কৃষক ও বিরোধীদলের বিক্ষোভ চলছেই

0

ভারতে বহুলালোচিত কৃষি সংক্রান্ত বিলে সই করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আগেই এ সংক্রান্ত তিনটি বিল সংসদে পাশ হয়েছিল।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতি ওই তিন বিলে সই করায় তা আইনে পরিণত হয়েছে।

ভারতজুড়ে কৃষক বিক্ষোভ ও বিরোধীদলীয় বিক্ষোভের মধ্যেও রাষ্ট্রপতি কৃষি সংক্রান্ত বিলে সই দেওয়ায় অনেকেই হতাশ হয়েছেন।

ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এমপি সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, কৃষি আইন আমাদের কৃষকদের জন্য মৃত্যুদণ্ড। সংসদে ও বাইরে তাদের কণ্ঠস্বর পিষ্ট হয়েছে। এটি ভারতে গণতন্ত্র মারা যাওয়ার প্রমাণ।

এদিকে, সোমবারও ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ গুজরাট, ঝাড়খণ্ডসহ বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি আইনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ইন্ডিয়া গেটের সামনে ১৫/২০ জন কৃষকের একটি দল জড়ো হয়ে একটি ট্রাক্টরে আগুন ধরিয়ে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা ঘটনাস্থল ছেড়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পরে দেশটির পুলিশ ও দমকল বাহিনী পৌঁছে আগুন নিভিয়ে সরিয়ে নেয় ট্রাক্টরটি।

ইসলামই একমাত্র নারীদের ইজ্জত আব্রুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে: চরমোনাই পীর

0

ইসলামই একমাত্র নারীদের ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, ইসলাম নারীদের সমান অধিকার নয়, বরং অগ্রাধিকার দিয়েছে। এখনও নারীদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হলে কুরআনে বর্ণিত অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর লালবাগের আমলিগোলা কারিমিয়া রাহমানিয়া মহিলা মাদরাসার নতুন শিক্ষাবর্ষের সবক উদ্ধোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও দুআ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, দেশে নারী নির্যাতনের কঠোর শাস্তির আইন বিদ্যমান থাকলেও নারীরা সত্যিকারার্থে নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছে না। দিন দিন নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা বেড়েই চলছে। সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ তার প্রমাণ। ছাত্রলীগ প্রমাণ করলো ক্ষমতাসীনদের হাতে নারী জাতিও আজ নিরাপদ নয়।

তিনি বলেন, সরকার নারী সমাজের জান-মাল, ইজ্জত আব্রুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মুহতামি মাওলানা আনিসুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সবক উদ্ধোধন ও দুআ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকনসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।