Home Blog Page 4550

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক করতে গিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে: ইরান

0

ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, ইহুদীবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে মত ভিন্নতা বেড়েছে, একই সঙ্গে বেড়েছে নিরাপত্তাহীনতা।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) তেহরান সফররত ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে আরব দেশগুলোর পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইহুদীবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে চুক্তি সই করেছে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।

ইরানের এ প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে ইহুদীবাদী ইসরাইলের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আমেরিকা আরব দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এই পদক্ষেপ সুস্পষ্টভাবে বিশ্বাসঘাতকতা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের লঙ্ঘন। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিচ্ছে তাদের ভেতরে মারাত্মক রকমের অচলাবস্থা তৈরি হবে। আলী শামখানি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলো বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়া নিজেরাই তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারে।

আর্মেনিয়ার নেতারা তাদের জনগণকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলতে যাচ্ছেন: এরদোগান

0

আর্মেনিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাতে আজারবাইজানকে পরিপূর্ণ সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। একইসঙ্গে নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হওয়ায় আর্মেনিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছে আঙ্কারা। অন্যদিকে, সমস্যা সমাধানে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান আর্মেনিয়ার জনগণকে সে দেশের নেতাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আর্মেনিয়ার নেতারা দেশের সাধারণ জনগণকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলতে যাচ্ছেন।

এরদোগান বলেন, আজারবাইজানের ওপর নতুন করে হামলা চালিয়ে আর্মেনিয়া এ কথায় প্রমাণ করেছে যে, তারা এই অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে তা খুবই অপর্যাপ্ত বলে এরদোগান মন্তব্য করেন। আগ্রাসন এবং নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে পুরো বিশ্বকে রুখে দাঁড়াতে আজারবাইজানের প্রতি সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

এ বিবৃতি প্রকাশের আগে রজব তাইয়েব এরদোগান আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ঐতিহাসিকভাবে তুরস্ক আজারবাইজানের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে।

গত রোববার আকস্মিকভাবে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে কারাবাখ সীমান্ত নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এ নিয়ে দু দেশ পরস্পরকে দায়ী করেছে।

তুরস্কের পণ্য বর্জন করছে সৌদি আরব

0

চলতি সপ্তাহে সৌদি আরব সরকারিভাবে তুরস্কের পণ্য নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। গতকয়েক মাস অঘোষিতভাবে সৌদি ব্যবসায়ীদের ওপর তুর্কি পণ্য বর্জনের ব্যাপারে চাপ সৃষ্টির পর এখন আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রিয়াদ। তুরস্কের গণমাধ্যম এ ঘটনাকে গোপন অবরোধ বলে মন্তব্য করেছে।

তুরস্কের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা বলেছে, সৌদি আরবের এই নিষেধাজ্ঞা সংকটাপন্ন তুর্কি অর্থনীতির জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তুরস্কের একজন ব্যবসায়ীর উদ্ধৃতি দিয়ে জমহুরিয়াত পত্রিকা বলেছে, “সৌদি ব্যবসায়ীরা বলছেন আমরা তুর্কি পণ্যে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের ক্রেতারা তুর্কি পণ্যে সন্তুষ্ট অথচ এখন কোনমতেই তারা আর তুরস্কের পণ্য কিনতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে আপনারা তৃতীয় কোনো দেশে এসব পণ্য পাঠিয়ে দিন।

জুলাই মাসে মিডিল ইস্ট আই রিপোর্ট করেছিল, তুরস্ক থেকে তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি বহন করা ট্রাকগুলোকে সীমান্ত পার হতে বাধা দিয়েছে সৌদি।
তুরস্কের পত্রিকা দুনিয়া জানিয়েছে, সৌদি সরকারি কর্মকর্তারা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। পার্সটুডে

ভারতই একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানো হয়: ইমরান খান

0

গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের ভিডিও লিংকে যুক্ত হয়ে এক ঐতিহাসিক বক্তব্য দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

২৭ মিনিটের বক্তৃতায় পাক প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস, আঞ্চলিক সশস্ত্র লড়াই ও অস্ত্র মজুদের প্রতিযোগিতা, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লামকে কটুক্তি করে স্কেচ প্রকাশ বৃদ্ধি, দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতা, স্বাধীন ফিলিস্তিনে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের দখল, জলবায়ু ও পরিবেশ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার মতো গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে আলোচনা করেন।

ভারতে রাষ্ট্রীয় যোগসাজশে ইসলাম বিদ্বেষ বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো হয় তার নাম হলো ভারত।

এর জন্য তিনি বিজেপি সরকারকে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস প্রভাবিত সরকার বলে দায়ি করেন। তিনি বলেন, আরএসএস এমন একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন যাদের মতাদর্শ হল, ‘ভারত শুধুমাত্র হিন্দুদের এবং অন্যান্য ধর্ম সর্বোনিকৃষ্ট’।

ইমরান খান বলেন, ১৯৯২ সালে এই উগ্রবাদী সংগঠন ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদকে শহীদ করে এবং ২০০২ সালে তৎকালীন গুজরাটের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তত্বাবধানে গুজরাটের মুসলিমদের উপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাছাড়া, ২০০৭ সালে ‘সামঝোতা এক্সপ্রেসের’ ৫০ জন মুসলিম যাত্রীকে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা জ্বালিয়ে হত্যা করে এবং আসামের লাখলাখ মুসলিম জনগণকে নাগরিকত্ব সুবিধা বঞ্চিত করে বিতাড়িত করতে জঘন্যভাবে পায়তারা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, ভারতে করোনার বিস্তারের জন্য মুসলমানদের উপর তারা মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত মুসলমানদের চিকিৎসা সেবা দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিল! গাও রাকশা বা গরু রক্ষার নামে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা যখন তখন মুসলমানদের হত্যা করছে। এমনকি ভারতের ৩০ কোটি মুসলমান, খ্রিস্টান, ও শিখদের পিঠ দেয়ালে ঠেকাতে তারা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসীর নজির আর কখনোই দেখা যায় নি।

ইহুদীবাদী ইসরাইলের সন্ত্রাসী হামলায় এক ফিলিস্তিনী কৃষক মারাত্মকভাবে জখমী

0

ইনসাফ | নাহিয়ান হাসান


ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের এক সেনার হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন নিরীহ ফিলিস্তিনী কৃষক।

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলাস শহরের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাবলাস শহরের আসীরাতুল ক্বাবলীয়্যাহ গ্রামের ফিলিস্তিনি কৃষক উসামা হামদান যখন তার কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন তখন সশস্ত্র এক ইহুদী সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা করলে সে গুরুতরভাবে আহত হয়।

স্থানীয়রা যখন দেখতে পেলো যে, হামলার ফলে উসামা হামদানের পুরো শরীর মারাত্মক ভাবে জখমী হয়ে পরেছে, তখন অতিদ্রুত নাবলাসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

তারা জানায়, সেই সশস্ত্র ইহুদী সন্ত্রাসী হলো ইয়েতঝার নামক অবৈধ ইহুদী বসতির একজন নিরাপত্তা রক্ষী।

সূত্র: ডাব্লিউএএফএ।

শান্তিচুক্তিতে শায়েখ আবদুল হাকিম হক্কানী যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তালেবানের

0

মার্কিন মদদপুষ্ট আফগান সরকার ও তালেবান কাতারের দোহায় শান্তি আলোচনায় নিয়োজিত। সহিংসতা গৃহযুদ্ধ অব্যাহত থাকায় সেখানে বড় ধরনের অগ্রগতির আশা অনেকটাই কম।

মার্কিন মদদপুষ্ট আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির সরকার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় প্রবেশের আগে যুদ্ধবিরতির ওপর
বক্তব্য দিলেও তালেবান বন্দুক তুলে রাখার আগে যে কারণে আবারও যুদ্ধ হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা ও সমঝোতার ওপর গুরুত্বারোপ চলছে ওই বৈঠকে।

আলোচনার লক্ষ্য ১৯ বছরের যুদ্ধ অবসান ঘটানো এবং সম্ভাব্য ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিসহ যুদ্ধ-পরবর্তী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা। এখন পর্যন্ত আলোচনা কেন্দ্রীভূত রয়েছে এজেন্ডা নির্ধারণ ও কিভাবে আলোচনা হবে তা নিয়ে।

তালেবান দাবি জানাচ্ছে যে আমেরিকা ও তার মিত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সঙ্ঘাতটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জিহাদ’ হিসেবে স্বীকার করত হবে, আলোচনা হতে হবে হানাফি মাজহাবের চিন্তাধারা অনুযাযী এবং দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তি হবে ফেব্রুয়ারিতে সই হওয়া তালেবানের সাথে আমেরিকার চুক্তি।

তালেবানের সাথে আমেরিকার চুক্তির ফলে ২০২১ সালের মে মাস নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশী সৈন্যের প্রত্যহারের পথ সৃষ্টি করেছে। ওই চুক্তিতে থাকা বন্দি বিনিময় নিয়ে ঘানি সরকার মতপার্থক্য করায় আলোচনা শুরু হতে দেরি হয়।

আন্তঃআফগান আলোচনা শুরু হয় ১২ সেপ্টেম্বর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন। অবশ্য কোভিড-১৯-এর বিধিনিষেধের কারণে তা হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

এর পর থেকে আফগানদের দল দুটি প্রতিদিন বৈঠক করছে। তবে তারা অভিন্ন অবস্থানে না থেকে নিজ নিজ অবস্থান অটল থাকছে। এদিকে মিডিয়ায় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টা এমই দাঁড়াচ্ছে যে, আলোচানার টেবিলে আলোচনা, যুদ্ধের মাঠে যুদ্ধ।

তালেবান আলোচনার টেবিলে তাদের একনিষ্ঠ নেতা ও তাদের (ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তান) প্রধান বিচারপতি শায়েখ আবদুল হাকিম হক্কানীকে পাঠিয়েছে। তালেবানের প্রধান আলোচকের দায়িত্ব পালনকারী শায়েখ হক্কানী তালেবান আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি ইসলামি আইনশাস্ত্র ও হাদিসশাস্ত্র নিয়ে উচ্চমানের বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি পাকিস্তানের কোয়েটার ইশাকাবাদ মাদরাসার মহাপরিচালক। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কয়েকজন একনিষ্ঠ তালেবান সামরিক কমান্ডার গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে।

মরহুম তালেবান নেতা মোল্লা মুহাম্মাদ ওমর রহ. এর ছেলে ও সামরিক কমিশনের বর্তমান প্রধান মোল্লা মুহাম্মাদ ইয়াকুবও তার ছাত্রদের মধ্যে আছেন। তিনি অবশ্য নিরাপত্তাগত কারণে আত্মগোপনে রয়েছেন।

শায়েখ হাক্কানী ১৯৯৪ সালে তালেবান প্রতিষ্ঠাকারী মোল্লা মুহাম্মাদ ওমরের ঘনিষ্ঠ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০১৩ সালে তার ইন্তেকালের খবর তিনিই প্রথমে পেয়েছিলেন।

ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, হাক্কানীই মৃত্যুর খবরটি গোপন রাখতে বলেন। ২০১৫ সালে নতুন তালেবান নেতা হিসেবে মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মনসুরকে নিয়োগের আগ পর্যন্ত খবরটি চেপে রাখা হয়।

তালেবানের রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশল নির্ধারণে প্রধান বিচারপতি মোল্লা আব্দুল হাকিম হক্কানীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণেই গ্রুপটি সংগ্রাম অব্যাহত রাখছে। তিনিই তালেবানকে স্থানীয় আন্দোলন থেকে বৈশ্বিক গ্রুপে পরিণত করেন। স্থানীয় কমান্ডার ও সেইসাথে প্রতিবেশী দেশের ইসলামপন্থী গ্রুপগুলোর সবাই তাকেই ধর্মীয় উস্তাদ হিসেবে মান্য করে।
তার সাবেক এক ছাত্র বলেন, তিনি এই অঞ্চলের সব মুসলিমকে ভাই হিসেবে ডাকেন। তার কাছে আফগান, পাকিস্তানি, ইরানি সুন্নি ও অন্য সবাই একই।

মনে রাখতে হবে, দোহায় যেসব বিরোধের মীমাংসা করতে হবে, সেগুলোর কিছু কিছু রাজনৈতিক ও সেইসাথে গবেষণাবিষয়কও।

একটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো, হানাফি মাজহাব পুরোপুরি অনুসরণ করা। চারটি মাজহাবের অন্যতম এটি। ভারতীয় উপমহাদেশ, মধ্য এশিয়া ও তুরস্কে এই মাজহাব ব্যাপকভাবে অনুসরণ করা হয়।

এখন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, আফগান আইনি ব্যবস্থায় শিয়া ধর্মের জাফরি মাজহাবকে আইনের উৎস হিসেবে বহাল রাখা হবে কিনা। উত্তরাধিকার, ধর্মীয় কর, বাণিজ্য, ব্যক্তি মর্যাদা, মুতা বা সাময়িক বিয়ের মতো অনেক বিষয়ে সুন্নি আইনের সাথে শিয়া ধর্মের জাফরি মাজহাবের ভিন্নতা রয়েছে। ২০০১ সালে তালেবানকে হটানোর পর পরবর্তী সংস্কারের সময় আফগানিস্তানে শিয়া ধর্মের জাফরি মাজহাবকে গ্রহণ করা হয়েছিল।

উভয়পক্ষই আলোচনা অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কিন্তু ব্যাপকভিত্তিক ও অর্থপূর্ণ আলোচনার কাজটিই বিলম্বিত হচ্ছে।

দোহায় মার্কিন মদদপুষ্ট আফগান সরকারের কারিগরি দলের সদস্য মুজিবুর রহমান লেমার বলেন, অগ্রগতি কিছু হয়েছে এবং তালেবান নেতৃত্ব আমাদের বিকল্প প্রস্তাবগুলো নিয়ে এখন আলোচনা করছেন। আমরা অপেক্ষা করছি। তারা শিগগিরই আমাদের কাছে ফিরে আসবেন।

তবে সমালোকেরা বলছেন, বর্তমান আফগান সরকারি দল বড় ধরনের কোনো চুক্তিতে আসতে পারবে না। কারণ তাদের মধ্যে কার্যকর কর্তৃত্ব নিয়ে কথা বলার মতো শক্তিশালী কোনো রাজনীতিবিদ বা প্রভাবশালী ব্যক্তি নেই।

কাবুলভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাসরাতুল্লাহ হাকপাল বলেন, সরকারি দলটি গঠিত হয়েছে বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে। তাদের চিন্তা ও কাজের মধ্যে ঐক্য নেই। তাদের ক্ষমতা শূন্য।

এদিকে আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্র এখনো রক্তস্নাত রয়ে গেছে। ১৯ সেপ্টেম্বরে কুন্দুজে মার্কিন মদদপুষ্ট আফগান সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় ১১ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। তালেবান দাবি করেছে, ওই বিমান হামলায় ২৩ জন নিহত হয়েছে।

আরেক খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফগানিস্তানে সরকার নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা বাহিনীর চেক পয়েন্টগুলোতে হামলা শুরু করেছে তালেবান। তাদের হামলায় ২৮ আফগান পুলিশকে নিহত হয়েছে।

আলোচকেরা অবশ্য সহিংসতার জন্য আলোচনা ভণ্ডুল করে দিতে নারাজ।

এই আলোচনায় অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তি দূরে আছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন তালেবানকে হটানোর পর আমেরিকার নিয়ন্ত্রণাধীন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, রাশিয়া বিরোধী সাবেক মুজাহিদিন নেতা ও শক্তিশালী হেজবে ইসলামি নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার। উভয়েই হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনে যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন।
ঘানি সরকারের ঘোষিত ডিক্রি থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন।

হামিদ কাজরাই এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি শান্তির জন্য ব্যক্তিগত প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন। তবে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে থাকবেন না।

২০১৬ সালে মার্কিন মদদপুষ্ট আফগান সরকার ও হেজবে ইসলামির মধ্য শান্তিচুক্তি সই হওয়ার পর আফগান রাজনৈতিক দৃশ্যপটে ফিরে আসেন হেকমতিয়ার। তিনি অবশ্য ঘোষণা করেছেন যে তার দল তালেবানের সাথে একজোট হওয়ার জন্য চুক্তি করতে রাজি। তিনি বলেন, তালেবান ও হিজবে ইসলামীর চিন্তা-আদর্শ অভিন্ন।

সূত্র: এশিয়া টাইমস

ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতিকে ক্যাম্পাসে দেখতে চায় না শিক্ষার্থীরা: ছাত্র ইউনিয়ন

0

‘ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নকে বৈধতা দেয়ায়’ ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসকে শিক্ষার্থীরা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছে ছাত্র ইউনিয়ন।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করে সংগঠনটি।

যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, গতকাল সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক বক্তৃতায় ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ‘স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া অন্য কোনো নারী যদি নির্যাতনের শিকার হয়…তা প্রতিহত করব’ এমন একটা বক্তব্য দিয়েছেন।

‘আমরা মনে করি, এই বক্তব্য ছাত্রলীগকর্মীদের হাতে ক্রমাগত ঘটে চলা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনাকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা মাত্র।’

তারা বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর নির্যাতনের শিকার নারীর মধ্যে ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ খোঁজার মাধ্যমে সঞ্জিত তার সংগঠনের নারী নিপীড়কদের বাঁচানোর অপপ্রয়াস করছেন।

ছাত্রলীগ পুরোদস্তুর একটি ধর্ষক-নিপীড়কদের সংগঠনে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একশর অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা ছাত্রলীগ নেতা মানিককে জনগণ ভুলে যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে নারী নিপীড়নের কলঙ্কিত ঘটনা যারা ঘটিয়েছিল তারা এই ছাত্রলীগেরই নেতাকর্মী। সবশেষ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এহেন ছাত্রলীগ সভাপতি নারী নির্যাতনকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা চালাবেন, এতে আমরা একটুও বিষ্মিত হই না।

ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃদ্বয় আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে একক ছাত্রসংগঠন হিসেবে রণাঙ্গনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক যোদ্ধা ছাত্র ইউনিয়নের ছিল। এটি ছিল একটি গণযুদ্ধ, দেশের সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশ নিয়েছিল। সঞ্জিত তার সংগঠনের অপকর্মকে বৈধতা দিতে এই রক্তার্জিত স্বাধীনতাকে ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আদর্শকে কলঙ্কিত করেছেন।

যে রাজু শহীদ হয়েছিলেন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সন্ত্রাস প্রতিহত করতে গিয়ে, সেই রাজুর নামে স্থাপিত ভাস্কর্যকে তিনি কলঙ্কিত করেছেন। তার উপস্থিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সঞ্জিত চন্দ্র দাসকে আর ক্যাম্পাসে দেখতে চায় না।

সিলেটে কাউন্সিলরদের নিয়ে রাজপথে মেয়র আরিফ, ‘অপরাধ নির্মূল কমিটি’র ঘোষণা

0

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে মহানগর পুলিশ কার্যালয় অভিমুখে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশেনের মেয়র ও কাউন্সিলররা।

এর আগে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে কাউন্সিলরদের নিয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।

জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে নাগরিক প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, অভিভাবক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভা শেষে নগর ভবন থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর পুলিশ কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে কাউন্সিলররা।

এরপর নগরের উপশহরের মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কাউন্সিলররা।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আধ্যাত্মিক রাজধানী ও পবিত্র নগর সিলেটে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা মহানগরবাসীর জন্য উদ্বেগজনক। এই নগরকে আমরা স্মার্ট পর্যটন নগর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। কিন্তু এই নগরে একজন পর্যটক যদি এমন নিকৃষ্ট ঘটনার শিকার হন তবে আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে লজ্জিত না হয়ে পারি না।

তিনি আরও বলেন, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে গডফাদারদের সমূলে উৎপাটন করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু, কাউন্সিলর রেজাউল হাসান লোদী, কাউন্সিলর তৌফিক বকস, কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান, কাউন্সিলর এবিএম উজ্জলুর রহমান, কাউন্সিলর মো. আব্দুর রকিব তুহিন, কাউন্সিলর মো. ছয়ফুল আমীন, কাউন্সিলর আব্দুল মুমিন, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, কাউন্সিলর এসএম শওকত আমিন তৌহিদ, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহানারা বেগম, শাহানা বেগম শানু, মাসুদা সুলতানা, রেবেকা বেগম রেনু, কুলসুমা বেগম পপি ও নাজনিন আক্তার কণা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন ওই তরুণী। এঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হল- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।

আধ্যাত্মিক রাজধানী থেকে গডফাদারদের সমূলে উৎপাটন করতে হবে: মেয়র আরিফ

0

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে মহানগর পুলিশ কার্যালয় অভিমুখে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশেনের মেয়র ও কাউন্সিলররা।

এর আগে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে কাউন্সিলরদের নিয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।

জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে নাগরিক প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, অভিভাবক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভা শেষে নগর ভবন থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর পুলিশ কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে কাউন্সিলররা।

এরপর নগরের উপশহরের মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কাউন্সিলররা।

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আধ্যাত্মিক রাজধানী ও পবিত্র নগর সিলেটে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা মহানগরবাসীর জন্য উদ্বেগজনক। এই নগরকে আমরা স্মার্ট পর্যটন নগর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। কিন্তু এই নগরে একজন পর্যটক যদি এমন নিকৃষ্ট ঘটনার শিকার হন তবে আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে লজ্জিত না হয়ে পারি না।

তিনি আরও বলেন, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে গডফাদারদের সমূলে উৎপাটন করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু, কাউন্সিলর রেজাউল হাসান লোদী, কাউন্সিলর তৌফিক বকস, কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান, কাউন্সিলর এবিএম উজ্জলুর রহমান, কাউন্সিলর মো. আব্দুর রকিব তুহিন, কাউন্সিলর মো. ছয়ফুল আমীন, কাউন্সিলর আব্দুল মুমিন, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, কাউন্সিলর এসএম শওকত আমিন তৌহিদ, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহানারা বেগম, শাহানা বেগম শানু, মাসুদা সুলতানা, রেবেকা বেগম রেনু, কুলসুমা বেগম পপি ও নাজনিন আক্তার কণা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন ওই তরুণী। এঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হল- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।

ধর্ষক রবিউল শুধু ছাত্রলীগ নয়, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চেরও সভাপতি

0

সিলেটের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের মামলার ৫ নম্বর আসামি ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এমসি কলেজ শাখার সভাপতি।

ধর্ষক রবিউল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিৎ সরকারের গ্রুপের বলে জানাগেছে।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার ৪২ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন। এতে সভাপতি হিসেবে রবিউল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সোহেব মামুন নির্বাচিত হন।

শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট জেলা শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ জানিয়েছে, এমসি কলেজে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কোনো কমিটি দেয়া হয়নি। সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নাম ব্যবহার করে এমসি কলেজে বিতর্কিতদের মাধ্যমে ভুয়া কমিটি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সঙ্গে বহিষ্কৃত অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। তার দেয়া কোনো কমিটির বৈধতা নেই।

এরই মধ্যে গণধর্ষণের মামলার ৫ নম্বর আসামি রবিউল হাসান শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘সম্মানিত সচেতন নাগরিকবৃন্দ আমি রবিউল হাসান। আমি এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। আপনারা অনেকে চেনেন, আমি কেমন মানুষ তা হয়তো অনেকে জানেন। শুক্রবার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের সঙ্গে কে বা কারা আমাকে জড়িয়ে সংবাদ করিয়েছেন জানি না। আমি এমসি কলেজের ছাত্র। কিন্তু আমি হোস্টেলে কখনও ছিলাম না, আমি বাসায় থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আপনাদের অনুরোধ করে বলছি, এই নির্মম গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই, আমাদের পরিবার আছে। যদি আমি এই জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকি তাহলে প্রকাশ্যে আমাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। আমি কোনোভাবেই এই কাজের সঙ্গে জড়িত নই। সবার কাছে অনুরোধ করছি, সত্য না জেনে আমাকে এবং আমার প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের নামে অপপ্রচার করবেন না। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণকারী সব নরপশুকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

দুপুরে রবিউল হাসানের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বড় নগদীপুরে তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন ওই তরুণী। এঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হল- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।