ইহুদীবাদী ইসরাইল শান্তিপূর্ণ উপায়ে ফিলিস্তিনি সংকট সমাধানের শেষ সুযোগ ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনিরে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনি জাতি আত্মসমর্পণ করবে না বরং তারা তাদের ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে যাবে এবং একদিন অবশ্যই বিজয়ী হবে।”
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে এ মন্তব্য করেন।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, তেল আবিব আমেরিকার তৈরি ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে যা ইসরাইলকে পশ্চিম তীরের প্রায় গোটা অংশকে গ্রাস করার সুযোগ করে দিয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইসরাইল সহজেই ফিলিস্তিনিদের আরো ৩৩ শতাংশ ভূমি জবরদস্তিমূলকভাবে দখল করে নিতে পারবে যা এর আগের শান্তি পরিকল্পনাগুলোর মারাত্মক লঙ্ঘন।
তিনি আগামী বছরের গোড়ার দিকে একটি ‘প্রকৃত শান্তি প্রক্রিয়া’ শুরু করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানান। মাহমুদ আব্বাস বলেন, হত্যা ও দখলদারিত্ব টিকে থাকা পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা কিংবা ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব নয়।
গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের এক ঐতিহাসিক বক্তব্য দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
২৭ মিনিটের বক্তৃতায় পাক প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস, আঞ্চলিক সশস্ত্র লড়াই ও অস্ত্র মজুদের প্রতিযোগিতা, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লামকে কটুক্তি করে স্কেচ প্রকাশ বৃদ্ধি, দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতা, স্বাধীন ফিলিস্তিনে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের দখল, জলবায়ু ও পরিবেশ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার মতো গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে আলোচনা করেন।
দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় নৃশংসতার বিষয়গুলো তুলে ধরে ইমরান খান বলেন, ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী জাতিসংঘের জন্য একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে এবং বজায় রাখতে এই বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতা অতিব জরুরি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের ভেবে দেখা উচিত, মাজলুম কাশ্মীরীদের তারা যে ওয়াদা করেছিল তা তারা পূরণ করতে পেরেছে কিনা? আজ নিরীহ স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরীদের নিজস্ব মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে জোরপূর্বক দাবিয়ে রাখা হচ্ছে। নিজস্ব মতামত প্রকাশে জাতিসংঘ কর্তৃক ভোটাধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত শুধু কাশ্মীরীদের উপর নির্যাতনই করছে না বরং এতে করে তারা আন্তর্জাতিক আইনও লঙ্ঘন করছে। স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও তারা অনবরত অন্যায্য হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছে।
গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের এক ঐতিহাসিক বক্তব্য দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
২৭ মিনিটের বক্তৃতায় পাক প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস, আঞ্চলিক সশস্ত্র লড়াই ও অস্ত্র মজুদের প্রতিযোগিতা, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লামকে কটুক্তি করে স্কেচ প্রকাশ বৃদ্ধি, দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতা, স্বাধীন ফিলিস্তিনে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের দখল, জলবায়ু ও পরিবেশ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার মতো গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে আলোচনা করেন।
বক্তৃতার শুরুতেই ইমরন খান বলেন, সরকার গঠনের পর মৌলিক বিষয়াদি সংস্কারের লক্ষ্যে আমরা আলোচনা করেছি এবং ক্ষমতা গ্রহণের পর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য মদীনা সনদকে আমরা ভিত্তি হিসেবে নির্ধারণ করেছি।
তিনি বলেন, মদিনা সনদের মডেল রাষ্ট্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুবই জরুরি একটি বিষয়। আর এই কারণেই আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতির স্থান সবার উপরে। আর আমরা বিশ্বাস করি যে সকল সমস্যা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান যোগ্য।
পশ্চিমা দেশগুলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলোতে কথা না বলায় মুসলিম-বিরোধী এজেন্ডাগুলো আরও জোরেসোরে প্রয়োগের ব্যাপারে শক্তি পেয়েছেন মোদি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এ কথা বলেছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রথ এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো চীনের শক্তি ও প্রভাব মোকাবেলার জন্য ভারতকে ব্যবহার করতে চায়, এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট মানবাধিকার ইস্যুতে যেভাবে নীতিহীনভাবে অগ্রসর হয়েছেন, সে বিষয়গুলো মুসলিম নাগরিকদের মানবাধিকার দমনের ক্ষেত্রে ভারতের নেতাকে শক্তি দিয়েছে।
নিউজউইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ সব মন্তব্য করেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক।
রথ আরও বলেন, “মোদি মূলত তার মুসলিম-বিদ্বেষী এজেন্ডা এবং বিক্ষোভ দমনের ইস্যুতে পার পেয়ে গেছেন। এই ইস্যুতে পশ্চিমাদের সমালোচনা না থাকায় সেটা তাকে আরও শক্তিশালী করেছে”।
তিনি বলেন, মুসলিমদের বিরুদ্ধে মোদির প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য এবং মুসলিম বিরোধী সহিংসতার ব্যাপারে তার সহিষ্ণু মনোভাবের কারণেই এগুলো এভাবে চলতে পারছে।
প্রতিবেদনে বলা হয় ২০০২ সালে গুজরাটে মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গায় জড়িত থাকার কারণে ব্রিটেন আর আমেরিকায় নিষিদ্ধ হন বিজেপির নেতা মোদি। ওই দাঙ্গায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।
এতে বলা হয়, “মোদি সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা তিনি ঘটতে দিয়েছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে”।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, মোদি যে নাগরিকত্ব আইন পাস করেছেন, জাতিসংঘ সেটাকে ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
ভারতের সেক্যুলার সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে এই নাগরিকত্ব আইনে ভারতের প্রতিবেশী তিনটি দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান করা হয়েছে, কিন্তু মুসলিমদেরকে সেখানে বাদ দেয়া হয়েছে।
কাশ্মীর মোদির বিস্তৃত মুসলিম-বিদ্বেষী এজেন্ডার একটা অংশ মাত্র
কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপের ব্যাপারে রথ বলেন, “কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, সেখানে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে ষাঁড়াশি অভিযান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া, এই সব কিছুই বিজেপির আরও বড় মুসলিমবিরোধী এজেন্ডার অংশ মাত্র। মোদি হয় সক্রিয়ভাবে এতে অংশ নেন, অথবা এগুলোকে স্বাধীনভাবে ঘটতে দেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উল্লেখ করেছে যে, গরু রক্ষার নামে ক্ষমতাসীন বিজেপি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হামলাকে উৎসাহিত করেছে।
রথ উল্লেখ করেন যে, মূলত পুঁজিবাদী কারণেই পশ্চিমা দেশগুলো এ ব্যাপারে ভারতকে কিছু বলেনি।
তিনি বলেন, “কাশ্মীর আরও বড় মুসলিম-বিরোধী এজেন্ডার একটা অংশ মাত্র, পশ্চিমারা যেটা অগ্রাহ্য করে যাচ্ছে। ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ দেশ। চীনের সাথে পশ্চিমাদের উত্তেজনা বাড়ছে এবং চীনের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় যেহেতু ভারতকে মিত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে, সে কারণে ভারতের ব্যাপারে সমালোচনার মাত্রা কমিয়ে এনেছে পশ্চিমারা”।
খাই খাই রাজনীতি ও দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব বর্জন করার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, দুর্নীতি এখন রাষ্ট্রীয় মুলনীতিতে পরিনত হয়েছে। যেকোন মুল্যে অর্থ সম্পদ, গাড়ী বাড়ী অর্জনের অসুস্থ্য প্রতিযোগিতার কারণে রাজনীতি এখন জড়াগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। পুজিঁপতি ও কালোটাকার মালিকরা রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করে রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। রাজনীতি এখন পরিনত হয়েছে লাভজনক ব্যবসায়। তাই আমলা কামলা পুজিঁপতিরা শিল্প কল-কারখানা তৈরী না করে এমপি মন্ত্রী মেয়র চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি হতে বিনিয়োগ করছে।
আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বৃহত্তর নোয়াখালি জেলা লেবার পার্টির উদ্যোগে মহিপাল আঞ্চলিক কার্যালয়ে সাংগঠনিক মাস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাঃ ইরান বলেন, অসাধু ও দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদরা জনগনের সাথে বার বার ভোটের নামে প্রতারনা করে ভোটাধিকার হরন করেছে। জনগন সন্ত্রাস দুর্নীতি লুটপাটের কারনে ক্রমশঃ রাজনীতি ও রাজনীবিদদের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। গনতন্ত্র ও মানবাধিকার বিপন্ন হওয়ার কারনে আইনের শাসন বিলুপ্তি পথে। এভাবে বাংলাদেশ চলতে থাকলে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত হবে। তাই শোষনমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক জনকল্যান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় লেবার পার্টিকে তৃর্নমুল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে হবে।
জেলা সহ-সভাপতি হাকিম এইচ এম হেলালের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন লেবার পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী জেলা সভাপতি জহুরুল হক জহির, ফেনী জেলা সভাপতি আবদুল আলী বাহার, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নাসির আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা সভাপতি ওসমান গনি, ছাত্রমিশন নেতা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ সভায় সবে শুরু হচ্ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণ। প্রত্যাশিত ছিল, কোন বিষয়ে ভাষণে তিনি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করবেন। সেই ভাষণ শুরুর আগেই সাধারণ পরিষদের সভাকক্ষ ত্যাগ করলেন জাতিসংঘের ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো।
কাশ্মীরের আইনসভার পরিবর্তন, সেখানে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি, সংখ্যালঘুদের প্রতি ব্যবহারের মতো বিষয় নিয়ে মুখ খুলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, কাশ্মীর একটি পারমাণবিক দ্বন্দ্বের জায়গায় পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়মের ভিত্তিতে কাশ্মীর ইস্যু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি থাকবে না বলে মন্তব্য করেন ইমরান খান।
সদ্য প্রয়াত আমীরে হেফাজত শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর রূহের মাগফিরাত কামনা ও দারাজাত বুলন্দির জন্য দুআর আবেদন করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষাপরিচালক ও শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
গতকাল (২৫ই সেপ্টেম্বর) শুক্রবার হাটহাজারী মাদরাসার কেন্দ্রীয় বায়তুল করীম জামে মসজিদে জুমার নামাজপূর্ব বয়ানে উপস্থিত হাজার হাজার মুসল্লি সহ দেশবাসীর নিকট আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর জন্য দুআ চান তিনি।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন,আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. দেশের অন্যতম একজন বুজুর্গ আলেদ্বীন ও মুরুব্বি ছিলেন। ইসলাম,মুসলমান,দেশ ও জাতীর কল্যাণে হযরতের বহুমুখী খিদমাত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, জুমার নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি সহ মাদরাসার ছাত্রদের নিকট হযরতের শোকাহত পরিবার পরিজনের জন্য দুআ চান। বিশেষ করে হযরতে সহধর্মিণীর সুস্থতা ও নেক হায়াতের জন্য সকলের নিকট দুআর আবেদন করেন।
শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন ওই তরুণী। এঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হল- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।
জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ধর্ষণের ঘটনা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আপোষে মীমাংসারও চেষ্টা চালান তারা। প্রথমদিকে পুলিশও বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে এড়িয়ে যায়।
পরে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা বিফলে যায়। তবে দীর্ঘ সময়ক্ষেপনের কারণে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অভিযুক্তরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে এমসি কলেজে বেড়াতে যান দক্ষিণ সুরমা এলাকার এক যুবক। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতা তাদের ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে আসেন। এই ছাত্রনেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
আপোষের মীমাংসার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগরের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এক দম্পতিকে আটকে রাখা হয়েছে খবর পেয়েই আমরা এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যাই। এরপর সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করি। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে পুলিশ খোঁজে না পেলেও ফেসবুকে সরব রয়েছে আসামীরা। শনিবার সকালেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে এই মামলার দুই আসামীকে। স্ট্যাটাসে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছে।
পাকিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বী একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহতের জেরে ইসলামাবাদে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন এবং তাদের কমিউনিটির নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তারা ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকিশনের সামনে বিক্ষোভ করেন।
এসময় হিন্দু পরিবারের ১১ সদস্য নিহতের ঘটনা অনুসন্ধানে তদন্তের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
পরিবারটি পাকিস্তান থেকে ভারতে গিয়েছিল। গেল মাসে ভারতের রাজস্থানের জোধপুর শহরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তারা।
গণমাধ্যমকে পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের প্রধান আইনজীবী রামেশ কুমার জনান, নিহত ১১ পাকিস্তানি হিন্দুর জন্য আমরা ন্যায় বিচার দাবি করছি।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বেশ কয়েকবার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়ার জন্য ভারতীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু নয়াদিল্লি কোনো সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ জানিয়েছেন, জোধপুরের ঘটনা সরকার এবং পাকিস্তানিদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের; বিশেষ করে পাকিস্তানি হিন্দু সম্পদ্রায়ের জন্য।
শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন ওই তরুণী। এঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।
পুলিশ খোঁজে না পেলেও ফেসবুকে সরব রয়েছে আসামীরা। শনিবার সকালেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে এই মামলার দুই আসামীকে। স্ট্যাটাসে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
গণধর্ষণের মামলার ৫ নম্বর আসামী রবিউল ইসলাম শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়।
এরআগে এই মামলার ৬ নম্বর আসামী মাহফুজুর রহমান মাসুম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়।
ফেসবুকে সরব থাকার পরও আসামীদের গ্রেপ্তার করতে না পারা প্রসঙ্গে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী জানান, আমরা তাদের গ্রেপ্তারে সবধরণের চেষ্টা চালাচ্ছি।