Home Blog Page 4558

আন নুহা ইউনিক এডুকেশন; শিক্ষাব্যবস্থার নতুন ধারা

0

জ্ঞানের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। মানুষের প্রয়োজন যেমন অসীম, তেমনি তার সেই সকল প্রয়োজন পূরণে তাকে ধরতে হয় অসংখ্য পথ ও পরিক্রমা। এসকল প্রয়োজনের সর্বোচ্চ ও প্রধানতম প্রয়োজন হচ্ছে জ্ঞান বিজ্ঞানে মানুষের উৎকর্ষ। মানুষের শিক্ষা ও জ্ঞানকে যদি সীমিত করে দেওয়া হয়, তাহলে ব্যহত হবে তার হাজার বছরের অগ্রযাত্রার এই পথ। তাই প্রতি যুগেই সেই সময়ের জ্ঞান-বিজ্ঞান মানুষের অন্ন-বস্ত্রের মতো আরেক মৌলিক প্রয়োজন।

বিগত শতকের শেষের দিকে দেশের প্রচলিত মাদরাসা শিক্ষাকে আরো উন্নততর করতে এবং যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে গড়তে ব্যপকভাবে প্রয়াসী হন দেশের অন্যতম ইসলামিক স্কলার ও শিক্ষাবিদ মাওলানা আবু তাহের মেছবাহ। আল্লাহ তাকে শতায়ু প্রাণ দান করুন। প্রথম মাধ্যম হিসেবে শিক্ষায় মাতৃভাষাকে গ্রহণ করা, সে সময়ে সহজ কথা ছিলো না। আজও যে অনেকে ঐ পথের মসৃণতা মাড়িয়ে যাচ্ছে, তার পেছনে প্রধান অবদান তারই। বস্তুত শিক্ষায় ভাষা প্রশ্নটি একটি অমোঘ গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। শিক্ষায় ভাষার সহজায়ন না হলে এর প্রভাব যে শুধুই শিক্ষার সময়কালের উপর না পড়ে, বরং তৎপরবর্তীকালে বিগত সময়ের বিপুল ফায়দা (অর্থনৈনিক, সামাজিক, উচ্চশিক্ষাজনিত ইত্যাদি) থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবেও দাঁড়াবে বা দাঁড়ায়, এই কথাটুকু যেন সামান্য ফারাক রেখে বাংলাদেশের জেনারেল ও কওমি এই দুই ধারাই বিস্মৃত হয়ে গিয়েছে।

শিক্ষাব্যস্থার এই প্রধানতম ত্রুটির সংশোধনকল্পেই মাদরাসার সিলেবাসকে নতুন করে নির্মাণে হাত দিয়েছিলেন মাওলানা আবু তাহের মেছবাহ। এটি ছিলো গত শতকের একটি উল্লেখযোগ্য সংস্কার,ধর্মীয় শিক্ষাপ্রকল্প। সাথে সাথে দ্বিতীয় প্রধান ভাষা হিসেবে আরবীকে হাজির করেন। যেহেতু উচ্চতর ধর্মীয় জ্ঞানের জন্য আরবী ভাষার বিকল্প নেই,তাই বাংলার পাশাপাশি দ্বিতীয় প্রধান হিসেবেই আরবীকে গুরুত্ব দেন তিনি। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এর ফলাফল ও যুগোপযোগীতা টের পেয়ে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থায় এক ব্যপক পরিবর্তন শুরু হয়। সেই ধারাকে অনুসরণ করেই এবং সেইসব প্রয়োজন ও উপযোগিতার বিচার করেই, আন নুহা ইউনিক এডুকেশনের প্রতিষ্ঠা। ২০২০খ্রিস্টাব্দই হলো তার প্রতিষ্ঠাকাল। তবে প্রতিষ্ঠার পেছনে আছে সুদীর্ঘকালের স্বপ্ন, আকাঙ্খা, মেধা ও দুটি শিক্ষাব্যবস্থাকে সমন্বয় করে এক দুর্গম-দুঃসাধ্য পথকে সহজ করে তোলার অদম্য স্পৃহা। এরই মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যেন কওমি-সাধারণের যুগপৎ তৃতীয় আরেকটি ধারার সূচনা হলো। ফলে কওমি শিক্ষা সিলেবাসে সাধারণ শিক্ষার যে বিষয়গুলোর অভাব বোধ হচ্ছিলো বা সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় অপরিহার্য যে শিক্ষা-দীক্ষার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিলো, তার একটা সুরাহা ও সমাধান কল্পেই হাজির হয়েছে আন নুহা ইউনিক এডুকেশন।

মাদরাসার সিলেবাস হিসেবে মাদানী নেসাবের সিলেবাস, আর সাধারণ শিক্ষার সিলেবাস হিসেবে বৃটিশ ইংলিশ মিডিয়ামের সিলেবাস–এই দুই সিলেবাসের সমন্বিত রূপটিই হল আন নুহা ইউনিক এডুকেশনের সিলেবাস। এর জন্য শিক্ষাকাল ২/৩ বছর বর্ধিত হবে বটে তবে অর্জনের তুলনায় তা হবে খুব সীমিত মাত্র। ফলাফল যা হবে-

১-আরবী ও বাংলার মতই সাবলীল ও সরল হয়ে উঠবে প্রতিটি ছাত্রের ইংরেজী ভাষাও।
২-এই সিলেবাসে অনায়াসেই কোনো শিক্ষার্থী A লেভেল ও O লেভেলের পরীক্ষার্থী হতে পারবে।
৩-পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষার জন্যেও বিশেষ সিলেবাস প্রণীত হওয়ায়, সমসাময়িক জাগতিক জ্ঞানকে জীবিকামাধ্যমরূপে গ্রহণ করতে পারবে সবাই।

কম্পিউটার শিক্ষায় থাকবে, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ও আউট সোর্সিংএর নানান বিষয়।

ধর্মহীন কর্মশিক্ষা আর কর্মহীন ধর্মশিক্ষা, দুটোই জাতির জন্য অভিশাপ! এই ধ্রুব বাক্যটির সফল বাস্তবায়নের চিন্তায়ই আন নুহা এডুকেশনের এই ভিন্ন প্রয়াস। আল্লাহ তায়ালা যেন সফল শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে এই প্রয়াস ও প্রচেষ্টাকে কবুল করেন।

আন নুহা ফাইভ মিনিট মাদরাসা-
যে সমস্ত প্রজেক্ট ও পরিকল্পনা নিয়ে আন নুহা গঠিত, তারই একটি মৌলিক অংশ হলো আন নুহা ফাইভ মিনিট মাদরাসা। প্রধানত মাদরাসা শিক্ষতদের জন্য দ্বিতীয়ত সাধারণ শিক্ষিতদের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মাদরাসা হিসেবেই পরিচিত ও পরিচালিত হবে এটি। এর ওয়েব সাইটে থাকবে-

১. কওমি মাদরাসার (প্রথম শ্রেনী থেকে দাওরা পর্যন্ত) প্রায় সকল পাঠ্যপুস্তকের জটিল বিষয়গুলোর উপর ছোট ছোট ক্লাস-ভিডিও।
২. মাদরাসার যে কোনো জামাতে ভর্তির সহজায়নের লক্ষ্যে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়বস্তু,পরামর্শ ও তথ্য সম্বলিত ডকুমেন্টারি।
৩. বাংলাদেশের সকল মাদরাসার প্রয়োজনীয় তথ্যাদি।
৪. দেশে বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য।
৫.জেনারেলদের জন্য বিশেষ বিভাগ, যা থেকে অনায়াসেই তারা বিভিন্ন বিষয়ের ধর্মীয় সমাধানসহ নানান অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।
৬. সবিশেষে সবার জন্য থাকবে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও বেসিক কম্পিউটার শিক্ষার কোর্স।

আন নুহার বর্তমান কার্যক্রম-
ঘরবন্দি সময়ে সব কিছুর সাথে যখন স্কুল মাদরাসা ও বন্ধ তখনও নিয়মিত আপনবেগে ঘুরছে ঘড়ির কাটা। একদিন হয়ত সকল কিছু আগের মতই হয়ে উঠবে, তবু একটি সুদীর্ঘকালের শিক্ষাহীনতার দায় কি মানুষ এড়াতে পারবে? পারবে না। তাই আন নুহা বর্তমান সময়টিকে শিক্ষা দীক্ষায় স্বাভাবিকভবে বেগবান রাখতে মাদরসার সকল শ্রেনীর মৌলিক পাঠ্য বই-কিতাবগুলোর নিয়মিত ফ্রি অনলাইন ক্লাস চালু করেছে। এটি এসময়ের একটি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হিসেবেই বরিত হবে। ক্লাস গুলো করা যাবে (পেজের লিংক) এছাড়াও অনলাইনে ইতোপূর্বে যে সকল কাজ করেছে আন নুহা এডুকেশন তা নিম্নরূপ-

১. দেশের সর্বপ্রথম অনলাইন বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। আরবী,বাংলা ও ইংরেজীতে। প্রায় অর্ধশত প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে এতে।
২. ফ্রী ইংলিশ লাইভ কোর্স। এতে অংশগ্রহণ করেছে ২৫০০ এর উপরে শিক্ষার্থী।
৩.জেনারেল শিক্ষিতদের জন্য ফ্রী কোরান লার্নিং কোর্স।
৪. ফরযে আইন কোর্স। বিষয় ভিত্তিক।এটিও জেনারেল শিক্ষিতদের জন্য।
৫.সমসাময়িক ইস্যুতে দেশের বড় বড় আলেমদের লাইভ,ভিডিও।
৬. কুইজ প্রতিযোগিতা ও অন্যন্য।

পরিশেষে-
নিঃসন্দেহে আন নুহা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি নতুন ধারার সূচনাই করেছে। যদিও তার মৌলিক শিক্ষাটি মাদরাসার মাদানী নেসাবের আদলেই তবুও দুই শিক্ষাব্যবস্থার একটি সমন্বিত রূপ হওয়ায় সময়োপযোগীতার প্রশ্নে উত্তীর্ণ একটি শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবেই তা সবার কাছে গ্রহণীয় হবে। এই আশাবাদ ব্যক্ত করেই আগামীর দিকে চেয়ে আছি আমরা।

প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও
খন্দকার ফারাবী আহমাদ
আন নুহা ইউনিক এডুকেশন

ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত প্রায় ১৭ হাজার, মোট মৃত ১৫ হাজার ছুঁইছুঁই

0

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৯২২ জন। যা একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১০৫ জন। একইসময়ে ৪১৮ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৯৪ জন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকাল ৮ টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওই তথ্য জানিয়েছে। সরকারি সূত্রে প্রকাশ, দেশে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৭১ হাজার ৬৯৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছে।

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ৪২ হাজার ৯০০ জন আক্রান্ত ও ৬ হাজার ৭৩৯ জন মারা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ৩ হাজার ৮৯০ জন আক্রান্ত ও ২০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানী দিল্লিতে এ পর্যন্ত ৭০ হাজার ৩৯০ জন আক্রান্ত এবং ২ হাজার ৩৬৫ জন মারা গেছে। রাজ্যটিতে ধারাবাহিকভাবে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। করোনার প্রভাবে সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তৃতীয়স্থানে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭৩৫ জন মারা গেছে।

পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত ৫৯১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ১১ জন মারা গেছে। একইসময়ে ৪৪৫ টি নয়া সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ১৭৩। এরমধ্যে অবশ্য ৯ হাজার ৭০২ জন সুস্থ হয়েছে।

এছাড়া তামিলনাড়ুতে ৮৬৬, উত্তরপ্রদেশ ৫৯৬, মধ্যপ্রদেশ ৫৩৪, রাজস্থান ৩৭৫, তেলেঙ্গানা ২২৫, হরিয়ানা ১৮৮, কর্নাটক ১৬৪, অন্ধ্রপ্রদেশ ১২৪ এবং পঞ্জাবে ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এমপি এনামুল হক করোনায় আক্রান্ত

0

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

বুধবার (২৪ জুন) তার শরীরে এই ভাইরাস ধরা পড়ে। বর্তমানে ঢাকার বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েকদিন আগে সংসদ সচিবালয় থেকে এমপিদের করোনা পরীক্ষার জন্য বলা হয়। সে অনুযায়ী গত মঙ্গলবার এনামুল হক তার নমুনা দিয়েছিলেন। গতকাল বুধবার পরীক্ষার ফলাফলে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। নিজে থেকেই তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে আলাদা আছেন।

ভারতীয় হামলার বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তি দিয়ে জবাব দেবে পাকিস্তান: কোরেশি

0

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকুন; তা না হলে ভারতের সামরিক হামলার বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তি দিয়ে জবাব দেবে ইসলামাবাদ।

বুধবার (২৪ জুন) পাকিস্তানের বেসরকারি টেলিভিশন জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

কোরেশি বলেন, চীন সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘাতের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং ভারতের জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ভারত পাকিস্তানের উপরও হামলার ষড়যন্ত্র করছে।

কোরেশি আরও বলেন, চীনের হাতে মার খেয়ে এবং অপমানিত হয়ে নয়াদিল্লি এখন মিথ্যা অজুহাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর পথ খুঁজছে। তবে ভারত এ ধরনের হামলা চালালে তার উপযুক্ত জবাব পাবে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে চীন সীমান্তে সংঘাতে ভারতের অন্তত ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

সূত্র: পার্সটুডে

মাওলানা আব্দুশ শহীদ গলমুকাপনীর ইন্তেকালে ছাত্র জমিয়তের শোক

0

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং সিলেটের গলমুকাপন মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুশ শহীদ গলমুকাপনীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র জমিয়ত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এখলাছুর রহমান৷

শোকবার্তায় এখলাছুর রহমান বলেন, মাওলানা আব্দুশ শহীদ ইসলামের নিবেদিতপ্রাণ খাদেম ও লাখো মানুষের ধর্মীয় রাহবার ছিলেন৷ তিনি সুন্নতের পূর্ণ অনুসরণ করতেন৷

এখলাছুর রহমান আরও বলেন, মাওলানা গলমুকাপনী জমিয়তের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং আদর্শিক সংগ্রামে আপোসহীন ছিলেন। তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে সিলেটের দারুস সুন্নাহ গলমুকাপন জামিয়ার মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেছেন৷

উল্লেখ্য, মাওলানা গলমুকাপনী গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার ও হার্টের সমস্যাসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন। তিনি গতকাল সিলেট নগরীর রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি চার ছেলে, ছয় মেয়েসহ অসংখ্য ভক্ত, ছাত্র ও মুরিদ রেখে গেছেন।

মাওলানা আব্দুশ শহীদ গলমুকাপনীর ইন্তেকালে জমিয়তের গভীর শোক

0

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং সিলেটের গলমুকাপন মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুশ শহীদ গলমুকাপনীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) এক শোকবার্তায় মরহুমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা জিয়া উদ্দিন এবং মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মাওলানা গলমুকাপনী বাংলাদেশের একজন প্রবীন আলেমেদ্বীন ও দেশের অন্যতম রাহবার ছিলেন। যিনি দীর্ঘ দিন থেকে গলমুকাপন মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মাওলানা গলমুকাপনী বাংলাদেশের প্রাচীনতম ইসলামী সংগঠন জমিয়তের একজন অন্যতম মুরব্বী ছিলেন। তিনি জমিয়তের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণসহ সাংগঠনিক কার্যক্রমে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। উনার ইন্তেকালে জাতি একজন দ্বীনের একনিষ্ঠ খাদেমকে হারালো। জমিয়ত পরিবার সহ গোটা দেশবাসী উনার ইন্তেকালে গভীর শোকাহত।

শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দগণ শোক সন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী ও দেশ-বিদেশে অবস্থানরত হযরতের সকল ছাত্র-ভক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং মরহুমের মাগফেরাত কামনা করে দরজা বুলন্দির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করেন।

উল্লেখ্য, মাওলানা গলমুকাপনী গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার ও হার্টের সমস্যাসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন। তিনি গতকাল সিলেট নগরীর রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি চার ছেলে, ছয় মেয়েসহ অসংখ্য ভক্ত, ছাত্র ও মুরিদ রেখে গেছেন।

মাওলানা আব্দুশ শহীদ গলমুকাপনীর ইন্তেকাল

0

সিলেটের জামিয়া দারুস সুন্নাহ ওসমানীনগর মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুশ শহীদ গলমুকাপনী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের জানাজার নামাজ আজ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে উক্ত জামিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৪ জুন) সিলেট নগরীর রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।

জানা যায়, মাওলানা গলমুকাপনী গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার ও হার্টের সমস্যাসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি চার ছেলে, ছয় মেয়েসহ অসংখ্য ভক্ত, ছাত্র ও মুরিদ রেখে গেছেন।

এছাড়া মাওলানা আব্দুশ শহীদ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচনও করেছিলেন।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব না বাড়াতে ইসরাইলকে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

0

গোটা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় নেই বিশ্ববাসীর। সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে পৃথিবীর একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল। দখলকরে অবরুদ্ধ করে রাখা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও জর্ডান উপত্যাকায় ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ এই রাষ্ট্রটি দখলদারিত্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে।

তবে গতকাল বুধবার (২৪ জুন) জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদের ভার্চুয়াল সভায় ইসরাইলকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করার আহব্বান জানান। আর তারা যদি সেটা করে তাহলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হবে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। ফিলিস্তিনসহ আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে সমঝোতার বিষয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল সেটিও হুমকির মুখে পড়বে।

গুতেরেসের এমন প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন বিশ্বনেতা ও বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা একটি চরমমুহূর্ত পার করছি। এমন সময়ে ইসরাইল যদি পশ্চিম তীরে তাদের দখলদারিত্ব বৃদ্ধি করে, বসতি স্থাপন করে তাহলে সেটা হবে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। তাই আমি ইসরায়েলের সরকারকে বলব তাদের দখলদারিত্ব পরিকল্পনা বাদ দিতে।’

গেল মাসে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দলকখৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়াতে বেশ কিছু অবৈধ ও আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী পরিকল্পনা করেছে৷ আগামী কয়েক মাসে ওই অবৈধ পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নে নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বেনি গান্তাজের সঙ্গে যৌথ সরকার গঠনের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরও করেছে৷

সূত্র: আল-জাজিরা

অবহেলায় মৃত্যু; প্রতিবাদ করায় লাশসহ স্ত্রী-সন্তানদের আটকে রাখল ডাক্তার

0

কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলায় এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে ডাক্তারদের কাজে বাধা ও যন্ত্রপাতি নষ্ট করার অভিযোগে মারা যাওয়া ব্যক্তির মৃতদেহসহ তার ছেলে-মেয়েদের দুই ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

জানা গে‌ছে, বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে হার্টের সমস্যা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতা‌লে আসেন জেলার হোসেনপুর উপজেলার পুমদি নান্দানিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মুহাম্মাদ আব্দুর রশিদ( ৮০)। কিন্তু করোনা উপসর্গ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে রাজি হয়নি জরুরি বিভাগের ডাক্তার। পরে ভর্তি করলেও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ফেলে রাখা হয় বারান্দায়।

স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অবহেলায় বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তবে এতেও রেহাই মিলেনি। ডাক্তারের ওপর হামলার অভিযোগ এনে জরুরি বিভাগের বারান্দায় লাশসহ তার ছেলে-মেয়েদের আটকে রাখা হয়।

মৃ‌তের ছে‌লে আশুগঞ্জ বঙ্গবন্ধু কা‌রিগ‌রি ক‌লে‌জের শিক্ষক মহিউদ্দিন আহ‌মেদ ব‌লেন, তার বাবার ক‌রোনা নে‌গে‌টিভ। তি‌নি অনেক দিন ধ‌রে হা‌র্ট ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভূগ‌ছেন। তাকে হাসপাতা‌লে নি‌য়ে আস‌লে কোনো ডাক্তার বা নার্স তা‌কে চি‌কিৎসা দি‌তে রা‌জি হয়‌নি। আমরা বাইরের থে‌কে অক্সিজেন এনে দিয়েছি। কান্না করে অনুরোধ করার পরও তা‌দের মন গ‌লে‌নি।

তি‌নি ব‌লেন, বার বার মিন‌তি করার পরও ডাক্তার, নার্স না পে‌য়ে আমার বো‌নেরা ডাক্তার‌দের সাম‌নে ক্ষোভ জানায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হন। অব‌হেলায় বাবার মৃত্যুর পরও আমার মা, তিন বোন ও আমা‌কেসহ বাবার লাশ আট‌কে রাখে তারা। মামলার ভয় দেখায়। দুই ঘণ্টা পর আমা‌দের ছাড়া হয়।

ত‌বে হাসপাতাল কর্তপক্ষের অভিযোগ, মারা যাওয়া ব্যক্তির মেয়েরা ডাক্তারদের ওপর হামলা করেছে। তাই তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই ঘণ্টা পর জরুরি বিভাগের বারান্দা থেকে বের করা হয় মৃতদেহ।

জরুরি বিভাগের ডাক্তার রা‌কিব দা‌বি ক‌রেন, মারা যাওয়া ব্যক্তির তিন মে‌য়ে আমা‌দের ডাক্তার‌দের ওপর হামলা ক‌রে‌ছে। পি‌পিই ছিঁড়ে ফে‌লে‌ছে। তা‌দের আটক ক‌রে পু‌লি‌শে খবর দেয়া হয়। এ সময় খোঁজ নি‌তে গে‌লে সাংবা‌দিক‌দের দি‌কে মারমুখী আচরণ ক‌রেন ওই ডাক্তার।

প‌রে কি‌শোরগঞ্জ ম‌ডেল থানা পু‌লি‌শের প‌রিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মাদ মিজানুর রহমা‌নের নেতৃ‌ত্বে পু‌লিশ সেখা‌নে গে‌লে বি‌কেল ৫টার দি‌কে মৃত ব্যক্তিকে নি‌য়ে হাসপাতাল ছা‌ড়েন স্বজনরা।

এমপি পাপুলকে ২১দিন কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার নির্দেশ

0

মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলকে ২১দিন কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের আদালাত।

কুয়েতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আরব টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, পাবলিক প্রসিকিউটর বাকী আসামির কারাদণ্ড অব্যাহত রাখার ও একটি সংস্থার মালিককে ২ হাজার দিনার অর্থ দণ্ডে জামিনে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তার কোম্পানির বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৪০ কোটি টাকা জব্দ করা হচ্ছে। এই টাকা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখার অনুরোধ করেছে পাবলিক প্রসিকিউটর।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ওই অর্থ জমা রাখতে আবেদন করেছে। যাতে পাপুল বা তার নমিনি যাতে ওই টাকা তুলতে না পারে কিংবা অন্য কোথাও পাচার করতে না পারে। এ ছাড়া সরকারের কৌঁসুলিরা মনে করছেন, পরবর্তী সময় এটি মামলার প্রমাণ হিসেবে তাদের জন্য জরুরি।

এদিকে কুয়েত সরকারের তিন কর্মকর্তা পাপুল মামলায় সরকারি কৌঁসুলির কাছে বক্তব্য দিয়েছে। এদের মধ্যে দুজন ম্যানপাওয়ার কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা এবং একজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।

এখন পর্যন্ত তদন্তে পাওয়া গেছে, পাপুল প্রতি বছর ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকা লাভ করতেন।

গত ৬ জুন মানবপাচার, ভিসা বাণিজ্য ও অর্থপাচার সংক্রান্ত অপরাধে পাপুলকে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করলে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।