Home Blog Page 4561

আসুন! আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি!

0

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, পরিস্থিতির অবনতি না ঘটিয়ে আসুন আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।

আজ বুধবার (১০ জুন) নিজের সরকারি বাসভবন থেকে মেট্রোরেল কার্যালয়ে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এ আহবান জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অসচেতনতার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বেশি করে শুরু হলে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে। করোনা সংক্রমণের ক্রম অবনতিশীল এই পরিস্থিতিতে নতুন করে যে সব স্থানে লকডাউন করা হয়েছে, সেই সব এলাকার মানুষদের ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত আপনার আমার, আমাদের সবার কল্যাণেই নেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ ছাড়াও বিজ্ঞদের পরামর্শ, গবেষণা ও পার্টির ইশতেহারের সঙ্গে সমন্বয় করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজেট বাজেট প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই শুরু হলো জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন

0

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই শুরু হলো জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন।

আজ বুধবার (১০ জুন) বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সংসদে উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে জনজীবন বিপন্ন। এ পরিস্থিতি সত্ত্বেও বাধ্যতামূলক সংসদের বাজেট অনুষ্ঠিত যাচ্ছে।

প্রতি বছর জুনে আগামী নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয় এবং সংসদ সদস্যদের আলোচনায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ৩০ জুন জাতীয় বাজেট পাস হয়। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এবং ব্যতিক্রম বেশকিছু বিধিনিষেধ অনুসরণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বাজেট। এ অধিবেশনে সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

অধিবেশনের শুরুতে জাতীয় সংসদ সদস্যসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বরেণ্য ব্যক্তির মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর পর হাবিবুর রহমান মোল্লার শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু হয়।

মানুষদেরকে ধৈর্যের সঙ্গে লকডাউন পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি: ওবায়দুল কাদের

0

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষের জীবন-জীবিকাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গণমুখী বাজেট উত্থাপিত হবে।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের ক্রম অবনতিশীল এই পরিস্থিতিতে নতুন করে যে সব স্থানে লকডাউন করা হয়েছে, সেই সব এলাকার মানুষদের ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত আপনার আমার, আমাদের সবার কল্যাণেই নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (১০ জুন) নিজের সরকারি বাসভবন থেকে মেট্রোরেল কার্যালয়ে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি একথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অসচেতনতার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বেশি করে শুরু হলে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গণমুখী ও কল্যাণমুখী বাজেট জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার উত্থাপিত হবে। করোনা ভাইরাসের সংকটে প্রধানমন্ত্রী যেমন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, ঠিক তেমনি বাজেট প্রণয়নের আগে দীর্ঘ সময় নিয়ে অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ নিয়েছেন।

করোনা শেষ হতে আরও অনেক বাকি, এটি এইডস ইবোলাকে ছাপিয়ে গেছে: ফাউসি

0

শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি সতর্ক করে দিয়ে বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাস শেষ হতে আরও অনেক বাকি আছে।

এসময় কোভিড-১৯ রোগকে তিনি সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, গত চার মাস সময়ে এই ভাইরাসটি পুরো বিশ্বে বিপর্যয় নিয়ে এসেছে।

জৈবপ্রযুক্তি উদ্ভাবন সংস্থার একটি সম্মেলনে নির্বাহীদের সামনে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফাউসি বলেন, রোগটি এখনো শেষ হয়ে যায়নি।

তিনি আরও বলেন, লাখ লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর এটা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। খুব খুবই অল্প সময়ের মধ্যে রোগটি ঘনীভূত হয়েছে।

তার মতে, ইবোলা ভীতিজনক ছিল, তবে রোগটি সহজে সংক্রামিত হতে পারে না। ইবোলার প্রাদুর্ভাব সবসময় একেবারেই স্থানীয় হয়।

এইচআইভিকে গুরুত্ব দিয়েও ফাউসি জানান, অনেকেই এইডসকে হুমকি মনে করে না। কারণ এটা নির্ভর করে ‘আপনি কে, আপনি কোথায় আছেন এবং আপনি কোথায় থাকেন’ -এ বিষয়গুলোর ওপর। কিন্তু করোনা পুরো গ্রহকে ছাপিয়ে গেছে।

বিশ্ব এখন পর্যন্ত ৭০ লাখের মতো মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ।

যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে।

‘উপসর্গহীন সংক্রমণ বিরল’ বক্তব্য থেকে পিছু হটলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

0

উপসর্গহীন ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায় কি না তা নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)।

মডেল গবেষণার ধারণার কথা উল্লেখ করে উপসর্গহীন আক্রান্তদের কাছ থেকে ৪০ শতাংশ সংক্রমণ ছড়ানোর কথা স্বীকার করেছেন ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরখভ।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে মারিয়া ভন কেরখভ তার আগের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএন।

এর আগে গত সোমবার মারিয়া ভন কেরখভ বলেছিলেন, যারা করোনা পজিটিভ কিন্তু উপসর্গ নেই এ ধরনের অ্যাসিম্পটমেটিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায় না। আর যদি ছড়ায় তবে তা বিরল ঘটনা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপসর্গহীন রোগীদের থেকে করোনা ছড়াতেই পারে, তবে সেটা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মুখ্য কারণ নয়। মূলত উপসর্গযুক্ত রোগীদের থেকেই ভাইরাস ছড়াচ্ছে বেশি।

মঙ্গলবার ভন কেরকোভ বলেছেন, ‘অধিকাংশ সংক্রমণের ক্ষেত্রে আমরা জানি যে লক্ষণযুক্ত মানুষের কাছ থেকে ছড়াচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেও উপসর্গহীন আক্রান্তদের মাধ্যমে ছড়ানোর বিষয়টিও রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কতজন মানুষের লক্ষণ নেই তা অনুধাবন করতে আমাদের কাছে এখনো সঠিক জবাব নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি যে কিছু মানুষ উপসর্গহীন বা কিছু মানুষের লক্ষণ না থাকলেও তারা ভাইরাস ছড়াতে পারেন। ফলে জনসংখ্যার মধ্যে কতজন মানুষের উপসর্গ নেই এবং এদের কতজন দ্বারা অপর মানুষ আক্রান্ত হয়েছে তা পৃথকভাবে আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে।’

প্রশ্নোত্তর পর্বে কেরকোভ জানান, মডেল গবেষণার ধারণা উপসর্গহীন সংক্রমণ প্রায় ৪০ শতাংশ।

অবশেষে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিল চীন-ভারত

0

লাদাখের বেশ কিছু এলাকা থেকে সমঝোতার মাধ্যমে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিয়েছে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্যাংগং সো লেক এলাকা ছাড়া চীনা সেনাবাহিনী দুই থেকে তিন কিলোমিটার সরে গিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতও তাদের কিছু সংখ্যক সেনা ও যানবাহন ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে।

সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে আলোচনা হতে চলেছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর। পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ (গালোয়াঁ), পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আলোচনা হতে পারে।

চীনের সেনাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ইতোমধ্যেই চুসুলে পৌঁছেছে ভারতীয় সেনা প্রতিনিধি দল।

গত ৫ ও ৬ মে প্যাংগং লেক এলাকায় দুই দেশের সেনা জওয়ানদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের পরেই সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ায়।

দেশে একদিনে রেকর্ড ৩১৯০ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ৩৭

0

দেশে ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড ৩১৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪৮৬৫ জনে।

বুধবার (১০ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬৩ জন। মোট করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৯ জন।

এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১০১২ জনের।

আজ ইসলামী রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদের ১০২তম জন্মদিন

0

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি ফররুখ আহমদের ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ। তাঁকে ইসলামী রেনেসাঁর কবি বলা হয়। তিনি ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার মাঝআইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফখরুখ আহমদ। খানসাহেব সৈয়দ হাতেম আলী ও রওশন আখতারের দ্বিতীয় পুত্র তিনি।

ফররুখ আহমদ ১৯৩৭ সালে খুলনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। তারপর কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ১৯৩৯ সনে আই এ পাস করে তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজে দর্শন ও ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স নিয়ে বি.এ ক্লাশে ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষা না দিয়েই কর্মজীবনে প্রবেশ করেন।

ফররুখ আহমদ প্রথমে কলকাতার আই জি প্রিজন অফিস এবং সিভিল সাপ্লাই অফিসে কয়েক বছর চাকরি করেন। ১৯৪৫ সাল থেকে তিনি মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং ভারত বিভাগের পর ঢাকায় এসে রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্রে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেন। এখানে তিনি ছোটদের খেলাঘর অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করতেন।

ফররুখ আহমদ ছাত্রাবস্থায়ই এম.এন রায়ের র‌্যাডিক্যাল মানবতাবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বামপন্থী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু বিভাগোত্তরকালে তিনি পাকিস্তানী আদর্শ ও মুসলিম রেনেসাঁর সমর্থক হন। তবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও আদর্শের প্রতি অবিচল থাকলেও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রতি তাঁর অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। তিনি তখন ধর্মীয় কুসংস্কার ও পাকিস্তানের অপরিনামদর্শী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কঠোর হাতে লেখনী পরিচালনা করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিও তাঁর অনুরূপ সমর্থন ছিল। তিনি ধর্মকে কখনো রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পক্ষপাতী ছিলেন না।

বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশকে কাব্যক্ষেত্রে ফররুখ আহমদের আগমন ঘটে। ১৯৪৪ সনে ২৬ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশিত হয়। কিশোর বয়স থেকেই তিনি কাব্য-চর্চা শুরু করেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। এবং একজন নবীন কবি হিসেবে তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। ঐ সময় থেকেই পত্র-পত্রিকায় তাঁর ওপর লেখালেখি শুরু হয় এমনকি কলকাতা রেডিওতে তাঁর ওপর আলোচনা সম্প্রসারিত হয়। স্বল্পকালের মধ্যেই তিনি একজন অসাধারণ প্রতিভাবান কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। ১৯৪৩ সালে বাংলাদেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ফররুখ আহমদ দুর্ভিক্ষের মর্মন্তুদ দৃশ্য নিয়ে অসংখ্য কবিতা রচনা করেন। ঐ সময়ে লেখা তাঁর প্রায় ১৯টি কবিতায় দুর্ভিক্ষের চিত্র ফুটে ওঠেছে। ১৯৪৪ সালে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ‘আকাল’ নামে যে সংকলন গ্রন্থ প্রকাশ করেন, তাতে ফররুখ আহমদের ‘লাশ’ কবিতাটি স্থান পায়। দুর্ভিক্ষ নিয়ে যারা ঐ সময় কবিতা লিখেছেন তাঁদের মধ্যে ফররুখ আহমদের কবিতা ছিল অনেকটা ভিন্ন ধরনের, স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যম-িত ও গভীর আবেদন সৃষ্টিকারী। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলোর মধ্যে ‘লাশ’ কবিতাটি অন্যতম।

চল্লিশের দশকে ইংরেজ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন অর্থাৎ পাকিস্তান আন্দোনের প্রবলতর হয়। এ সময় স্বাধীনতার সপক্ষে গণজাগরণমূলক কবিতা লিখে ফররুখ আহমদ বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন মুসলিম পুনর্জাগরণে বিশ্বাসী। ইসলামী আদর্শ ও আরব ইরানের ঐতিহ্য তাঁর কবিতায় উজ্জ্বলভাবে ফুটে ওঠেছে। তাই মুসলিম জাগরণের কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলাম যে অসাধারণ খ্যাতি অর্জন করেন, তেমনি মুসলিম রেনেসাঁর কবি হিসেবে ফররুখ আহমেদকেও আখ্যায়িত করা যায়।

‘সাত সাগরের মাঝি’ ফররুখ আহমদের প্রথম এবং সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। মূলত: এ গ্রন্থে ফররুখ আহমদের স্বাধীনতা-প্রীতি ও মানবতাবোধের সুস্পষ্ট বিকাশ ঘটেছে।

ফররুখ আহমদ ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ঘটনার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফররুখ আহমদ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রের শিল্পীদের ধর্মঘটে যোগদানে সংগঠিত ও উৎসাহিত করেন। বায়ান্নর পর রেডিওতে কর্মরত শিল্পী-আলতাফ মাহমুদ, আব্দুল আহাদ, আব্দুল হালিম চৌধুরীর সঙ্গে কবি ফররুখ শিল্পী-ধর্মঘটে যোগ দেন। তিনি তদানীন্তন পাকিস্তানী শাসকদের ব্যঙ্গ করে ‘রাজ-রাজরা’ নামে একটি নাটক লেখেন যা ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ে অভিনীত হয়। প্রখ্যাত নাট্যকার মুনীর চৌধুরী তাতে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে বেনজীর আহমদ ও আবু জাফর শামসুদ্দীন সম্পাদিত ‘নয়াসড়ক’ সংকলনে প্রকাশিত হয়। গীতি কবিতা, মহাকাব্য, সনেট, গল্প, উপন্যাস, নাটক, সঙ্গীত, প্রবন্ধ, বেতার কথিকা, গীতি-নকশা প্রভৃতি সৃষ্টিশীল রচনায় তিনি নৈপূণ্য প্রদর্শন করেন। কবিতা রচনায় তিনি অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন।

ফররুখের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫। যথাঃ ১। সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪) ২। আজাদ কর পাকিস্তান (১৯৪৬), ৩। সিরাজম মুনীরা (১৯৫২), ৪। নৌফেল ও হাতেম (১৯৬১), ৫। মুহূর্তের কবিতা (১৯৬৩), ৬। হাতেম তা’য়ী (১৯৬৬) ৭। হে বন্য স্বপ্নেরা (১৯৭৬), ৮। ইকবালের নির্বাচিত কবিতা (১৯৮০), ৯। কাফেলা (১৯৮০), ১০। হাবেদা মরুর কাহিনী (১৯৮১), ১১। তসবির নামা (১৯৮৬), ১২। দিলরুবা (১৯৯৪), ১৩। ঐতিহাসিক অনৈতিকহাসিক কাব্য (১৯৯৪), ১৪। অনুস্বার, ১৫। ধোলাই কাব্য।

বাংলা সাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ’ মহাকাব্যের পর অত্যন্ত সফল মহাকাব্য ফররুখ আহমদের ‘হাতেম তা’য়ী। কাব্য নাটক রচনার ক্ষেত্রে মুসিলম কবিদের মধ্যে তিনিই পথিকৃৎ। তার ‘নৌফেল ও হাতেম’ একটি সফল কাব্য নাটক। এটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘আয়ূস্মতীর’ চেয়ে অনেক উন্নতমানের রচনা। সনেট রচনায় ফররুখ আহমদ সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছেন। সম্ভবত, বাংলা সাহিত্যে মাইকেলের পর সংখ্যায় এত বেশি সনেট হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে আজ পর্যন্ত আর কেউ রচনা করতে পারেননি। ফররুখের পূর্ণাঙ্গ সনেট গ্রন্থের মধ্যে ‘মুহূর্তের কবিতা’, ‘দিলরুবা’, ও ‘অনুস্বার’ প্রধান। মুহূর্তের কবিতায় ৯৪টি, দিলরুবায় ৪৯টি, অনুস্বারে ৮৫টি, সিরাজম মুনিরায় ১০টি, সাত সাগরের মাঝিতে ৭টি, আজাদ করো পাকিস্তানে ১টি এবং হাতেমতা’য়ীতে বেশ কিছু সনেট রয়েছে। তার সমগ্র রচনা প্রকাশিত হলে হয়ত সমগ্র সনেট সংখ্যার হিসাব পাওয়া যাবে। ‘রাত্রি’ নামে একটি সনেট রচনার মধ্যদিয়ে ফররুখ আহমদের কাব্য জীবনের সূত্রপাত হয়েছিল এবং ‘১৯৭৪-এ একটি আলেখ্য’ এই সনেটটি রচনার মধ্যদিয়ে তার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল।

ব্যঙ্গ কবিতা রচনার ক্ষেত্রে ফররুখ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেন। প্রায় পনেরটি ছদ্মনামে এসব ব্যঙ্গ কবিতা রচিত হয়েছে। স্বনামেও তিনি প্রচুর ব্যঙ্গ কবিতা লিখেছেন। তাঁর ব্যঙ্গ কবিতা গ্রন্থের মধ্যে ১। অনুস্বার (ব্যঙ্গ সনেট), ২। ঐতিহাসিক অনৈতিহাসিক কাব্য ৩। তসবির নামা ৪। ধোলাই কাব্য প্রভৃতি প্রধান।

‘হাবেদা মরুর কাহিনী’ ফররুখের গদ্য কবিতা গ্রন্থ। গদ্য কবিতা রচনায়ও তিনি যে সিদ্ধহস্ত ছিলেন এটা তার স্বাক্ষর বহন করে।

ফররুখ আহমদ শিশু-কিশোরদের জন্য প্রচুর ছড়া ও কবিতা রচনা করেন। এসব ছড়া কবিতা অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর শিশুছড়া গ্রন্থের সংখ্যা ১৫। এর মধ্যে অল্পসংখ্যক ছড়া গ্রন্থ কেবল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত শিশুকিশোর রচনা গ্রন্থের নাম : পাখীর বাসা (১৯৬৫), হরফের ছড়া (১৯৬৮), নতুন লেখা (১৯৬৯), ছড়ার আসর (১৯৭৯), চিড়িয়াখানা (১৯৮০), কিস্্সা কাহিনী (১৯৮৪), মাহফিল ১ম ও ২য় খ- (১৯৮৪), ফুলের জলসা (১৯৮৫)।

এছাড়া ফররুখ আহমদ নয়া জামাত (১ম ভাগ, ২য় ভাগ, ৩য় ভাগ, ৪র্থ ভাগ) নামে ৪টি পাঠ্য পুস্তক রচনা করেন যা ১৯৫০ সালে প্রকাশিত হয়। ফররুখ আহমদ মূলত কবি। তবু তিনি বেশ কিছু স্বার্থক গল্প লিখেছেন। এর মধ্যে ‘প্রচ্ছন্ন নায়িকা’, ‘মৃত বসুধা’ বিবর্ণ’ প্রভৃতি বিখ্যাত গল্প। ফররুখের গল্পসমূহ ‘ফররুখ আহমদের গল্প’ নামে আব্দুল মান্নান সৈয়দের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে। সিকান্দার শা’র ঘোড়া নামে একটি উপন্যাস রচনায়ও তিনি হাত দিয়েছিলেন কিন্তু শেষ করে যেতে পারেননি।

ফররুখ আহমদ ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বেশকিছু প্রবন্ধও রচনা করেন। ভাষা বিষয়ক কিছু কবিতাও তিনি রচনা করেন যা রেডিওতে নিয়মিতভাবে প্রচার হতো। কবিতা রচনার পাশাপাশি ফররুখ আহমদ অসংখ্য হামদ, নাত, দেশাত্মবোধক সংগীত, প্রেম ও ভক্তিমূলক গান এবং আধুনিক বাংলা সংগীত রচনা করেন। মানের দিক থেকে এ গানগুলো প্রশংসনীয় ও জনপ্রিয় ছিল। এক সময় বেতার ও টিভিতে খ্যাতনামা শিল্পীদের কণ্ঠে এগুলো নিয়মিত প্রচার হতো।

সাহিত্যকর্মের জন্য ফররুখ আহমদ ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার প্রাইড অব পারফরমেন্স, ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার এবং একই বছরে ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।

ভাষা আন্দোলনে ফররুখ আহমদের অবদানের যথার্থ স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। উপরন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ঢাকা বেতারের চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং সরকারি বাসা ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অবশ্য বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিবাদ করার ফলে শেষ পর্যন্ত তাকে বাসা ছাড়তে হয়নি।

ইস্কাটন গার্ডেনের সে সরকারি বাসাতেই নানা দুঃখকষ্ট, অনাহারে অর্ধাহারে এবং বিনা চিকিৎসায় কবি অবশেষে মৃত্যুবরণ করেন (১৯ অক্টোবর, ১৯৭৪)।

ফররুখ আহমদের মৃত্যুর পর ১৯৭৭ সনে মরণোত্তর একুশে পদক দিয়ে ভাষা আন্দোলনে তার কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। ১৯৮০ সালে তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়।

অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করেছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন নিউ স্টার সোসাইটি ক্লাব

0

ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম | মাহবুবুুল মান্নান


মাদক, সন্ত্রাস, নিরক্ষর, অপসংস্কৃতি ও দারিদ্র মুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যায়ে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ডলুকুলের ঐতিহ্যবাহী অরাজনৈতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন নিউ স্টার সোসাইটি ক্লাব।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইউনুছ আল হাবিব ইনসাফকে জানিয়েছেন, নিউ স্টার সোসাইটি ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে সমাজ উন্নয়ন মূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনুছ আল হাবিব, সভাপতি মুহাম্মদ মুদ্দাচ্ছিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এমরান এক শুভেচ্ছা বার্তায় সাধারণ/আজীবন সদস্যবৃন্দ, প্রবাসী, দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও উপদেষ্টা মণ্ডলীসহ চট্টগ্রামবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

উল্লেখ, ২০১২ সালের ৫ জুন সাতকানিয়া ডলুকুলে খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিলসসহ দুইশত পরিবারকে মিষ্টি বিতরণের মধ্যদিয়ে নিউ স্টার সোসাইটি ক্লাব নামক এই সংগঠনের যাত্রা হয়।

আল্লামা আহমাদ শফীর সুস্থতা কামনা করে খেলাফত আন্দোলনের দোয়া

0

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমাদ শফীর সুস্থতা ও নেক হায়াত কামনা করে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।

আজ বিকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে নুরিয়া মাদরাসায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা সালাহউদ্দিন জয়নাল, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা ইসমাঈল, মাওলানা তাসলীম হাসান ও মাস্টার মোঃ শরীফ প্রমুখ।

এসময় আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, আল্লামা আহমাদ শফীর অস্তিত্ব আমাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলার বড় নেয়ামত। দেশের ক্রান্তিকালে তার বলিষ্ট নেতৃত্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণার উৎস। আমরা তাঁর সুস্থতা ও নেক হায়াত কামনা করি।