Home Blog Page 4568

‘অশালীন কনটেন্টের’ কারণে টিকটক নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে পাকিস্তান

0

আমেরিকা চীনের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধের হুমকি দিয়েছে এবং ভারত এরই মধ্যে এটা নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এবার চীনের সবসময়ের বন্ধু পাকিস্তানও সম্ভবত এটা নিষিদ্ধ করতে পারে। তবে, ডাটা গোপনীয়তা লঙ্ঘনের কারণে নয়, বরং ‘অনৈতিক বিষয়বস্তুর’ কারণে তারা এটা নিষিদ্ধের কথা ভাবছে।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী শিবলি ফারাজ সম্প্রতি মিডিয়াকে বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মনে করেন সোশাল মিডিয়া অ্যাপ, বিশেষ করে টিকটক নিষিদ্ধ করা উচিত, কারণ এর কারণে সামাজিক মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে।

সরকারের রেগুলেটর প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশান অথরিটি জানিয়েছে, তারা টিকটকের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং পাকিস্তানে ভেতরে যাতে ‘অশালিন, অনৈতিক ও নোংরা বিষয়বস্তু’ এই অ্যাপ প্রদর্শন না করে, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছে। তাদেরকে এটাও জানানো হয়েছে যে, পদক্ষেপ নেয়া না হলে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে।

‘অনৈতিক’ বিষয়বস্তুর বিষয়ে ২১ জুলাই টিকটককে চুড়ান্ত সতর্কবার্তা দিয়েছে পিটিএ। একই কারণে সিঙ্গাপুরের একটি অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় অ্যাপ বিগো লাইভকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

১৫ থেকে ৬০ সেকেন্ডের স্বল্পদৈর্ঘ ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ হিসেবে টিকটক সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানে হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুকের পরেই তৃতীয় সর্বোচ্চ ডাউনলোডকৃত অ্যাপ এটি। এ বছরে ৪.৬ মিলিয়ন ডাউনলোড হয়েছে সেখানে। বাজার জরিপ কোম্পানি সেন্সর টাওয়ার এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে মূলত অশোভন নোংরা বিষয়বস্তু নিয়ে ৫ শতাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর চাপের মধ্যে আছে পিটিএ। জুলাই মাসে পাঞ্জাবের আঞ্চলিক আইনপ্রণেতারা সারাদেশে টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য আইন প্রস্তাব করেছিল। কিছু নাগরিক প্রাদেশিক আদালতকেও একই কাজ করতে বলেছে।

পিটিএ’র এক কর্মকর্তা নিক্কি এশিয়াকে বলেন, “টিকটক নিষিদ্ধের ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করেনি পিটিএ এবং টিকটক এরই মধ্যে পাকিস্তানে ৯৩,০০০ একাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে”।

সুত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর ও নিক্কি এশিয়ান রিভিউ

ইসলাম নারীদের সমান অধিকার নয়,অগ্রাধিকার দিয়েছে: মুফতী ফয়জুল করীম

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম বলেছেন, নারী ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন যেকোন সময়ের চেয়ে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মা-বোনদের ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। ইসলাম নারীদের সমান অধিকার নয়, বরং অগ্রাধিকার দিয়েছে। এখন নারীদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হলে কুরআনে বর্ণিত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ তার প্রমাণ। ছাত্রলীগ প্রমাণ করলো তাদের হাতে নারী জাতিও আজ নিরাপদ নয়। একদিকে নারী ধর্ষণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি অপরদিকে দুর্নীতির রেকর্ড দেশবাসীকে চরম শঙ্কিত করে তুলেছে।

ওই আলাপচারিতায় দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

হাটহাজারীতে আল্লামা শফী রহ.-কে নিয়ে ওলামা পরিষদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

0

হাটহাজারী ওলামা পরিষদের উদ্যোগে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী রহ. এর জীবন, কর্ম ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক ও শাইখুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, মহান আল্লাহ যুগে যুগে তাঁর প্রিয় বান্দাদের মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানদের ব্যাপক খেদমত আঞ্জাম দিয়ে থাকেন। আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বাংলাদেশে ভ্রান্ত মতবাদ ও অনৈসলামিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে গেছেন। ২০১৩ সালে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদের আগ্রাসী আস্ফালনের বিরুদ্ধে এদেশের আলেমসমাজ ও তাওহিদী জনতাকে নিয়ে ইতিহাসের নজিরবিহীন গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। যা ছিলো এক মহাজাগরণ। আমার শায়েখ ও সবার মুরুব্বী আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর ইন্তেকালে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তবে অচিরেই হুজুরের রেখে যাওয়া কর্মসূচীকে সামনে রেখে হেফাজত ও কওমী মাদরাসা সমূহকে আমরা সকলে এগিয়ে নিয়ে যাব ইন-শাআল্লাহ। এজন্য আপনাদের সকলকে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ইলমে হাদীস ও মাদরাসা শিক্ষার প্রচার-প্রসারে ব্রত থাকার পাশাপাশি ইসলাহী বয়ান, তাসাওফ এবং সুলুকের লাইনেও আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি বহু খেদমত করে গেছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন এদেশের আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতার জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে। আল্লাহ তা’আলা হযরতের ত্র“টি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করুন, আখিরাতের দারজাত বুলন্দ করে দিন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চ মাকাম নসীব করুন। আমীন।

ওলামা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ শফির সভাপতিত্বে ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান,ওলামা পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনীর, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস, যুগ্ম সম্পাদক মাও. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মেহেদীর যৌথ সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা শেখ আহমদ, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা মোঃ ইয়াহইয়া, পটিয়া মাদরাসার মঈনে মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের নদভী, নাজিরহাট বড় মাদরাসার পরিচালক আল্লামা মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী, চারিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল্লাহ হারুন, মেখল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতী মুহাম্মাদ আলী কাসেমী, বাথুয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা জাফর আহমদ।

বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসাইন, শায়েখ মুফতী হারুন ইজহার, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খোবাইব, মাওলানা আবু তৈয়ব আব্দুল্লাহপুরী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী, মাওলানা জাহেদুল্লাহ, মুফতী সিরাজুল্লাহ, মাওলানা ফরিদ দারুল মাআরিফ, হাফেজ তৈয়ব, মাওলানা ইব্রাহীম, মাওলানা নছিম, মাওলানা মুস্তফা, মাওলানা শিহাব উদ্দীন, মাওলানা মাহমুদ শাহ্, মুফতী হোসাইন, মাওলানা ক্বারী ফজলুল করিম ও মাওলানা জামাল উদ্দীন।

এছাড়াও এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন, মাওলানা আনোয়ার শাহ্ আযহারী, মাওলানা মোঃ শফিউল আলম, মাওলানা নজরুল ইসলাম চাঁদগাজী ও মাওলানা কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘাত নিয়ে আলোচনা করল তুরস্ক ও রাশিয়া

0

রাশিয়া জানিয়েছে, নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে বর্তমানে যে সংঘাত চলছে তা নিয়ে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আলোচনা করেছেন। দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে দু দেশ একমত হয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুর মধ্যে টেলিফোনে এ নিয়ে আলোচনা হয়। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে কারাবাখ অঞ্চলের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য রাশিয়া ও তুরস্ক ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু সেখানে বসবাসরত জনগণের বেশিরভাগই জাতিগতভাবে আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত। ১৯৯২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে হামলা চালিয়ে সেখান থেকে আজেরি জনগণকে উচ্ছেদ করে। সেই থেকে অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার দখলে রয়েছে।

সূত্র: পার্সটুডে

সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে নওয়াজ শরিফকে সাহায্য করছে ভারত: ইমরান খান

0

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, তার দেশের সামরিক বাহিনীতে দুর্বল করার ক্ষেত্রে বিরোধী নেতা নওয়াজ শরিফকে সাহায্য করছে প্রতিবেশী ভারত। ইমরান বলেন, নওয়াজ শরীফ খুবই বিপজ্জনক খেলায় মেতেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সামা টেলিভিশনের সাংবাদিক নাদিম মালিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তার সরকারের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা সম্পর্ক কারণ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যার যার অঙ্গনে থেকে কাজ করছে।

ইমরান খান বলেন, মুত্তাহিদা কওমী মুভমেন্টের প্রধান আলতাফ হোসেন যে খেলা খেলেছিলেন নওয়াজ শরীফ সেই একই খেলা শুরু করেছেন। সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, তিনি ১০০ ভাগ নিশ্চিত যে, নওয়াজ শরীফকে সাহায্য করছে ভারত।

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন- লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ইয়েমেন- মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি দেশ জ্বলছে। এর মধ্যেও আমরা কেন নিরাপদ? যদি আমাদের সামরিক বাহিনী না থাকতো তাহলে আমাদের দেশকে তিন টুকরা করা হতো। ভারতের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো পাকিস্তানকে ভাঙতে চায়।”

ইমরান খান বলেন, “মুসলিম লীগ নেতা নওয়াজ শরীফ সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করে মারাত্মক রকমের গোলমাল সৃষ্টি করেছেন। তিনি পরবর্তী আলতাফ হোসেন হতে যাচ্ছেন এবং আমি নিশ্চিত যে, তার এই কর্মকাণ্ডের পেছনে ভারতের সমর্থন রয়েছে।”

ইমরান খান আরো বলেন, তিনি পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যিনি পাঁচটি আসন থেকে একসাথে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তিনি নওয়াজ শরীফ কিংবা জুলফিকার আলী ভুট্টোর মতো সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাজনীতিতে আসেননি। পার্সটুডে

‘আল্লামা শফীর নেতৃত্বে আন্দোলনের কারণে শাহবাগ থেকে নাস্তিকরা লেজগুটাতে বাধ্য হয়েছিলো’

0

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ঐক্যের শক্তি দিয়ে সকল অপশক্তির মোকাবেলা করতে হবে। আল্লামা শাহ আহমদ শফির আহ্বানে ২০১৩ সালে দেশের তাওহীদবাদী জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। সে সময়ে শাহবাগের নাস্তিক-মুরতাদদের আস্ফালনের বিরুদ্ধে আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.- এর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বলিষ্ঠ আন্দোলনের কারণে শাহবাগ থেকে নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগাররা লেজগুটাতে বাধ্য হয়েছিলো। আল্লামা শফির নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ২০১৩ সালের হেফাজতের আন্দোলন ইতিহাস হয়ে থাকবে। হেফাজতের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কারণে ইসলামবিদ্বেষী শক্তি কার্যত পরাভূত হয়েছিলো। আমরা মরহুম আল্লামা শাহ আহমদ শফির জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম কামনা করছি।

শুক্রবার (২ আক্টোবর) সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ. স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দুআ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দুআ মাহফিলে আলোচনা করেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা মুহাম্মদ ইসা শাহেদী, খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ শফিক উদ্দিন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী,

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, দেওভোগ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, ইসলামী ্ধসঢ়;ঐক্যজোটের ভাইস-চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, ডাঃ রিফাত হোসেন মালিক, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ মনির হোসাইন, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি হাজী নূর হোসেন, হাফেজ মাওলানা জিন্নাত আলী, মুফতি সাইয়্যেদুর রহমান, মাওলানা শরিফুর ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা কাওসার আহমদ সোহাইল প্রমুখ।

খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল ও ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারী অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, খেলাফত
মজলিসের কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক এডভাকেট মোঃ মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, খন্দকার সাহাব উদ্দিন আহমদ, এডভাকেট তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, মোঃ আবুল হোসাইন, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, এইচ এম হুমায়ুন কবীর আযাদ, ছাত্র নেতা বিলাল আহমদ চৌধুরী, শ্রমিক নেতা মো: আবুল কালাম প্রমুখ।

চলতি মাসে দেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়

0

চলতি মাসে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ কমিটির নিয়মিত সভা শেষে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

অক্টোবরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবাহ (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে। এ মাসে দেশের প্রধান নদনদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে।

দেশে ৯ মাসে ২১৬ বিচারবহির্ভূত হত্যা, ৯৭৫ নারী ধর্ষণের শিকার

0

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৯ মাসে ৯৭৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২০৮ জন। এছাড়া ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৩ জন এবং ১২ জন আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৯ মাসে ১৬১ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে যৌন হয়রানির কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন নারী। আর যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৩ নারী ও ৯ পুরুষ নিহত হয়েছেন।

আসক জানায়, এ সময়কালে দেশে যৌন হয়রানি ও সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যা, পারিবারিক নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপসহ নারী নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। তবে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার সংখ্যা ও এর ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংগঠনটি আরও জানায়, গত ৯ মাসে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৩২ জন নারী। এর মধ্যে হত্যার শিকার হন ২৭৯ নারী এবং পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৭৪ নারী। যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৬৮ নারী। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৭৩ জন। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ৬৬ জনকে এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ১৭ জন নারী। এছাড়া স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন ১২ নারী।

এছাড়া এ সময়ের মধ্যে ১১ জন গৃহকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন এবং বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩২ জন গৃহকর্মী। আর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ২ জন।

ইসলাম নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার স্পর্ধা দেখালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

0

ইসলাম নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার স্পর্ধা দেখালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘পুরো বিশ্বেই আজ সংকটের মুখে রয়েছে ইসলাম ধর্ম’। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘চরম কঠোর অবস্থানের কারণে সংকটে পড়েছে ইসলাম ধর্ম।’

ফ্রান্সে সেক্যুলারিজমকে শক্তিশালী করতে তার সরকার এ বছরই একটি খসড়া আইন পেশ করবে বলেও জানান তিনি।

ম্যাক্রোঁর ভাষায়, ‘দেশটিতে ইসলামিস্ট সেপারাটিজম মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে’।

তিনি বলেন, ‘পুরো বিশ্বেই আজ সংকটের মুখে রয়েছে ইসলাম ধর্ম, শুধু আমাদের দেশেই এটা দেখা যাচ্ছে না।’

ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘ফ্রান্সে ক্রমবর্ধমান ইসলামী চরমপন্থা ঠেকাতে এবং একসঙ্গে বাস করার ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯০৫ সালের একটি আইনে পরিবর্তন আনা হবে। ওই আইনের মাধ্যমে ফ্রান্সে আনুষ্ঠানিকভাবে চার্চ ও রাষ্ট্রকে আলাদা করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই আইনে সবাইকে তাদের ধর্ম বিশ্বাস বেছে নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে স্কুল বা সরকারি চাকরিতে ধর্মীয় কোনও চিহ্ন বহনের ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয়েছে এই আইনে।’

এর আগেও কয়েকবার ইসলাম ধর্ম ও মুসলিমদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন ম্যাক্রো। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে তৈরি করা ব্যঙ্গ চিত্রের বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তিনি, বরং এর পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।

ভারতে প্রতি ১৬ মিনিটে ধর্ষণের শিকার হন নারীরা

0

ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাতরসের ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে পুরো দেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে নারীদের ওপর নির্যাতনের তথ্য নিয়ে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো তাদের সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে এনেছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে এসব ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে এই রিপোর্টে।

শুধু ধর্ষণই নয়, পণের জন্য অত্যাচার, মহিলা পাচারের মতো অনেক ঘটনা; যা দেখলে সত্যিই ভয়ের কারণ, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, ঘণ্টায় প্রতি ৪ মিনিটে দেশে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরদের হাতে মার খান সে দেশের নারীরা।

প্রতি ২ থেকে ৩ দিনে নারীদের ওপর হয় অ্যাসিড আক্রমণ, প্রতি ১ ঘণ্টা ১৩ মিনিটে পণের জন্য অত্যাচারে মৃত্যু হয় নারীদের। প্রতি একদিন ৬ ঘণ্টায় হয় নারীদের গণধর্ষণ ও খুন।

আর প্রতি ১৬ মিনিটে ধর্ষণের শিকার হন নারীরা। প্রতি ২ ঘণ্টায় ধর্ষণের চেষ্টা হয় তাদের ওপর। এবং প্রতি ৬ মিনিটে শ্লীলতাহানি হয় তাদের। এদিকে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর এমন রিপোর্ট প্রকাশের পর পুরো ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।