Home Blog Page 4589

অর্ধ যুগপূর্তিতে ইনসাফ-এর প্রতি মাসিক মদীনা পরিবারের প্রত্যাশা

0

আহমদ বদরুদ্দীন খান | সম্পাদক : মাসিক মদীনা


ইনসাফ তাদের চ্যালেঞ্জিং পথচলার অর্ধযুগ সাফল্যের সাথে পূর্ণ করেছে। মিডিয়া আগ্রাসনের এই যুগ সন্ধিক্ষণে ইসলামী ভাবধারা অক্ষুন্ন রেখে তাদের এ পথচলা নিঃসন্দেহে গৌরবের। ইনসাফের এই সাফল্যে মাসিক মদীনা পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তাঁদের প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই।

বর্তমান নাজুক সময়ে ইসলামী চেতনায় সমৃদ্ধ একটি মিডিয়া দেশ-জাতি ও উম্মাহর কল্যাণে যে অসাধারণ অবদান রাখতে পারে, সে ধারণা আমাদের অনেকের মাঝে নেই বলেই আমরা আজ সীমাহীন দুর্গতির শিকারে পরিণত হয়েছি। আধুনিক গণমাধ্যম নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজও আমাদের মাঝে সেই চেতনা গুরুত্ববহ হয়ে উঠেনি। আমাদের অভিভাবকগণ আজও মিডিয়া-বিমূখ।

পশ্চিমা দুনিয়া তথা আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মিডিয়াকে যেমনিভাবে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে, ঠিক তেমনি আমাদের উচিৎ ছিল ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও কোরআন, সুন্নাহ্, ইজমা ও কিয়াসের পর শক্তিশালী গণমাধ্যমকে দ্বীনের পঞ্চম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা। কেননা, দ্বীনের উল্লেখিত স্তম্ভগুলোর সবগুলোই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে রেওয়ায়াত তথা এক প্রকার মিডিয়ার বদৌলতেই আমরা লাভ করেছি।

বলাবাহুল্য যে, শক্তিশালী গণমাধ্যম নির্মাণের প্রতি অসচেতনতা ও উদাসীনতার কারণেই আমরা আজ আমাদের পূর্ব পুরুষদের অনেক মূল্যবান ইলমী ওরাসাত তথা গবেষণা-আবিস্কার হারিয়ে ফেলেছি। অন্যদিকে মিডিয়া দৈন্যতার কারণে মানবতার কল্যাণে আমাদের পূর্বপুরুষদের অনেক সাফল্যই আজ ছিনতাই হয়ে গেছে, নয় হারিয়ে গেছে। অতএব আমাদের উচিৎ অনতিবিলম্বে প্রকৃত ইসলামী চেতনায় সমৃদ্ধ শক্তিশালী গণমাধ্যম নির্মাণের প্রতি মনোযোগী হওয়া। অন্যথায় অচিরেই আমরা শক্তিশালী গণমাধ্যমের অভাবে বড় ধরণের বিপর্যয়ের সম্মুখিন হবো। কারণ, আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ইসলামের দৃষ্টিতে শক্তিশালী গণমাধ্যমের গুরুত্ব অপরিশীম। কেননা, নায়েবে নবীর দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়ার জন্য তথা ইসলামী তাহ্যীব-তামাদ্দুন সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রচার প্রসার এবং প্রতিষ্ঠা করার জন্য দ্বীনী চেতনায় লালিত শক্তিশালী ও সর্বাধুনিক গণমাধ্যমের কোনই বিকল্প নেই। আর সেই গুরুত্বের প্রতি ইঙ্গিত করেই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবন সায়াহ্নে সর্ববৃহৎ জনসমাবেশে উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম ও অনাগত উম্মতের প্রতি এই সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে গেছেন যে: “আমার পক্ষ থেকে একটি মাত্র বাক্য হলেও তোমরা অন্যদের কাছে পৌছে দিও।”

আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার প্রতি আন্তরিকভাবে দায়বদ্ধ থেকে ইনসাফ মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধ আগামী বিনির্মাণে তাদের শক্তিশালী ভুমিকা অব্যাহত রাখবে- অর্ধযুগ পূর্তিতে এটাই ইনসাফের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।

২৪ রমযান ১৪৪১ হিজরী

অর্ধযুগ পেরিয়ে ইনসাফ সত্যপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে

0

হাবীব আনওয়ার | তরুণ লেখক, সাংবাদিক


সোজাসাপ্টা কথা হচ্ছে মিডিয়া জগতে আলেমদের পদচারণা চাহিদার থেকে অপ্রতুল। একটা সময় মিডিয়াকে একটা ফেতনা ফতুয়া দিলেও সময়ের চাহিদা অনুযায়ী এখন অনেকটা নমনীয় আমাদের আকাবির হযরতগণ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মিডিয়াকে একটা অদৃশ্য শক্তি মনে করি। মিডিয়ার প্রভাব-প্রতিপত্তি এত বেশি যা আমাদের কল্পনায় হয়তো আসে না। একটা মিডিয়া মানে একটা উত্থান। মিডিয়া মানে পরিবর্তন। মিডিয়া মানে সময়ের বিপরীত শ্রোত। মিডিয়া মানে কল্পনার রাজ্যেরের বাহিরের একটা জগৎ। আমরা সাধারণ চোখে যা দেখি মিডিয়া তার বিপরীত কিছু খুঁজে বের করে। মোট কথা মিডিয়ার উত্থান কোন ভাবেই অস্বীকার করা মত নয়।

ইতিহাসের পেছনে তাকালে আমরা দেখতে পাই উসমানী সাম্রাজ্য ধ্বংসের পেছনের বড় শক্তি ছিল মিডিয়া। হেফাজতের উত্থানের নেপথ্য ছিল দৈনিক আমার দেশ, ইসলামি টিভি, দিগন্ত টিভিসহ বিভিন্ন মিডিয়া। মফস্বলের এক মাহফিলের বয়ানের তেতুল শব্দকে সংসদ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ আলেম শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা. বা. কে হেয় করার পেছনেও ছিল মিডিয়া। শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. কে জঙ্গি হোতা বানানো, সর্বশেষ আপোষহীন বীর সিপাহসালার আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী হাফি. এর বিরুদ্ধে মিথ্যা বিষোদগার ও আল মারকাজুল ইসলামকে নিয়ে বানোয়াট খবর প্রচারে মিডিয়ার ভূমিকা আমাদের চোখের সামনে। মোট কথা তালকে তিল আর হিরোকে জিরো বানানোর কৌশল মিডিয়ার নখদর্পনে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে দেশের প্রায় সবগুলো মিডিয়া ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে পরিচালিত। এর বিপরীতে শক্ত অবস্থান নিতে হলে নিজস্ব বলায়ে মিডিয়া তৈরির কোন বিকল্প নেই।

তবে আশার কথা হচ্ছে, কিছু তরুণ তুর্কী খুব অল্পপরিসরে ইসলামি মিডিয়াকে প্রমোট করতে এগিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে আছেন, জনাব মাহফুজ খন্দকার। দৃঢ় মনোবল ও কর্মঠ মাহফুজ খন্দকারের সম্পাদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইনসাফ হাঁটিহাটি পা পা করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। দীর্ঘ অর্ধযুগে অনেক কাঠখড় আর প্রতিকূলতা পেড়িয়ে আজ সত্যপ্রেমী জনতার হৃদয়ে।
আশা করি মিডিয়া সন্ত্রাসের মোকাবেলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যাবে সন্তর্পণে।

ইনসাফের সম্মানিত উপদেষ্টা, সম্পাদক, রিপোর্টারসহ সকল শুভাকাঙ্খীদের প্রতি রইলো বিশেষ ভালোবাসা ও অভিনন্দন। আগামীর পথচলা হোক সুন্দর ও উদ্যামী।

ইনসাফ সত্যের প্রতিনিধি, নিপীড়িত মানুষের বন্ধু !

0

মুহাম্মাদুল্লাহ আফিফ | টঙ্গী, মধুমিতা


বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলামি অঙ্গনের নিজস্ব মিডিয়ার প্রয়োজন অপরিসীম। সত্যের পক্ষে হকের আওয়াজকে উড্ডীন করতে, মিথ্যার আড়ালে লুকিয়ে থাকা কালো ছায়াকে প্রকাশ করতে ইসলামি মিডিয়ার খুবই প্রয়োজন! মিডিয়া সন্ত্রাসের মোকাবিলায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ মিডিয়ার কোনো বিকল্প নেই।

বর্তমান এই ইন্টারনেটের যুগে ইসলামি অঙ্গনে মিডিয়ার খুবই অভাব। মিডিয়ার প্রয়োজন আজ সকলেই অনুধাবন করছে। আজ সত্য প্রকাশ হয় না। পশ্চিমাপন্থী মিডিয়ার নৈরাজ্যে, মিথ্যের উচ্চবাক্যে সত্য আজ পদদলিত। মিথ্যা আর গুজবে জড়িয়ে আছে আমাদের হুজুগে জাতি। সর্বত্র মিথ্যার সয়লাব। বাতিলপন্থীদের মিডিয়ার নৈরাজ্য।

এমন কঠিন মুহুর্তে অর্ধযুগ আগে বাংলাদেশে ইসলামি অঙ্গনের মিডিয়ার সূচনা হয়েছে ইনসাফ টোয়েন্টিফোরের মাধ্যমে। ইনসাফ শব্দের অর্থ হলো ন্যায়। ন্যায় পরায়ণ। সত্যকে সত্য আর মিথ্যা কে মিথ্যা বলাটাই ইনসাফ। সত্যের প্রদীপ, মিথ্যার বুকে লুকিয়ে থাকা কালো ছায়াকে প্রকাশ করার নামই হলো ইনসাফ।

আমি সর্বদা দেখি তারা সত্য প্রকাশ করছে, মিথ্যার বাধ ভেঙে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। ইনসাফের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে যায় পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার স্যারের কারণে। আমাদের মতো ছাত্রদের আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়া সরল মনের মানুষ তিনি। সেলিব্রিটি হওয়া সত্বেও তিনি একেবারেই নিরহংকারী। কাজেই ব্যাস্ত থাকেন সদা। ভুলগুলো হাসিমুখে ধরিয়ে দিতে পারেন তিনি সবার আগে। ভালোমন্দ খোজ রেখে শিখিয়ে দেন তুমিও অপরকে ভালোর পথে এভাবে নিয়ে আসো।তাঁর কথাগুলো প্রাণে গেঁথে রাখার মত। তাঁর মুরুব্বী হলেন হজরত জুনাইদ বাবুনগরী হুজুর। হুজুরকে খুবই মুহব্বত করি।তিনি ইনসাফেরও মুরুব্বী। আর মুরুব্বীদের কথা মত নিজেদের কে তৈরী করে নেয় ইনসাফের সকল কর্মী। তাদের প্রতি প্রাণঢালা ভালোবাসা, ও অভিনন্দন।

আমি ইনসাফ কে দেখেছি তারা নিউজে জনগণকে কখনই বিভ্রান্ত করে না। কারচুপির আশ্রয় নেয় না। কারো এজেন্ডা হয়ে কাজ করে না। দ্বীনকে প্রাধান্য দেয়। প্রাধান্য দেয় মজলুম জনগোষ্ঠীকে! অসহায় নিপীড়িত মানুষের অবস্থানকে!

আমি দেখেছি তাঁরা মুসলিম প্রতিটা প্রান্তের মজলুমদের খবরাখবর খুব দ্রুগতিতে প্রকাশ করছে। বিশ্বের প্রতিটি স্থানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের থেকেই প্রকাশ হতে দেখেছি।

আমি মনে করি অন্য কোনো পত্রিকার খবর পড়ে বিভ্রান্ত হওয়া থেকে ইনসাফ কে পড়া অনেক ভালো। শত সংকীর্ণতা থাকার পরেও তাঁদের যাত্রা মন্থর হয়নি! সত্যের পক্ষের কণ্ঠধ্বনি ক্ষীণ হয়নি!!
আজ দেখছি তুরস্কে আনাদোলু এজেন্সি শতবর্ষ উদযাপন করছে। ইনশাআল্লাহ আপনারাও করবেন। অর্ধযুগ থেকে পূর্ণযুগ এরপরে অর্ধশতবর্ষ থেকে শতবর্ষেও এগিয়ে যাবে ইনসাফ।
দোয়া করি, ইনসাফ ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বের প্রতিটা কোনায়।

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারণার মাধ্যমে ইনসাফ পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে

0

আতাউল্লাহ আফফান | ছাত্র, জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর


যত সংবাদ পত্র ফলো করি ইনসাফকে এদের মাঝে ভিন্নভাবে দেখতে পাই। ইনসাফকে শুরু থেকে ভালো ভাবে না জানলেও তাদের লেখা পড়ে বুঝতে পারি যে তারা সত্য ও ন্যায়ের সাথে ইসলামের বিভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরে। এ হিসেবে আমার কাছে ইনসাফকে বাংলাদেশের ইসলামি অঙ্গনের মুখপাত্র’ই মনে হয়েছে।

ইনসাফ পত্রিকা আমি নিয়মিত পড়ি। এর কারণ হচ্ছে এর সংবাদ পরিবেশনের বৈশিষ্ট্য। কখনোই তা একপেশে হয় না। যে ঘটনা ঘটে, সেটাই বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে তুলে ধরে। সংবাদ পরিবেশনও উন্নত মানের এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ। একারণেই ইনসাফ পত্রিকা আমার প্রিয়।

ইনসাফের উপসম্পাদকীয়গুলো আমি মনোযোগ দিয়ে পড়ি। এখানে বিভিন্ন মত আসে। অন্য পত্রিকার মতো একপেশে নয়। এবং মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে কাশ্মীর- ফিলিস্তিন নিয়ে ইনসাফের ভুমিকা বলা বাহুল্য। সাধারণ পত্রিকা যেখানে কাশ্মীরি মুসলমানদের জঙ্গি ট্যাগ লাগায় সেখানে ইনসাফ বলে ‘স্বাধীনতাকামী’।

ইনসাফ দল-মত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখায় সবার প্রশংসা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠার পর অল্পদিনে জনপ্রিয়তা অর্জন এবং ছয় বছর পেরিয়েও সেই জনপ্রিয়তার মূল কারণ সংবাদ পরিবেশনে পত্রিকাটির আপসহীন অবস্থান ধরে রাখা।

আমি আশাকরি ইনসাফ আরো বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে এগিয়ে আসবে। ইনসাফ বিভিন্ন কওমী মাদরাসাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকতা ও সাহিত্য কোর্স চালু করতে পারে। এতে তৃণমূলে মিডিয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। ইনসাফ সীমিত আকারে হলেও প্রিন্ট পত্রিকা চালু করতে পারে। এবং ভিডিও শো গুলো পুনরায় চালু করলে এতে দর্শকেরা আরো উপকৃত হবে। আমি সর্বোপরি ইনসাফের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি

৬ বছরের চ্যালেঞ্জ; ইসলামি মিডিয়ার অভাব পূরণে কতটুকু সফল ইনসাফ?

0

এইচ এম আদিব | মালয়েশিয়া প্রবাসী


২০১৩ সালে হেফাজতের সেই উত্তাল দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। তখন আমাদের নিজস্ব কোনো মিডিয়া ছিল না। হেফাজতের প্রতিটা মূহুর্তের সংবাদ জানতে আমরা বিভিন্ন ফেসবুকভিত্তিক পেইজে নজর দিতাম। এক কথায় নিজেদের মিডিয়া বলতে আমাদের তখন কিছুই ছিল না। তখনকারদিনে মনে একটা হাহাকার ছিল নিজস্ব মিডিয়া না থাকার। সেই হাহাকার বর্ণনা করার মত ছিল না।

হেফাজতের সেই রক্তাক্ত শহীদি দিবসের ঠিক এক বছর পরই আত্মপ্রকাশ হয় ‘ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম’-এর। এই দেশের ইসলামি ঘরানার প্রথম অনলাইন পত্রিকা হিসেবে ইনসাফের উপর দাঁড়ায় বিশাল চ্যালেঞ্জ। ইনসাফ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কতটুকু কী করতে পেরেছে এখন সময় এসেছে তার যোগ বিয়োগ করার। আমি এই ক্ষেত্রে ইনসাফের কয়েকটা ভালো গুণের কথা উল্লেখ করছি।

(১) তাবলিগের দুটি গ্রুপের ইস্যুতে ইনসাফের ভূমিকা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। এই ইস্যুতে ই’তেদালি মেজায বজায় রেখে, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে ঘরের নিউজ বাহিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নিউজের মত হলেই নিউজ করতে হবে এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে উপকারী নিউজ প্রকাশ করাটা একটা বড় বিষয়।

(২) অনলাইন পত্রিকাগুলোর একটা বৈশিষ্ট্য হলো তারা কেবল নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দল ও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য প্রচার করে। সে জায়গাটাতে ইনসাফ এখনো নির্দলীয় ইসলামিক পত্রিকা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই জায়গাটা আদল ও ইনসাফের সাথে ধরা রাখাটা হবে ইনসাফের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

(৩) টকশোর আদলে লাইভ সাক্ষাতকার একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল ইনসাফের৷ জানিনা কী কারনে এটা অনেক দিন যাবত বন্ধ আছে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক মানের টকশো হতে যেই উপাদানগুলো দরকার, সেগুলোর অভাব ধীরেধীরে দূর করে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এই জায়গাটাতে যদি ইনসাফ ভালোভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটা হবে অনেক বড় কিছু।

একটা মিডিয়ার প্রাথমিক অবস্থায় বিভিন্নধরনের সমস্যা ও সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেই সময়টাতে বিভিন্নভাবে তাদেরকে সাপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আর নয়তো অংকুরেই অনেকে হারিয়ে যায়। মিডিয়া তৈরি নিয়ে আমাদের বড়দের অনেক চিন্তা-ফিকির ও চেষ্টা প্রচেষ্টার কথা জানতে পারি, আজ যেহেতু আমাদের মিডিয়া দাঁড়িয়ে গেছে তাদেরকে সাপোর্ট দেওয়া উচিত। অন্ততপক্ষে কোনো ভুল হলে, হুট করে প্রতিবাদী পাবলিক পোস্ট না দিয়ে পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত যে কাউকে জানাতে পারেন। আমি যতটুকু জানি, শরঈ বিষয়ের খেলাফ কোনো বিষয় তাদের মাধ্যমে হয়ে গেলে, তারা হাসিমুখে তা সংশোধন করে নেয়। সবার দোয়া ও ভালবাসাতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম। এই প্রত্যাশা-ই করি।

তথ্যের চাহিদা পূরণে ইনসাফের ভূমিকা প্রশংসনীয়

0

ওমর ফারুক সাহিল | পরিচালক : ঐশীস্বর


বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে সবসময় সচেতন থাকা দেশের প্রথম ইসলামী ঘরানার জনপ্রিয় অনলাইন মিডিয়া ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম অর্ধ-যুগ পার করেছে। শুরুতেই জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐশীস্বর এর সকল কলাকুশলীর পক্ষথেকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।

আদর্শের উপর অটল অবিচল থাকতে পারা নিঃসন্দেহে বড় একটি গুণ। যা সবসময় যথাযথ মাত্রায় ইনসাফে খুঁজে পেয়েছি। সততা সাহসীকতার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে থাকে। এ বিশ্বাস পূর্ণ মাত্রায় সকলে ধারণ করতে পারে না। কিন্তু তা থাকা আবশ্যক। তবেই মানুষের আস্থা স্থায়িত্বে রূপ নেয় খুব সহজে। ইনসাফ বরাবরই তার সাক্ষর রেখে চলেছে।

দেশে অসংখ্য সংবাদমাধ্যম থাকার পরও সচ্ছতার অভাববোধ করে প্রতিনিয়তই তাদের পাঠক ও দর্শক-শ্রোতাদের বেশ বড় একটি অংশ। যা সত্যিই দুঃখজনক। তাই কখনো কখনো খবরের পেছনের খবরও হতে দেখা যায়। যা অস্বাভাবিকভাবে চোখ চড়গগাছে ওঠার মতো। অথচ এমনটি কাম্য কেউ করে না। সে সারিতে দাঁড়িয়ে ইনসাফ তার স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারা কম কথা নয় মোটেই।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইনসাফ প্রতিদিন সাধারণ মানুষের তথ্য চাহিদা পূরণে যে ভূমিকা রেখে চলেছে তা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশের সংবাদ এবং সংবাদের বিশ্লেষণ ইনসাফে ফুটে ওঠে।

শুভকামনা সবসময়। এ ধারা অব্যাহত থাকুক অনন্তকাল। উপকৃত হোক তার সকল পাঠক, শ্রোতা ও দর্শক বন্ধুরা। আল্লাহ ভালো কাজের উত্তম প্রতিদান দিয়ে ধন্য করুন ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক প্রিয় সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার সহ- সকল কলাকুশলী বৃন্দকে।

আমাদের মিডিয়া অঙ্গনের শূন্যতা কাটিয়ে তুলতে কাজ করছে ইনসাফ

0

আলমগীর বিন কবির | পরিচালক: নবজাগরণ শিল্পীগোষ্ঠী


ইসলামী অঙ্গনে মিডিয়ার শূন্যতা নতুন কিছু নয়। ইতিপূর্বে এ সমস্যাটা দূর করতে আমরা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিনি। আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের সে শূন্যতা কাটিয়ে তুলতে ইতোমধ্যে মিডিয়া অঙ্গনে বেশ কিছু ইসলামী মিডিয়া কাজ করছে। তার মধ্যে ইনসাফ অন্যতম। বহু চড়াই উৎরাই পার হয়ে ইনসাফ অর্ধযুগ অতিক্রম করে আজ সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।

বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ইনসাফের সুদক্ষ কর্ণধার, ত্যাগী সম্পাদক জনাব মাহফুজ খন্দকারকে। তার দৃঢ় প্রচেষ্টার ফল আজকের দৃশ্যমান ইনসাফ।

ইনসাফের সকল পাঠক, কলাকৌশলী, প্রতিনিধি, সংবাদ দাতা ও স্পন্সরদের আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই। তাদের এ বিপ্লবী পথচলা সহজ হোক, আরো গতিশীল হোক। এটাই প্রত্যাশা করি।

হলুদ সাংবাদিকতার যুগে ইনসাফের সাংবাদিকরা সত্য নিউজ প্রচার করছে

0

মুহাম্মাদ জিয়াউর রহমান | দেওভান্ডার, দৌলখাঁড়, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা


দেশের ইসলামী ঘরানার অনলাইন ভিত্তিক প্রথম পত্রিকা ইনসাফকে অর্ধযুগ অতিক্রম করায় পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন।

হলুদ সাংবাদিকতার যুগে ইনসাফের সাংবাদিকরা শক্তিশালী ও সত্য নিউজ প্রচার করছে। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অন্যদের মডেল হবে ইনশাআল্লাহ।

একইসাথে তাদেরকে আহ্বান করি সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকার এবং সাধারণ মানুষের সাথে থাকার।

আমি আশাকরি ইনসাফ কখনও সত্য পথ থেকে বিচ্যুত হবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ এই সৎকাজকে সহজ করে দিন আমীন।

ইনসাফ ইসলাম, দেশ, মাটি ও মানুষের হৃদয়ের কণ্ঠস্বর

0

মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী | সাবেক উপদেষ্টা সম্পাদক : ইনসাফ


আলহামদুলিল্লাহ সাত বছরে পদার্পণ করল গণমানুষের আস্থার প্রতীক ইনসাফ। ইনসাফ দেশের অনলাইন সংবাদপত্র শিল্পে সত্যিই বিপ্লব ঘটিয়েছে। ইনসাফ ইসলাম, দেশ, মাটি ও মানুষের হৃদয়ের কণ্ঠস্বর। সত্যিই আস্থার প্রতীক হয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের প্রতি অবিচল থেকে ছয় বছর অতিক্রম করল।

অনলাইনে নতুন এসে চলার পথ মোটেও কুসুমাসত্তীর্ণ ছিল না। ইসলামের দীপ্ত শিখায় উদ্ভাসিত ইনসাফকে চলার এই পথের বাঁকে বাঁকে নানান সংকট, বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। ইনসাফ সম্পাদক প্রিয় মাহফুজ খন্দকারের নিরলস প্রচেষ্ঠায় চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছে এগিয়েই চলেছে, কোন সময় থেমে থাকেনি। নানা সমস্যা ও টানাপোড়নের মধ্যেও ‘ইনসাফ তথা সামাজিক ন্যায় বিচার’ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। ইসলাম দেশ ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায়, নাস্তিক্যবাদ, আধিপত্যবাদ, হিন্দুত্ববাদ ও ইসলামবিদ্বেষী গোষ্টীর মুকাবেলায় গণমানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা পালন করায় সচেতন পাঠকদের জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামী ভাবধারা ও মূল্যবোধের ব্যাপারে আপোষ না করেই খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সকল মত ও পথকে সমান গুরুত্ব দিয়ে আরো সমাদৄত হয়েছে।

আমাদের প্রিয় মাতৄভূমি বাংলাদেশকে আজ বিজাতীয় সংস্কৃতিচর্চা এবং নাস্তিকতার উর্বর ভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। সংস্কৃতিচর্চার নামে উলঙ্গপনা ও তথাকথিত আধুনিক প্রগতিশীলতার নামে দেশে যখন মহান আল্লাহ তা’য়ালা, প্রিয় নবীজী সা., পবিত্র আল কুরআন, ইসলাম ধর্ম-আলেম-ওলামা-মাদরাসা শিক্ষা, পীর-মশায়েখ-দাড়ি-টুপি পরিহিত মানুষকে জঙ্গী, সন্ত্রাসী ও তুচ্ছজ্ঞান করাই ছিল যখন মিডিয়াগুলোর নিয়মিত প্রচারনার আয়োজন সেই ২০১৩ সালের এই দিনে জন্ম নেয় তরুণ সম্পাদকের ইনসাফ। এমন একসময় ইনসাফের প্রতিষ্ঠা যে সময় দেশ জাতি ইসলমপ্রিয় জনতার জন্য এটি খুব প্রয়োজন ছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত ইনসাফ তার লক্ষ্য পথে অবিচল রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।

দেশের হাজারো অনলাইন মিডিয়ার ভিড়ে অগণিত পাঠকের সিক্ত ভালোবাসা, আস্থা ও বিশ্বাস ইনসাফের চলার পথে আরো সাহস ও প্রেরণা যোগাবে। সবার সহযোগিতায় ইনসাফ আরও সমৃদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে সে প্রত্যাশা রইল।

ইনসাফের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী’র শুভেচ্ছা

0

মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী | মহাপরিচালক : জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর


আমি প্রথমে মহান আল্লাহ পাকের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে, বাংলাদেশের তৌহিদী জনতার ধারক বাহক, সবসময় হক্বের আওয়াজ বুলন্দে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আমাদের ইনসাফ কর্মক্ষেত্রে ৬ বছর অতিক্রম করে ৭ম বর্ষে পা দিয়েছে।

আমি শুরু থেকেই ইনসাফকে চিনি, জানি। ২০১৪ সালের ৫ মে হাটহাজারী মাদরাসায় ইনসাফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। আলহামদুলিল্লাহ সে সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম। ইনসাফ যে প্রতিজ্ঞা নিয়ে যাত্রা করেছিল, তারা তা করে দেখাতে পেরেছে। হেফাজত, ইসলাম ও মুসলিম বিশ্ব কেন্দ্রীক খবরগুলো ইনসাফ খুব গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করে। বাতিল মিডিয়া যেখানে সর্বদা ইসলামকে কলুষিত করতে ব্যস্ত, ইনসাফের এমন কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
আমি ইনসাফ পত্রিকার জন্য, পত্রিকার সম্পাদক ও সকল কর্মীবৃন্দের জন্য দু’আ করি। এ প্রতিষ্ঠানটি যেনো শতবছর পেরিয়ে হাজার বছর ন্যায় নিষ্ঠার সাথে দ্বীনের খেদমত করে যেতে পারে।