Home Blog Page 4635

সরকারি অফিস-আদালত সীমিত আকারে চালু করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

0

সরকারি অফিস, আদালত সীমিত আকারে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সরকারি অফিস, আদালত সীমিত আকারে চালু করা হবে যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। সামনে ঈদ, ঈদের আগে কেনাকাটা বা যা যা দরকার সেগুলো যেন মানুষ করতে পারে।

সোমবার (০৪ মে) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহের জনপ্রতিনিধি এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, খুব বেশি মানুষ একসাথে জড়ো হওয়া বা জনসমাগম থেকে সবাইকে মুক্ত থাকতে হবে। সেখানে কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এসময় জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ওপর গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশনা জারি করবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এটা মনে রাখতে হবে যে শুধু আমরা না, বিশ্বব্যাপী এই অবস্থা চলছে। যদিও আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করায় ভালো ফলাফল পাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজার কারণে ইফতার-সাহরির সুবিধার্থে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জেলাভিত্তিক যে সমস্ত ছোটখাটো ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে সেগুলো যাতে চলতে পারে সেইভাবে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

মাওলানা খলিলুর রহমানের ইন্তেকালে ইশা ছাত্র আন্দোলনের শোক

0

বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি (বামুক) ঢাকা বিভাগের সম্মানিত সদর মাওলানা খলিলুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন

রবিবার (০৩ মে) দিবাগত রাতে ইন্তেকাল করেন।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাল করে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম বলেন, মাওলানা খলিলুর রহমান বাংলাদেশে বিশুদ্ধ ধারার তাসাওউফ চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এবং তিনি ইসলামী বিপ্লবেরও একজন নিরলস দায়িত্বশীল ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির বিভাগীয় সদরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা ইসলামের একজন একনিষ্ঠ খাদেম কে হারিয়েছি।

এম. হাছিবুল ইসলাম মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং মহান প্রভুর দরবারে জান্নাতুল ফেরদাউসের উচু মাকাম কামনা করেন।

সীমিত আকারে সরকারি অফিস-আদালত চালু করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

0

সরকারি অফিস, আদালত সীমিত আকারে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সরকারি অফিস, আদালত সীমিত আকারে চালু করা হবে যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। সামনে ঈদ, ঈদের আগে কেনাকাটা বা যা যা দরকার সেগুলো যেন মানুষ করতে পারে।

সোমবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহের জনপ্রতিনিধি এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, খুব বেশি মানুষ একসাথে জড়ো হওয়া বা জনসমাগম থেকে সবাইকে মুক্ত থাকতে হবে। সেখানে কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এসময় জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ওপর গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশনা জারি করবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এটা মনে রাখতে হবে যে শুধু আমরা না, বিশ্বব্যাপী এই অবস্থা চলছে। যদিও আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করায় ভালো ফলাফল পাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজার কারণে ইফতার-সাহরির সুবিধার্থে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জেলাভিত্তিক যে সমস্ত ছোটখাটো ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে সেগুলো যাতে চলতে পারে সেইভাবে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়ে একেক সময় একেকটা তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে: ফখরুল

0

সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়ে একেক সময় একেকটা তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (০৪ মে) সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর’র উদ্যোগে বিএনপি’র মহাসচিব রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা মানুষের মধ্যে আশার সৃষ্টি করার ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছে। তাই তারা একবার তারা সিদ্ধান্ত নিলো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ থাকবে। কিন্তু পরিবহন খোলা রাখলে। যে কারণে কর্মীরা সারাদেশে ছড়িয়ে গেল। আবার এখন গার্মেন্টস খুলেছে। কিন্তু গার্মেন্টস কর্মীদের যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তা নেই। ‌ গার্মেন্টসকর্মীদের অনেকেই এখন আক্রান্ত হচ্ছে সাভার আশুলিয়া গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে। সরকার ব্যর্থ হয়েছে গার্মেন্টস মালিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়াতে।

দেশের বিত্তশালী যারা আছেন তাদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন আমরা যেন ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়াতে পারি। সরকারকে আমরা বারবার বলেছি সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।কিন্তু তারা তা করছেন না। কোন রাজনৈতিক দল বিশেষজ্ঞ কারো সঙ্গে তারা পরামর্শ করছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার আমাদের সঠিক পথ দেখাতে পারেনি। এ সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নাই। এ কারণে মার্চ মাস পর্যন্ত তারা এটাকে অবহেলা করেছে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্ব যখন লকডাউন করছে তখন তারা গ্রহণ করেনি বিচ্ছিন্নভাবে স্থানীয়ভাবে লকডাউন করছে। ত্রাণ বিতরণ কাজটিও সরকার সঠিকভাবে করতে পারছে না। আর এ কারণে মানুষের এত অভাব সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এপ্রিলের ৪ তারিখে আমরা সরকারকে একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম।সাধারণ মানুষ যারা আছে এখন কাজ করতে পারবে না তাদেরকে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। তালিকা করে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এটা বন্টন করা যেত। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত তারা কোনো গুরুত্বই দেয় নি।

ফিলিস্তিনি হত্যা-নির্যাতন আড়াল করতে সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে ইহুদীবাদী ইসরাইল

0

ফিলিস্তিনের জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র ফুজি বারহুম বলেছেন, ফিলিস্তিনি হত্যা-নির্যাতন আড়াল করতে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে ইহুদীদের অবৈধ রাষ্ট্র দখলদার ইসরাইল।

রোববার (০৩ মে) রাতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দখলদারেরা সাংবাদিকদের অধিকার লঙ্ঘন করে ধরপাকড় ও নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। কারণ তারা এর মাধ্যমে বাস্তব চিত্র আড়ালে রাখতে চায়।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের চিত্র গোটা বিশ্বের সামনে আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে তিনি সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ওই মুখপাত্র। সাংবাদিকদের হত্যা-নির্যাতন করার কারণেও ইহুদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের নেতাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যা-নির্যাতনের খবর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ কারণে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদেরকে সব সময় ইসরাইলি হুমকির মুখে থাকতে হয়।

এদিকে ইসরাইলি কারাগারে বর্তমানে অন্তত ১২ জন সাংবাদিক আটক রয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের সাংবাদিকদের একটি সংগঠন জানিয়েছে।

সূত্র: পার্সটুডে

১৬ মে পর্যন্ত বাড়লো সাধারণ ছুটি

0

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা বাড়ার কারণে সাধারণ ছুটি আরো ১১ দিন বাড়িয়েছে সরকার।

আগামী ১৬ মে পর্যন্ত থাকবে ছুটি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই ছুটি বাড়িয়ে আজ সোমবার (৪ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ভারতে মদের দোকান খুলতেই উপচে পড়া ভীড় , সামাল দিতে পুলিশ নাজেহাল

0

বিশ্বব্যাপী ভয়ংকরভাবে হানা দিচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাস। এতে ভারতে চল্লিশ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই দেশটিতে মদের দোকান খোলার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার ছাড় দিয়েছে সব জোনে। তার জেরেই সোমবার সকাল থেকে হাজারও মানুষের ভিড় শহরের বিভিন্ন মদের দোকানের সামনে। সেই ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেল পুলিশ। যেখানে সামাজিক দূরত্বের কোনো পাত্তা নেই। দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও দেখা গেল একই রকম চিত্র।

সোমবার (০৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় দেশটির কালীঘাট দমকলের পাশে মদের দোকানের শাটার তখনও খোলেনি, তার মধ্যেই দোকানের সামনে ফুটপাতে ৫০০ মানুষের লম্বা লাইন। প্রত্যেকের হাতে বিভিন্ন মাপের থলে। কয়েক মিনিট পরেই দোকানের তালা খুলে শাটার অর্ধেক তুললেন দোকানের এক কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে ৫০০-৬০০ মানুষের লাইনটা এগিয়ে গেল। এক জনের ঘাড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন অন্যজন। সবাই চেষ্টা করছেন দোকানের কাউন্টারের কাছে আগে পৌঁছতে। আর তা নিয়েই শুরু হয় ঠেলাঠেলি। সেই ছবি দেখলে কেউ বলবে না, দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে পুলিশ আসে। ওই ভিড় সামাল দিতে নাজেহাল হন তারাও। রীতিমতো লাঠি নিয়ে পুলিশ তাড়া করে উৎসাহী সুরাপায়ীদের। তাতেও ভাটা পড়েনি উৎসাহে। একদিকে তাড়া করলে সুরাপায়ীরা অন্যদিক দিয়ে তারা এসে হাজির হচ্ছেন দোকানের সামনে।

সোমবার সকাল থেকে একই ছবি দেখা গেল ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারের কাছে, মহিম হালদার স্ট্রিটের একটি মদের দোকানের সামনে। সব মিলিয়ে গোটা কলকাতার ছবিটাও একই রকম।

কেন্দ্রীয় সরকার মদের দোকান খোলার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পর থেকেই এ রাজ্যেও শুরু হয়ে যায় জল্পনা। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে কনটেনমেন্ট এলাকা ছাড়া সব জায়গায় খোলা যাবে মদের দোকান। এর পর রাজ্যেও খুলতে চলেছে মদের দোকান— এমন গুঞ্জন শুরু হয় প্রশাসনেরও বিভিন্ন স্তরে। শনিবার বিকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় একটি তালিকা। যেখানে রয়েছে কলকাতার ২২টি মদের দোকানের নাম। যেগুলো সোমবার থেকে খোলা হবে বলে উল্লেখ ছিল ভাইরাল হওয়া ওই মেসেজে। যদিও আবগারি কর্তাদের দাবি, এখনও রাজ্য সরকার কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। তবে তারা স্বীকার করেন কলকাতার কনটেনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে ১৪টি মদের দোকানের তালিকা তাঁরা তৈরি করেছেন। যদি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়,তাই সেই দোকানের মালিকদের বলা হয়েছে দোকান খোলার জন্য তৈরি থাকতে। পরে তৈরি হয় ২২টি দোকানের তালিকা।

তবে সোমবার সকাল থেকে শহর জুড়ে মদ কেনার এই ভিড় দেখে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নবান্নকেও জানানো হয়েছে, সামাজিক দূরত্ববিধি মনে চলার পরিকাঠামো তৈরি না করে মদের দোকান খুললে বড় ধরনের গোলযোগ হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, খোলার এক ঘণ্টার মধ্যেই আপাতত ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ মদের দোকান।

এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও পরিস্থিতি কার্যত একই। অনেক জায়গায় গভীর রাত থেকে মদের দোকানের সামনে লাইন দিতে দেখা গিয়েছে সুরাপায়ীদের।

শুধু এ রাজ্যে নয়, মদের দোকান খুলতেই উৎসাহী সুরাপায়ীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। মদের কেনার হিড়িকের জেরে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংও লাটে উঠেছে কোথাও কোথাও। কর্নাটকে সকাল থেকেই দেখা গিয়েছে মদের দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন। একই ছবি দিল্লি, ছত্তীসগঢ়ের-সহ বিভিন্ন জায়গায়। দীর্ঘ দিন পর মদের দোকান খোলা পেয়ে কলকাতার মতো হুড়োহুড়ো শুরু হয় দিল্লির বিভিন্ন দোকানের সামনে। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। দিল্লির কাশ্মীরি গেটের সামনে একটি মদের দোকানের সামনে জনতার ভিড় সামলাতে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লিতেও দোকান বন্ধ করে দিতে হয়।

সূত্র: আনন্দবাজার

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৮৮

0

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮২ জনে।

এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন।

এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্ত ১০ হাজার ১৪৩ জন।

আজ (সোমবার) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

আল্লামা কাসেমীকে সম্মান দিতে আমরা কুণ্ঠিত কেনো?

0

মুফতী এনায়েতুল্লাহ | বিভাগীয় সম্পাদক : বার্তা২৪.কম


একটি ঘটনা বলে লেখাটি শুরু করতে চাই। ঘটনাটি আমার শোনা, বর্ণনাকারী এখনও বিদ্যমান এবং তিনি মানোত্তীর্ণ। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশের পাঁচশর বেশি জায়গায় জামায়াতুল মোজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায়। ফরিদ সাহেব গ্রেফতারের পর অনেক রাজনৈতিক নেতা তার পাশে দাঁড়ায়নি, তার পক্ষে কথা বলেনি। এমন সময় আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলেন, মাওলানা ফরিদ কী বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত বলে আপনি মনে করেন? তখন কাসেমী সাহেব হুজুর স্পষ্টভাষায় বলেন, না, আমি উনাকে যতটুকু চিনি। তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস তিনি এ কাজ করতে পারেন না। কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে। অথচ ফরিদ যেখানে দীর্ঘদিন বোখারি পড়িয়েছেন (ওই সময় ফরিদ সাহেবের বাসা ওই মাদরাসার পাশে ছিলো) ওই মাদরাসার পদস্থ (নাম-পরিচয় গোপন রাখা হলো) এক শিক্ষককে একই সাংবাদিক জানতে চাইলেন। তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন, শুনেছি, রাস্তার ওপারে মাওলানা ফরিদ নামের একজন থাকেন। তার সাথে আমার সবিশেষ পরিচয় নেই।

ঘটনাটি বলার কারণ হলো, ওই সময় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াত জোটে ছিলেন, এখনও আছেন। আর ওই জোট সরকারের আমলে পাঁচশ’র বেশি স্থানে বোমাবাজির মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগে আটক একজনের (যদিও তাদের উভয়ের মাঝে রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে) পক্ষে এভাবে বলা সাহসেরই কাজ বটে। আর এটি মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীর আছে।

আলোচনা প্রসঙ্গে সর্বশেষ দু’টো ঘটনার ঈঙ্গিত দিয়ে আমি মূল আলোচনায় চলে যাবো।

এক. করোনা পরিস্থিতিতে মসজিদ সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত এবং আলেম-উলামাদের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও মসজিদ খোলে দেওয়ার জন্য বিবৃতি, মিটিং সময়বেঁধে দেওয়ার ঘটনা তার নেতৃত্বে হয়েছে।

দুই. করোনা পরিস্থিতিতে কওম মাদরাসায় সরকারি অনুদানের বিষয়ে তার নেতৃত্বে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। পরে বেফাকের খাস কমিটির তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী কে?
তিনি একজন শায়খুল হাদিস। তিনি দেওবন্দের আদর্শের ধারক-বাহক। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি বোখারির দরস প্রদান করে আসছেন। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি ছাত্র তার কাছে বোখারি পড়েছেন।

মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী কে?
এই সময়ে রাজধানী ঢাকার উল্লেখযোগ্য কয়েকজন গ্রহণযোগ্য শায়খুল হাদিসের অন্যতম একজন। বর্তমানে আল্লামা আহমদ শফীর পর সমাজ ও রাজনীতিতে সরব এক রাহবার। বয়সের দিক দিয়েও (সম্ভবত ৭৫) তিনি আল্লামা শফীর পর সিনিয়র।

মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী কে?
তিনি জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল। এ ছাড়া আরও বহু মাদরাসা-মসজিদ প্রতিষ্ঠা ও পরিচলানার সঙ্গে জড়িত। কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিলি আরাবিয়ার সহ-সভাপতি। হাইয়াতুল উলইয়া লিল জাময়িাতিল কওমিয়ার সদস্য। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব। খতমে নবুওয়াত আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর সভাপতি।

অত্যন্ত সূচারুরুপে এসব দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছে। বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তার মতামত জাতিকে পথ দেখিয়ে আসছে। বিভিন্ন বিষযে তার যৌক্তিক দাবির বিষয়ে আলেমদের ঐক্যমত্য প্রমাণ করে তার দূরদর্শিতা।

মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী আপাদমস্তক দেওবন্দি মাসলাকের আলেম। তার ভক্তদের অনেকে তাকে বাংলার মাদানি বলে অভিহিত করেন, এটা তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

আফসোসের কথা
আমি ব্যক্তিগতভাবে হুজুরের ছাত্র নই, তার দলেরও কেউ নই। তবে তাকে যতটুকু চিনি, তাতে আমার মতো আরও অনেকেই একথা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন- সাদাসিধে জীবন কিন্তু আদর্শের প্রশ্নে শতভাগ কঠোর।

নীতির ওপর অটল মাওলানা কাসেমী কালক্রমে এখন বৃদ্ধ বয়সে উপনীত। কিন্ত আমরা কী তাকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে পেরেছি? কেন পারিনি- অন্তত এই প্রশ্ন কিংবা বোধটুকু কী তার ছাত্র-শাগরেদ অথবা দলীয় নেতা-কর্মীদের মনে জাগ্রত হয়েছে কখনও?

মাওলানা নুর হোসাইন কামেসীর ছায়ায় থেকে রাজনীতি করেন, সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, মসজিদের খতিব, বড় বড় মাদরাসার মুহতামিম, মুহাদ্দিস ও শায়খুল হাদিস হিসেবে পরিচয় দেন- এমন অন্তত শ’খানেক ব্যক্তিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, তাদের সঙ্গে আমার বেশ সখ্যতাও রয়েছে। তাদের কাছে খুব আগ্রহ নিয়ে এটা জানতে চেয়েছি, কিন্তু তারা লা জওয়াব! বিষয়টি আমাকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। তাহলে কী মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী তাদের কাছে রাজনীতির সিঁড়ি? স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার? উত্তর আমার জানা নেই।

আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীকে সম্মান দিতে আমরা কুণ্ঠিত কেনো?
নানা কারণে আমার মনে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে, আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীকে সম্মান দিতে আমরা কুণ্ঠিত কেনো?
তিনি নীতির প্রশ্নে আপোষহীন বলে?
তিনি নেতা-কর্মীদের তাদের প্রাপ্য ও ন্যয্যা সম্মান দেন বলে?
আন্দোলন-সংগ্রামের গতিপথ একটু আগেই অনুধাবন করেন বলে?

একটি উদাহরণ
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের সবচেয়ে বৃহত্তম বোর্ড। তিনি এই বোর্ডের এক নম্বর সহ-সভাপতি। বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহির ইন্তেকালের পর স্বাভাবিকভাবেই এক নম্বর সহ-সভাপতি হিসেবে তার সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আসীন হওয়ার কথা। কিন্তু না, তিনি অজানা কোনো কারণে এ পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি যিনি হবেন, পদাধিকার বলে তিনিই হাইয়াতুল উলইয়ার কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাবেন।

আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী বেফাক এবং হাইয়ার নেতাদের মাঝে কোন দিক থেকে অযোগ্য যে তাকে সেই পদ থকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হলো। তাকে বঞ্চিত করে কিন্তু নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বর্তমান মহাসচিবকে ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সভাপতি করা হয়েছে। এখন তিনি একাধারে বেফাকের মহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সভাপতি ও হাইয়াতুল উলইয়ার ভারপ্রাপ্ত কো-চেয়ারম্যান।

এ ঘটনায় যে বিষয়গুলো সামনে আসে-
ক. মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীর ওপর তার স্বগোত্রীয়দের (বেফাক) এতো ক্ষোভ কেন?
খ. মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীর আশেপাশে থাকা নানা সুবিধাভোগীরা তার জন্য কী করেছেন?
গ. মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী কখনও পদ প্রত্যাশী ছিলেন না, এখনও নন। তিনি প্রচারবিমূখ মানুষ। কিন্তু তার শাগরেদ, ছাত্র ও দলীয় নেতা-কর্মীদের কী কোনো দায় নেই।
ঘ. মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীকে ঘিরে থাকা গুটিকয়েক লোক কী তবে তাকে ধীরে ধীরে জনবিচ্ছিন্ন করে তুলছেন? না হলে, কেন তাকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে?

বিষয়টি আদর্শগত লড়াই, সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এখানে ভিন্ন ব্যাখ্যার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীকে ঘিরে থাকাদের এটা বুঝতে হবে, সে অনুযায়ী কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। তারা এটা করতে না পারলে তাদের পরিত্যাগ করাই হবে শ্রেয়তর কাজ।

এ বিষয়ে মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীর শাগরেদ ও নেতাকর্মীদের মনে রাখতে হবে, বাইপ্রোডাক্টদের সঙ্গে নিয়ে কোনোভাবেই লক্ষ্য হাসিল সম্ভব নয়। কাণ্ডজ্ঞানহীন ঠুনকো সেনাপতি দিযে সাময়িক কাজ হাসিল হয় বটে, আখেরে স্থায়ী কিছু হয় না। বাক্যবাগীশ তালপাতার সেপাইদের ওপরে আদর্শকে স্থান দান করাই কর্তব্য। অতীতের ফতুর ও দেউলিয়া এবং নানা দ্বারে করুণা ভিক্ষাকারীদের সঙ্কট উত্তরণে সংযুক্ত করার মানেই হলো- বোঝা বাড়ানো। যারা যথাসময়ে তাদের প্রাচীন রক্ত ও সুপ্তভাবে লালিত বিশ্বাসের পক্ষেই কথা বলবে। রাজনীতির আদি প্রভুর চরণের দিকেই তারা ঠাঁই খুঁজে নেবে। এতটুকু সরল সত্য অনুধাবনে ইতিমধ্যে কারোই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

পুনশ্চ: আলোচ্য লেখার বিষয়ে অনেকের দ্বিমত রয়েছে, থাকবে। এটা জেনেই লেখাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

কাসেমীকে সম্মান দিতে আমরা কুণ্ঠিত কেনো?

0

কাসেমীকে সম্মান দিতে আমরা কুণ্ঠিত কেনো?