Home Blog Page 4656

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৮৮

0

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮২ জনে।

এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন।

এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্ত ১০ হাজার ১৪৩ জন।

আজ (সোমবার) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

আল্লামা কাসেমীকে সম্মান দিতে আমরা কুণ্ঠিত কেনো?

0

মুফতী এনায়েতুল্লাহ | বিভাগীয় সম্পাদক : বার্তা২৪.কম


একটি ঘটনা বলে লেখাটি শুরু করতে চাই। ঘটনাটি আমার শোনা, বর্ণনাকারী এখনও বিদ্যমান এবং তিনি মানোত্তীর্ণ। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশের পাঁচশর বেশি জায়গায় জামায়াতুল মোজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায়। ফরিদ সাহেব গ্রেফতারের পর অনেক রাজনৈতিক নেতা তার পাশে দাঁড়ায়নি, তার পক্ষে কথা বলেনি। এমন সময় আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলেন, মাওলানা ফরিদ কী বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত বলে আপনি মনে করেন? তখন কাসেমী সাহেব হুজুর স্পষ্টভাষায় বলেন, না, আমি উনাকে যতটুকু চিনি। তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস তিনি এ কাজ করতে পারেন না। কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে। অথচ ফরিদ যেখানে দীর্ঘদিন বোখারি পড়িয়েছেন (ওই সময় ফরিদ সাহেবের বাসা ওই মাদরাসার পাশে ছিলো) ওই মাদরাসার পদস্থ (নাম-পরিচয় গোপন রাখা হলো) এক শিক্ষককে একই সাংবাদিক জানতে চাইলেন। তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন, শুনেছি, রাস্তার ওপারে মাওলানা ফরিদ নামের একজন থাকেন। তার সাথে আমার সবিশেষ পরিচয় নেই।

ঘটনাটি বলার কারণ হলো, ওই সময় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াত জোটে ছিলেন, এখনও আছেন। আর ওই জোট সরকারের আমলে পাঁচশ’র বেশি স্থানে বোমাবাজির মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগে আটক একজনের (যদিও তাদের উভয়ের মাঝে রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে) পক্ষে এভাবে বলা সাহসেরই কাজ বটে। আর এটি মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীর আছে।

আলোচনা প্রসঙ্গে সর্বশেষ দু’টো ঘটনার ঈঙ্গিত দিয়ে আমি মূল আলোচনায় চলে যাবো।

এক. করোনা পরিস্থিতিতে মসজিদ সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত এবং আলেম-উলামাদের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও মসজিদ খোলে দেওয়ার জন্য বিবৃতি, মিটিং সময়বেঁধে দেওয়ার ঘটনা তার নেতৃত্বে হয়েছে।

দুই. করোনা পরিস্থিতিতে কওম মাদরাসায় সরকারি অনুদানের বিষয়ে তার নেতৃত্বে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। পরে বেফাকের খাস কমিটির তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী কে?
তিনি একজন শায়খুল হাদিস। তিনি দেওবন্দের আদর্শের ধারক-বাহক। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি বোখারির দরস প্রদান করে আসছেন। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি ছাত্র তার কাছে বোখারি পড়েছেন।

মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী কে?
এই সময়ে রাজধানী ঢাকার উল্লেখযোগ্য কয়েকজন গ্রহণযোগ্য শায়খুল হাদিসের অন্যতম একজন। বর্তমানে আল্লামা আহমদ শফীর পর সমাজ ও রাজনীতিতে সরব এক রাহবার। বয়সের দিক দিয়েও (সম্ভবত ৭৫) তিনি আল্লামা শফীর পর সিনিয়র।

মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী কে?
তিনি জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল। এ ছাড়া আরও বহু মাদরাসা-মসজিদ প্রতিষ্ঠা ও পরিচলানার সঙ্গে জড়িত। কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিলি আরাবিয়ার সহ-সভাপতি। হাইয়াতুল উলইয়া লিল জাময়িাতিল কওমিয়ার সদস্য। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব। খতমে নবুওয়াত আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর সভাপতি।

অত্যন্ত সূচারুরুপে এসব দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছে। বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তার মতামত জাতিকে পথ দেখিয়ে আসছে। বিভিন্ন বিষযে তার যৌক্তিক দাবির বিষয়ে আলেমদের ঐক্যমত্য প্রমাণ করে তার দূরদর্শিতা।

মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী আপাদমস্তক দেওবন্দি মাসলাকের আলেম। তার ভক্তদের অনেকে তাকে বাংলার মাদানি বলে অভিহিত করেন, এটা তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

আফসোসের কথা
আমি ব্যক্তিগতভাবে হুজুরের ছাত্র নই, তার দলেরও কেউ নই। তবে তাকে যতটুকু চিনি, তাতে আমার মতো আরও অনেকেই একথা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন- সাদাসিধে জীবন কিন্তু আদর্শের প্রশ্নে শতভাগ কঠোর।

নীতির ওপর অটল মাওলানা কাসেমী কালক্রমে এখন বৃদ্ধ বয়সে উপনীত। কিন্ত আমরা কী তাকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে পেরেছি? কেন পারিনি- অন্তত এই প্রশ্ন কিংবা বোধটুকু কী তার ছাত্র-শাগরেদ অথবা দলীয় নেতা-কর্মীদের মনে জাগ্রত হয়েছে কখনও?

মাওলানা নুর হোসাইন কামেসীর ছায়ায় থেকে রাজনীতি করেন, সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, মসজিদের খতিব, বড় বড় মাদরাসার মুহতামিম, মুহাদ্দিস ও শায়খুল হাদিস হিসেবে পরিচয় দেন- এমন অন্তত শ’খানেক ব্যক্তিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, তাদের সঙ্গে আমার বেশ সখ্যতাও রয়েছে। তাদের কাছে খুব আগ্রহ নিয়ে এটা জানতে চেয়েছি, কিন্তু তারা লা জওয়াব! বিষয়টি আমাকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। তাহলে কী মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী তাদের কাছে রাজনীতির সিঁড়ি? স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার? উত্তর আমার জানা নেই।

আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীকে সম্মান দিতে আমরা কুণ্ঠিত কেনো?
নানা কারণে আমার মনে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে, আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমীকে সম্মান দিতে আমরা কুণ্ঠিত কেনো?
তিনি নীতির প্রশ্নে আপোষহীন বলে?
তিনি নেতা-কর্মীদের তাদের প্রাপ্য ও ন্যয্যা সম্মান দেন বলে?
আন্দোলন-সংগ্রামের গতিপথ একটু আগেই অনুধাবন করেন বলে?

একটি উদাহরণ
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের সবচেয়ে বৃহত্তম বোর্ড। তিনি এই বোর্ডের এক নম্বর সহ-সভাপতি। বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহির ইন্তেকালের পর স্বাভাবিকভাবেই এক নম্বর সহ-সভাপতি হিসেবে তার সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আসীন হওয়ার কথা। কিন্তু না, তিনি অজানা কোনো কারণে এ পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি যিনি হবেন, পদাধিকার বলে তিনিই হাইয়াতুল উলইয়ার কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাবেন।

আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী বেফাক এবং হাইয়ার নেতাদের মাঝে কোন দিক থেকে অযোগ্য যে তাকে সেই পদ থকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হলো। তাকে বঞ্চিত করে কিন্তু নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বর্তমান মহাসচিবকে ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সভাপতি করা হয়েছে। এখন তিনি একাধারে বেফাকের মহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সভাপতি ও হাইয়াতুল উলইয়ার ভারপ্রাপ্ত কো-চেয়ারম্যান।

এ ঘটনায় যে বিষয়গুলো সামনে আসে-
ক. মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীর ওপর তার স্বগোত্রীয়দের (বেফাক) এতো ক্ষোভ কেন?
খ. মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীর আশেপাশে থাকা নানা সুবিধাভোগীরা তার জন্য কী করেছেন?
গ. মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী কখনও পদ প্রত্যাশী ছিলেন না, এখনও নন। তিনি প্রচারবিমূখ মানুষ। কিন্তু তার শাগরেদ, ছাত্র ও দলীয় নেতা-কর্মীদের কী কোনো দায় নেই।
ঘ. মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীকে ঘিরে থাকা গুটিকয়েক লোক কী তবে তাকে ধীরে ধীরে জনবিচ্ছিন্ন করে তুলছেন? না হলে, কেন তাকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে?

বিষয়টি আদর্শগত লড়াই, সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এখানে ভিন্ন ব্যাখ্যার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীকে ঘিরে থাকাদের এটা বুঝতে হবে, সে অনুযায়ী কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। তারা এটা করতে না পারলে তাদের পরিত্যাগ করাই হবে শ্রেয়তর কাজ।

এ বিষয়ে মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীর শাগরেদ ও নেতাকর্মীদের মনে রাখতে হবে, বাইপ্রোডাক্টদের সঙ্গে নিয়ে কোনোভাবেই লক্ষ্য হাসিল সম্ভব নয়। কাণ্ডজ্ঞানহীন ঠুনকো সেনাপতি দিযে সাময়িক কাজ হাসিল হয় বটে, আখেরে স্থায়ী কিছু হয় না। বাক্যবাগীশ তালপাতার সেপাইদের ওপরে আদর্শকে স্থান দান করাই কর্তব্য। অতীতের ফতুর ও দেউলিয়া এবং নানা দ্বারে করুণা ভিক্ষাকারীদের সঙ্কট উত্তরণে সংযুক্ত করার মানেই হলো- বোঝা বাড়ানো। যারা যথাসময়ে তাদের প্রাচীন রক্ত ও সুপ্তভাবে লালিত বিশ্বাসের পক্ষেই কথা বলবে। রাজনীতির আদি প্রভুর চরণের দিকেই তারা ঠাঁই খুঁজে নেবে। এতটুকু সরল সত্য অনুধাবনে ইতিমধ্যে কারোই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

পুনশ্চ: আলোচ্য লেখার বিষয়ে অনেকের দ্বিমত রয়েছে, থাকবে। এটা জেনেই লেখাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

কাসেমীকে সম্মান দিতে আমরা কুণ্ঠিত কেনো?

0

কাসেমীকে সম্মান দিতে আমরা কুণ্ঠিত কেনো?

সৌদি পত্রিকায় ‘ইসরাইলের দাদী’র উচ্চকিত প্রশংসা; সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

0

ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম | আরিফ মুসতাহসান


সৌদি সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’তে সাহাম আল কাহতানির লিখিত একটি কলাম প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অন্যতম প্রধান জাতীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘ইসরাইলের দাদী’ খ্যাত গোল্ডা মেয়ারের জন্মদিন উদযাপন করে প্রশংসা করা হয়। এতে তার মুসলমানদের উপর চালানো কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের উল্লেখ্য ছাড়াই তাকে সম্মানিত নারী নেত্রী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য, গোল্ডা মেয়ার যিনি ১৯৪৮ সালে জায়েনাবাদের পক্ষে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানোর জন্য আমেরিকায় ইহুদিদের ইহুদিদের থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেন।

কিন্তু প্রকাশিত কলামে এই কুখ্যাত নেত্রীকে ‘নিবেদিত প্রাণ নেত্রী’ হিসেবে উল্লেখ্য করা হয়। এবং দারিদ্রতা ও অস্বচ্ছলতার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন বলে প্রশংসা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কলামের ব্যাপক নিন্দা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, গোল্ডা মেয়ারের মত ব্যক্তির এভাবে প্রশংসা করা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়। এতে তার নৈতিক দিক প্রশ্নবৃদ্ধ হয়।

আল জাজিরার সান্ধ্যকালীন লাইভ অনুষ্ঠানে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, নিশ্চয়ই এটা একটি পরিকল্পনার অংশ। এতে ইসরাইলের আসল চেহারাকে সুন্দরভাবে দেখানো, ইসরাইলীদের তৈলমর্দন ও তারা আমাদের শত্রু নয় তা উপস্থাপন করা উদ্দেশ্য। আগে থেকেই দখলদারি নেতা ও ইহুদিবাদী শত্রুদের বিভিন্ন টিভি ও ড্রামা সিরিয়ালে আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

এটা স্পষ্ট যে এতে সৌদি জনগণের কোনো দোষ নেই। তারা এসমস্ত কোনো মনোভাব পোষণ করেন না। কিন্তু যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করার জন্য এসব কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন এসবে তার ক্ষমতা আরো পাকাপোক্ত হবে। পিছন থেকে বন্ধুদের থেকে সহায়তা পাবেন।

ইতিপূর্বে ও ‘এক্সিট ৭’ ও ‘উম্মে হারুন’ নামক দুইটি টিভি সিরিজে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে প্রমোট করে ফিলিস্তিনের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব প্রচার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসব কোনো ভুলক্রমে নয় বরং পরিকল্পিত। সৌদি নাগরিক এর বিরুদ্ধে কিছু বলার সক্ষমতা রাখেন না। কিছু বললেই তাদেরকে আটক করে অসহনীয় নির্যাতন শুরু হয়ে যায়।

সৌদির নেতৃত্বে আমিরাত ও বাহরাইন ইহুদিবাদী ইসরাইলের অনুকরণ করছে। ধীরে ধীরে ইহুদিবাদী বক্তব্য দ্বারা এসমস্ত অঞ্চলের মানুষের মনোভাব পরিবর্তন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আল জাজিরা থেকে অনুবাদ

করোনার উপসর্গ নিয়ে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন হাসপাতলে

0

অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন করোনার উপসর্গ নিয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ রবিবার বিকাল ৬টা দিকে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মা করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি আছে।

জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত জানিয়েছেন, মুনতাসীর মামুন মায়ের চিকিৎসা তত্ত্বাবধানের জন্য হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করেন। এর মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে করোনা সন্ধেহে পরীক্ষা করা হলে তাঁর ফল নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু গত দুই-তিন থেকে তাঁর বমিভাব, খাবারে অরুচি, কাশি ও শরীর দুর্বল অনুভব করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কাশ্মীরের ভারতীয় কর্নেল, মেজরসহ ৫ সেনা নিহত

0

ভারতের কাশ্মীরের হান্দওয়াড়ায় বিদ্রোহীদের সাথে এক এনকাউন্টারে একজন কর্নেল ও একজন মেজরসহ পাঁচ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিপক্ষের দুইজনও নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।

খবরে প্রকাশ, শনিবার থেকেই উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার অন্তর্গত হান্দওয়াড়ার চাঞ্জমুল্লা অঞ্চলে স্বাধীনতাকামীদের সাথে লড়াইয়ে তারা নিহত হোন।

সূত্র : এনডিটিভি

এই প্রথম রমজানে মাইকে আজানের অনুমতি দিলো কানাডা সরকার

0

কানাডার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মসজিদে মাইক ব্যবহার করে আজান প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে এই অনুমতি শুধু রজমানের রমজান উপলক্ষে দেওয়া হয়েছে। রমজান শেষ হওয়ার পর কোনো মসজিদ থেকে আর আজান দেওয়া যাবে না।

রোববার (৩ মে) সিবিসি কানাডিয়ান নিউজ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন থেকে রাজধানী অটোয়ার পাশাপাশি টরেন্টো, এডমন্টন ও হ্যামিল্টন শহরের মসজিদগুলো থেকে জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজের আজান মাইকে প্রচার করা হবে। দীর্ঘদিন কানাডায় মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি থাকলেও মাইকে আজান দেওয়ার অনুমতি ছিলো না।

এ ব্যাপারে হ্যামিল্টন শহরের ‘মাউন্টেন’ মসজিদের ইমাম সাইয়্যেদ তুরা বলেন, কানাডায় বসবাসরত মুসলমানদের জন্য আজকের দিনটি ঐতিহাসিক। কারণ, তারা আজ প্রথমবারের মতো মসজিদ থেকে আজান প্রচারের অনুমতি পেয়েছে।

তবে রমজান শেষ হওয়ার পরও যাতে আজান প্রচার করা যায় সেজন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। এছাড়া শুধু চারটি শহর নয় বরং কানাডার প্রতিটি শহর যাতে এ ধরনের অনুমতি পায় সেজন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান সাইয়্যেদ তুরা।

৩ মে | গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু

0

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭৭ জনে।

রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন দুজন। তারা ঢাকার বাইরের।

এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৩ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে জানান ডা. নাসিমা।

৩ মে | গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৬৫ জনের করোনা শনাক্ত

0

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৬৬৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এটি এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। রবিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪৫৫ জন মানুষ।

এর আগে গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের আঘাত আসে। এরপর এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত বিশ্বে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

গার্মেন্ট মালিকরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন: ওবায়দুল কাদের

0

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার তৈরি পোশাক খাত সুরক্ষায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রফতানি আদেশ রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী নিজে আমদানিকারক দেশের প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। গার্মেন্ট কারখানা খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গার্মেন্ট মালিকরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারখানা চালুর আবেদন করেছিলেন, সেগুলো রক্ষা করুন।

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় বিভিন্ন কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার ওপর আস্থা রাখুন, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন। করোনাযুদ্ধে জয় আমাদের হবেই।

কাদের বলেন, কারখানাগুলো চালুর আগে মালিকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কোনো প্রকার শ্রমিক ছাঁটাই বা লে-অফ করা হবে না। ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকদের দিয়েই ফ্যাক্টরি পরিচালনা করবে। বিভিন্ন জেলা বা গ্রামে অবস্থানরত শ্রমিকদের বেতনের একটি অংশ দেয়া হবে। তাদের ঢাকায় আসতে নিরুৎসাহিত করা হবে। প্রকৃতপক্ষে আমরা দেখছি প্রতিদিন দলে দলে বিভিন্ন উপায়ে শ্রমিকরা ঢাকায় ফিরছেন। তারা বলছেন, তাদেরকে অফিস থেকে ডাকা হয়েছে। শুক্রবার গাজীপুরে একটি কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাঁটাই করা হয়েছে শ্রমিকদের। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পোশাক শিল্পের মালিকরাও উদার মানসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে আমার বিশ্বাস। শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। আপনারা শ্রমিক কর্মী ভাইবোনদের পাশে থাকুন। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। শ্রমিক ছাঁটাই ও ফ্যাক্টরি যারা লে-অফ ঘোষণা করছে তাদের বিরত রাখুন।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলার মাধ্যমে যে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে, তাতে পরিবহনসহ অন্যান্য শ্রমিককে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। আশা করি জেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।

করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও অনেকে টেস্ট না করিয়ে তা গোপন রাখছেন বলে অভিযোগ করে কাদের বলেন, এতে তারা বিপদ ডেকে আনছেন। লক্ষণ

দেখা দিলে হেলপলাইন বা হটলাইনে যোগাযোগের যেন ভুল না হয়। সবাইকে লক্ষ রাখতে অনুরোধ করছি।

করোনা মোকাবেলায় অগ্রসৈনিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ফ্রন্টলাইনের কর্মকর্তাদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টরসহ চারজন ইতিমধ্যে করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আক্রান্তদের আরোগ্য কামনা করছি। ইতিমধ্যে চিকিৎসক-নার্স টেকনিশিয়ান ফিজিশিয়ান স্বাস্থ্যকর্মীরা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এবং চিকিৎসা কাজ অব্যাহত রেখেছেন সেজন্য তাদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করোনাযুদ্ধে একজন চিকিৎসক, একজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন সাংবাদিক এবং একজন ব্যাংকারকে হারানোর কথা উল্লেখ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

তিনি বলেন, দেশ ও জাতির এই সঙ্কটকালে যারা নিবেদিত প্রাণ নিশ্চয়ই জাতি তাদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছেন। আমি মনে করি, সুযোগ বড় কথা নয়। তাদের মনোবল এবং সেবার মানসিকতা আমাদের জন্য অসীম আঁধারে সাহসের আলোক শিখা।